অচিনপুরের দেশে: পর্ব ২

অচিনপুরের দেশে: পর্ব ২

 

 

(গৌতম সরকার)

 রাত্রের দুঃস্বপ্ন কেটে অনিশ্চিতপুরে সকাল এলো নীলকণ্ঠ পাখির ডানায় ভর করে, চারদিকে আলোর রোশনায় দিনবদলের সঙ্কেত। ঝলমলিয়ে ওঠা জীবনগানে অমৃতসুধা যেন ঝরে পড়ছে আকাশ থেকে। সমস্ত মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে দিয়ে বুনে চলেছে জীবনে এগিয়ে চলার গান। শকুন্তলা সমস্ত কটেজ ঝেড়ে মুছে সাফ করে চলেছে আর তার ছেলেটি সারা উঠোন জুড়ে খেলে বেড়াচ্ছে। নীলামাসি রান্নাঘরের তদারকি সেরে বাইরে এসে এবার শকুন্তলাকে নির্দেশ দিচ্ছেন। আমার সঙ্গে চোখাচুখি হতে হাত জোড় করে সুপ্রভাত জানালেন। আমি প্রতি সুপ্রভাত জানিয়ে ওনার দিকে এগিয়ে গেলাম। কালকে ওনার কথা শোনার পর ওনার সম্বন্ধে আমার কৌতুহল বেড়ে গেছে। শকুন্তলাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে উনি আমাকে চা খাওয়ার আমন্ত্রন জানিয়ে ডাইনিং হলে নিয়ে গেলেন। আলাপচারিতার পাশাপাশি জানা হয়ে গেল ভদ্রমহিলার জীবনের ইতিহাস।

 

 আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে এক ছেলে, দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এক হতভাগ্য প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারমশাই নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এদেশে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর এক ঠাঁই থেকে অন্য ঠাঁই – যাযাবরের জীবন। স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্যে একদা মাস্টারমশাই কি না করেছেন- চাষের জমিতে জন খাটা থেকে রেল স্টেশনে কুলিগিরি পর্যন্ত। তারপরও চোখের সামনে পরিবারকে অভুক্ত থাকতে দেখেছেন। পড়াশোনা জানা লোক জীবনে লেখাপড়া ছাড়া কিছুই শেখেননি, সেখানে ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে খালি পেটে তাকে যে সমস্ত কায়িক পরিশ্রমের কাজ বেছে নিতে হয়েছিল তার ধকল শরীর বেশিদিন নিতে পারলোনা। ফলস্বরূপ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলেন। বিনা ওষুধে, বিনা পথ্যে তিনবছর রোগশয্যায় শুয়ে চিরমুক্তি লাভ করলেন। রেখে গেলেন তিন নাবালক-নাবালিকা ছেলেমেয়েদের সাথে স্ত্রীকে। তারপরের সেই কষ্টের দিনগুলোর ছবি নীলামাসির বুকে খোদাই করা আছে। মায়ের সেই জীবন সংগ্রামের ছবিগুলো উনি কোনোদিনই ভুলতে পারেননি। ভাইবোনেদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হওয়া সত্বেও একটা সময়ের পর গোটা পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। লেখাপড়ার সাথে সাথে হাতের কাজ শিখে নিলেন আর তার সাথে বাচ্চাদের টিউশনি। আস্তে আস্তে গ্রামের মেয়েদের এক করে ব্যাঙ্কের কাছে ঋণের জন্যে আবেদন করলেন। ব্যাঙ্কের প্রপোজালটা পছন্দ হল। সেই শুরু, একটা ঘরে ৮-১০ জন মিলে শুরু করেছিলেন আজ সেখানে এই গ্রামের একশোর ওপর মেয়ে কাজ করে। কাজের পরিসরও অনেক বেড়েছে। গ্রামের মেয়েদের জীবনে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনে তাদের পরিবারের মুখেও হাসি এনেছেন দুহাত দূরে বসে থাকা এই মানুষটি। সাফল্য-ব্যর্থতা, দুঃখ-সুখ এই মানুষটার জীবনে দিনরাত্রির মতো নিয়ম করে এসেছে। নিজের উদ্যোগে দিদির ভালো বিয়ে দিয়েছেন। দাদা পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল, জয়েন্টে ভালো ফল করে নীলামাসির উপার্জনের পয়সায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। আজ একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে আধিকারিকের পদে উন্নীত হয়েছে; স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে থাকে, ভুলেও নীলামাসির খোঁজ নেয়না। যদিও এখন এসব আর মানুষটিকে স্পর্শ করেনা, বা হয়তো করে, এসব ভেবে লোকচক্ষুর আড়ালে চোখের জল ফেলে কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না। তবে একটা যন্ত্রনা তিনি কখনোই লুকোতে চাননা, সেটা হলো- এই সুখ, আনন্দ আর সাফল্যের দিনগুলো মা দেখে যেতে পারেননি। মাকে ভালো খেতে, ভালো পরতে আর দুটো সুখের দিন উপহার দিতে না পারার কষ্ট তার বুক জুড়ে। এই কষ্ট মানুষটা তার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বয়ে বেড়াবে। একটা গভীর দমবন্ধ নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরলো দুজনকে। দুজনেই চুপ করে দরজার বাইরে এক ফালি উঠোনের দিকে চেয়ে রইলাম। প্রভাত রবি আস্তে আস্তে তার তেজ বাড়াচ্ছে, বাইরে এখন খটখটে রোদ। একজন একজন করে মহিলা এসে কারখানার কাজে যোগ দিচ্ছে। আমি মুগ্ধ চোখে একবার বিশ্বচরাচরকে দেখি আর একবার দেখি মানুষটিকে যিনি নিজ সাধনার জোরে এই পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত সুন্দর করে তুলছেন। মনে মনে এই মানুষটিকে শতকোটি প্রণাম জানালাম।

 

(পাঞ্চালী মুখোপাধ্যায়)

আচ্ছা এই জীবনযুদ্ধ কি শুধু নীলামাসির একার ? আমরা প্রত্যেকেই কি ছিন্নমূল উদ্বাস্তু নই ? নিজঘরে পরবাসী ? না আমরা সুবিধা পেয়ে পেয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসন বেছে নিই বৈচিত্র্যের তাগিদে। যেমন এই অনিশ্চিতপুরের অনিশ্চিত ভাললাগা। এইসব চিন্তায় মগ্ন আমি হয়তো নীলামাসির যুদ্ধটা খাটো করে দেখলাম !  নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে। কি করি এখন ! কিন্তু ঐ বজ্জাত স্মৃতি পিছু ছাড়েনা কিছুতেই। কোন সুদূর অতীতে তদানীন্তন পূর্ববাংলা থেকে আসা অনেকের যুদ্ধ নিজে চোখে দেখা যে। আর সেই একাত্তরের যুদ্ধের সময় সেই বৌটি কোলে দুধের শিশু নিয়ে এপারে এসে আশ্রয় নিয়েছিল একটি বাড়িতে, স্বামীটি তাকে রেখে ওপারে গিয়ে আর ফিরলোনা। তারপর সেই বৌটি হঠাৎ গায়েব হয়ে গেল, সে কোথায় গেল, তার শিশুটির কি হল…!― ভেবে উদ্বেগ বোধ করি আজোও৷ এরকম কত উদ্বেগ কত ব্যথা অব্যক্ত থাকে জীবনে কে তার খোঁজ রাখে ? তাই সবার মনের গোপন কুঠুরিতে কত কি সঞ্চিত আছে সব কি মণি মানিক রতন ?  কিছু আবিলতা, কিছু মলিনতা, কত না বলা কথা অবহেলার ঝুলকালিতে অযত্নে অনাদরে মলিন হয়ে থাকে কারণ স্মৃতিচর্চার পালিশে তারা ঝাঁ চকচকে হয়ে ওঠেনা কখনোই। আমরা দুঃখকে ভুলে যেতে চাই তাই। আবার বোধ হয় দুঃখবিলাস পেয়ে বসলো আমাকে। জীবনের ধন কিছুই যায়না ফেলা, ঐ মহান শিক্ষক এই একজন নগণ্য ছাত্রকে কান ধরে প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখিয়ে দেয়। যেমন মনের কুঠুরিতে তালা দেওয়া দরকার এখন, না হলে অনিশ্চিতপুরের ভাললাগাই মাটি হবে যার খোঁজে এখানে আসা৷

 

 (গৌতম সরকার) 

সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে ইচ্ছে হলো অনিশ্চিতপুরকে একটু পায়ে হেঁটে দেখা। ব্রেকফাস্ট বলতে মুড়ি আর নারকেল কোরা, আগে কখনও এভাবে খাইনি । কিন্তু সত্যি বলছি খুব উপাদেয়। ভরপেট খেয়ে একাই বেরিয়ে পড়লাম। এখানে আসার পর আমার সঙ্গীসাথীরা অনেকেই ঘরের চৌহদ্দি ছাড়ছে না। হয়তো সাময়িক ক্লান্তি, বা দেশ ছাড়ার কষ্ট এখনও বুক জুড়ে বা নতুন জায়গার সাথে মিলিয়ে নিতে সময় নিচ্ছে। যাই হোক কাউকে সঙ্গী না পেয়ে ‘একলা চলো রে’ মন্ত্র জপতে জপতে বেরিয়ে পড়লাম। একটু এগিয়ে পড়ল কালকের দেখা সেই নদী (এখনও নদীটির নামটি জানা হয়নি), কাঠের সেতু ছাড়িয়ে গিয়ে পৌঁছলাম ওপারে। এদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকঘর বসতি, সবকটিই মাটির দেওয়াল আর খাপড়ার চাল। মাটির রাস্তা এঁকে বেঁকে গিয়ে পড়েছে আদিঅন্তহীন দিগন্ত বিস্তৃত শূন্য মাঠে। এখন সূর্য মধ্য গগনের পথে, রোদের প্রকোপ বেশ, তবে একটা হালকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ফলে অতটা কষ্ট হচ্ছেনা। তাছাড়া কষ্ট হলেও কি করা ! যখন সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় এই অনিশ্চিতপুরে এসে পৌঁছেছি তখন এই জায়গাকে এর নিজস্ব ছন্দেই গ্রহণ করতে হবে; শীতে কাঁপতে হবে, বর্ষায় ভিজতে হবে, গরমে ঘামতে হবে ,তানাহলে অনিশ্চিতপুর কখনোই আপনাকে নিজের করে নেবেনা। আমি ব্রিজ পেরিয়ে পায়ের রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম। সামনেই একটা পুকুর, এই ভরা গ্রীষ্মেও টইটম্বুর জল। আর সেই গভীর কালো জল তোলপাড় করছে গ্রামের একদল কচিকাঁচা। তাদের আনন্দ উল্লাসে আশপাশ সরগরম। আমি  পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষন ওদের জলের সাথে খুনসুটি দেখলাম। আমাকে বিদেশি দেখে ওদের উৎসাহ-উল্লাস আরোও বেড়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর হাত নেড়ে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। 

পুকুর পেরিয়ে রাস্তাটা হঠাৎ বাঁদিকে বাঁক নিয়েছে। বাঁক পেরিয়ে ডানদিকে ধানজমি আর বাঁ দিকে পরপর কয়েকটা বাড়ি, বাড়ি মানে কুঁড়েঘর। প্রত্যেকটা বাড়ির সামনে গোবরজলে নিকোনো উঠোন, বুঝলাম এখানে মাঠের ধান কেটে এনে মরাই দেওয়া হয়। তারপর সেই মরাইয়ের ধান এই উঠোনে ঝাড়াই বাছাই হয়। ধান পাওয়ার পর বাড়ির মেয়েরা উঠোনের এক পাশে বানানো দুমুখো উনানে সেই ধান সেদ্ধ করে, তারপর সেই সেদ্ধ ধান এই প্রশস্ত উঠোনে বেশ কয়েকদিন ধরে শুকনো করা হয়। পরিপূর্ণ শুকানোর পর সেই ধান হয় ঢেঁকি, নতুবা কলে গিয়ে ভাঙানো হয় যা থেকে চাল পাওয়া যায়। এসব সম্বন্ধে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলনা। এই যে এখানে এত কথা বলে ফেললাম সেসব এখানে থাকতে থাকতে এখানকার মানুষদের সাথে মিশতে মিশতে জেনেছি। জেনেছি গরমের সময় জমিতে কোন কোন ফসল ফলানো হয় , আবার শীতকালীন রবিশস্য কি কি ; জেনেছি ধান একবার সেদ্ধ করলে ভাতের চাল হয়, দুবার সেদ্ধ করলে মুড়ি বানানোর চাল পাওয়া যায়, আবার সেদ্ধ না করে শুধু রোদে শুকিয়ে কলে ভাঙালেই আতপ চাল পাওয়া যায়। অর্থাৎ এই অচিনপুরীর রূপকথার দেশ আমাদের দিনের পর দিন শিক্ষিত করেছে, সমৃদ্ধ করেছে, সর্বোপরি মানুষ বানানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

 

এবার বর্তমানে ফেরা যাক। বাঁক পেরিয়ে বাঁ দিকে ঘুরে একটু এগোতেই দেখি কয়েকটা বাচ্ছা রাস্তার ওপর চৌকো চৌকো ঘর কেটে কি এক খেলা খেলছে। আমাকে দেখেই খেলা থামিয়ে রাস্তার পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে গেল। আমি কাছে গিয়ে একটি বাচ্চার ধুলোমাখা চুলে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “খেলা থামালে কেন?” কেউ কোনো উত্তর না দিয়ে পরস্পরের মুখের দিকে তাকাতে লাগলো, বুঝলাম লজ্জা পেয়েছে। আমি ওদের লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি দিতে এগিয়ে গেলাম, পিছনের সম্মিলিত উল্লাস শুনে টের পেলাম খেলা আবার পুরো দমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে পাশাপাশি কয়েকটা ঘর থাকার কারণে গাছপালা কম, ফলে সূর্যের কিরণ সরাসরি মাথায় এসে পড়ছে। একটু এগিয়ে আজকের মত ভ্রমণ সমাপ্ত করবো ভাবছি এমন সময় হঠাৎ এক আওয়াজ ভেসে এলো, “কে যায় !” আমি থতমতো খেয়ে গেলাম, ঠাহর করতে পারলামনা আওয়াজটা কোনদিক থেকে এলো। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ ঘাড় ঘুরিয়ে শেষে দেখলাম আমি যে কুঁড়েঘরটার সামনে দাঁড়িয়ে তার বেশ কিছুটা ভিতরে এক তেঁতুল গাছ, গাছের শীতল ছায়ায় একটা দড়ির খাটিয়ায় বসে আছেন এক বৃদ্ধ। হাত নেড়ে আমাকে কাছে আসতে বলছেন। একটু ইতস্ততঃ করে এগিয়ে যাই। আমি এগোতে বৃ্দ্ধ চোখের ওপর বাঁ হাত আড়াল করে আমাকে চেনার চেষ্টা করতে লাগলেন। আমি একদম কাছে এগিয়ে গেলাম। অসংখ্য বলিরেখা সম্বলিত মুখ আর ঘোলাটে চোখ বলছে জীবনের অনেক শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার সাক্ষী উনি। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই মুখের ওপর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন -“তুমি কেডা ?” নিজের পরিচয় দিই, কিভাবে এসেছি বলি। শুনে উনি নিরাসক্ত ভঙ্গিতে বলেন ” অ… রিফুজি !” শব্দটা ধক করে বুকে ধাক্কা মারল। তাহলে কি আবার দ্বিতীয় বারের জন্যে দেশ হারালাম ! তবে ভদ্রলোক আমাকে দুঃখ দেওয়ার জন্যে কথাটা বলেননি। সেটা বুঝলাম ওনার পরের কথায়। নিজেকে শোনানোর জন্যেই যেন বলে চললেন–কদিন ধরেই শুনছি শহরে কোন এক মারণ রোগ এসেছে। পিলপিল করে মানুষ পোকামাকড়ের মতো মরছে। মড়ক লেগেছে, রাস্তাঘাটে লোক মরে পড়ে থাকছে , দাহ করারও নাকি লোক অবশিষ্ট নেই। কি দিনকাল এলো ! তবে এসব হল প্রতিশোধ, এতদিন ধরে কি না কি অত্যাচার সহ্য করেছে এই ধরিত্রী মা, পশুপাখি, পোকামাকড় ! আজ বোধহয় সব হিসেব চুকোনোর পালা শুরু হয়েছে। তারপর ওনার বোধহয় খেয়াল হল আমি দাঁড়িয়ে আছি। বেশ লজ্জা পেয়ে বললেন, “এই দ্যাখো, ভদ্দরলোকের ছেলেকে দাঁড় করিয়ে রেখেছি, বসেন ছেলে এখানে বসেন”, বলে তিনি খাটিয়ার এক কোনার কাঁথাকানি একটু নিজের দিকে সরিয়ে নিলেন। আমি কোনো কথা না বলে খাটের কোনায় বসে পড়লাম।

আগের পর্বটি পড়তে ক্লিক করুন-

অচিনপুরের দেশে পর্ব-০১

 

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
বনলতা সেন  : কবিতাচূড়ামণি

বনলতা সেন  : কবিতাচূড়ামণি

 সুজিত রেজ বহুপঠিত , বহুচর্চিত , বহুকূটভাষিত , বহুবিতর্কিত , বহুফলিত , বহুনন্দিত  কবিতা জীবনানন্দের ‘ বনলতা সেন ‘ পুনর্পর্যালোচনার ইচ্ছাবেগ হাঁড়িকাঠে গলা সেঁদিয়ে আত্মহত্যাপ্রবণ ...
বিদিশার জন্য ভালোবাসা

বিদিশার জন্য ভালোবাসা

আবু সাঈদ ইমন  পাখির কিচিরমিচির শব্দ কানে শুনতে পাচ্ছি। এই বুঝি সকাল হল।দুচোখ মেলতেই জানালার ফাঁক দিয়ে রোদের চিকন আলো চোখে এসে পড়ছে। ওঠে ফ্রেশ ...
পাঁচটি কবিতা

পাঁচটি কবিতা

মুহাম্মদ রফিক ইসলাম কবিতাঃ (০১) প্রেম, শাড়িতেও বোনা যায়  অনাবৃষ্টির কোলে শালুক বোনা মাঠ। রোদ্দুর চিরে উত্তরীবায়ু পাখনা ম্যালে। ব্যাঙের নাকে গন্ধ মেঘ! মেঘ ওড়ে, বিড়ালপায়ে হাঁটে ...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প: পুঁটিজানীর স্বাধীনতা 

মুক্তিযুদ্ধের গল্প: পুঁটিজানীর স্বাধীনতা 

আশরাফ আলী চারু  পুঁটিজানী বিলের পাড়ে শ্যামল সরকার  নতুন বাড়ি গড়েছেন। আশে পাশে আর কোন বাড়ি ঘর নেই। নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশ নিয়ে বিলের পাড়ে শোভাবর্ধণ ...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প -  একাত্তর

মুক্তিযুদ্ধের গল্প – একাত্তর

মোঃ লিখন হাসান বিকেলের সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হালতে শুরু করেছে।আমি নদীর পাড়ে বস সূর্য ডোবা দেখছি!কি সুন্দর গাঢ় লাল রঙের সূর্য।আমার মনটা যেনো কেড়ে নিচ্ছে।সূর্যটাকে ...
রহস্যঘেরা শিমুলতলা: পর্ব-২

রহস্যঘেরা শিমুলতলা: পর্ব-২

ড. গৌতম সরকার অনুদিদার বাড়িটা একদম একপ্রান্তে বলা চলে। এরপর লাট্টু পাহাড়ের দিকে যেতে আরও কয়েকটা বাড়ি আছে বটে, তবে সেগুলো অধিকাংশই আর বাসযোগ্য নয়। ...