মাঝে মাঝে শুকনাে পাতায় খসখস শব্দ উঠে—তখন ধীর পা হেঁটে যায় ক্যান্সাসের দক্ষিণে—ছায়া দীর্ঘ হয়ে একসময়
সন্ধ্যা নামে টিলা চূড়ায় কমরেডরা ফর্সা হাসি দিয়ে সিমেন্টের বস্তায় জায়গা দেয়—আট দশটা প্রাণ গােল হয়ে
বসি আমাদের কেউ দিনে ছাত্র ছিলাম, কেউ মহিষের খামারে কর্মচারী,বাসের ড্রাইভার—এখন সবাই।
চুপসাধারন—কিন্তু টঙ ফেলে আসা মামা হচ্ছেন শিল্পী—নিপুণ হাতে শিল্প কে গুঁড়াে করে আরও আরও মিহি করেন
সময় নিযে— বৃত্তের পরিধিতে বসা প্রানগুলাের একসময় ডাক পড়ে ঘুড়ি উড়ানাের—ঘুড়ি ধোঁয়া হয়ে উড়ে যায় বক
পাখি—একজন থেকে আরেকজনে ডানা জাপটানাে—এবার সন্ধ্যা মুখ কালাে করে এলে দেয় আঁধার—আমরা
অন্ধকারে ঘুড়ি উড়াই—কউ গুন গুন গায়, কাশে, বিড় বিড় কিছু কথা, ঝাপসা কৌতুক, মন প্রাণ দাঁত সব
হাসে—তারপর একসময় চারদিকে শব্দ কমে আসে—আবেগ তখন সিড়ির ধাপ টপকিয়ে স্বর্গে যেতে চায়—মন
হিমালয় ছুঁই ছুঁই সহযােদ্ধার কাঁধে চেপে উঠে পড়ি—চার পাঁচ সাত হাত দক্ষিণে গিয়ে বসা হয়—প্রিয় ইটের
আসন—চোখ, সাদা চতুর্ভুজ দূরের স্থাপত্যে গেঁথে থাকতে দেখ —গলায় আচমকা জোর আসে,আওযাজ দেই ছাত্রী হল
জিন্দাবাদ—ওপাশে গােল চত্বরে সবার হেসে খিল ধরে—একটু পরে আবার আওয়াজ তুলি, গান হবে?—ওপাশ
অনুমতি দেয় হবে হবে—কেন হবে না?—গান গাইতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়—নিচের ইটকে লাগে ব্যাকবে, ঐ
চতুর্ভুজর্টি ফার্স্টবেঞ্চশব্দে শব্দে ধাক্কায় আবেগ চড়ে বসে—গম্ভীর কণ্ঠে বলি—ব্যাকবেঞ্চটা অ্যালকোহলিক—বসলে
কেমন ভাব আসে—ঐ ভাব নিয়ে রােজ সামনে ঝুঁকে ওর ঠোঁটে দেখি নিকোটিন খনি, চোখে ব্লাউনীয় গতি আমার
হাত দশ হাত লম্বা হয়ে ওর খুব কাছে চলে যায় একসময়—ক্লিসের ভাজে ঠাসা চুল আর একটু পথ—আর একটু পাড়ি
দিলেই এদিক ওদিক মাতাল হাওয়া বইবে—কৈ মাছের ডানা গজাবে—সূর্য হবে অন্ধ—কিন্তু হয় না—কিছু হয়
না—পথ শেষ হয় না—পথ শেষ হয়না—গল্পের দুটি শব্দের ঐ একটুখানি পথ একটুই থেকে যায়…
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়