আমিরুল ইসলাম সা’দ
সবে মাত্র অ্যালার্ম ঘড়ির টিক টিক
আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে।
কুঁড়েমি ছেড়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়াতেই;
সকালের মৃদমন্দ হাওয়া-
আমার দেহ ও মন দুটোই একদম ফুরফুরে করে দিলো।
অম্বরখানা আজ কী সাজেই না সেজেছে;
শুভ্র মেঘের ফাঁকে ফাঁকে তার-
উষ্ণ-ভোগী শরীরটা শাড়ির আচঁল পড়ে দেখা যাচ্ছে।
যেন যৌবনের সাগরে ডুব দিয়ে শুরু হবে আমার প্রভাত।
তবুও বুকের বা-পাশটায়
এক পৃথিবী শূন্যতা অনুভব করছি;
কেমন যেন; চীন চীনে ভাব।
কাউকে পাশে না পাবার শূন্যতা।
কারো কচি লতার মত মসৃণ;
হাতে আলতো করে ছুঁয়ে দেওয়ার-
মতন অনুভব করার শূন্যতা।
হঠাৎ কোন এক গোধূলিতে কপালে ঠোঁটের আলতো ছোঁয়ায়-
ঘুম ভেঙে হকচকিয়ে উঠে দেখলাম;
কেউ একজন মুচকি হেসে বলছে-
‘যার ভাবনার গহবরে তলিয়ে থাকেন
যাকে ভেবে একা একা রাত্রি করেন যাপন;
এই তো আপনার পাশেই বসে সেইজন।
হুম! আমিই আপনার সেই অচেনা আপন।
কোনো কথা না বলেই আমি আপনাকে
বললাম;
আমার কিন্তু প্রতিদিন ঘুম থেকে
উঠেই চা খাওয়ার সু-অভ্যাস আছে।
গাঢ় লিকারে এককাপ গরম চা লাগে;
সেটা কি করে দিবেন?
আপনি একটু অপেক্ষা করুন;
বলে সেই যে গেলেন আর এলেন না ফিরে-
পরে বুঝলাম এটা স্বপ্ন ছিল।
অথচ আমি আজো আপনার সেই
ধোঁয়া উঠা গরম চা’য়ের অপেক্ষার মাঝি;
ডিঙায় নৌকা বেঁধে আপনার অপেক্ষায় থেকে পার হচ্ছে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা।