আমার কোন দুঃখ দেখাবার মানুষ নাই
ভেতরকার ক্ষত বরং অক্ষতই থেকে যাক
চুলচেরা বিশ্লেষণ করে শরীরকে জানতে চেয়েছি
শরীর শুধু বিনয়ী হতে চায়
শুভ্র সকালের মতো চুপচাপ ওহে শিশির তুমিও বিনয়ী হও
আমি বরং মরে যাই-খুন হই,সুইসাইড করি
এই ভেতর,বাহির,চশমার চারপাশ যা দেখি-নিজস্ব
মনে হয়না কোন কিছু
কেবল একটা নিষ্পাপ শরীরÑশরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়
আর মন মনের ভেতর থেকে
চোখ থেকে তাবেদারি দৃষ্টিকে বিলীন হতে দেখি এক মহাকাল ব্যাপি
এই আমি,আমাকে আজ প্রশ্ন করি
ভেতরকার নোনতা জল থেকে বেরিয়ে আসিনা কেনো আর
কেনোবা বুনো চোখ থেকে পাঠ নেইনা চোখের পান্ডুলিপি
কবেকার নির্লজ্জ প্রেম, তাকে খামোখা ভাবি নিজ বর্গীয় এবং আত্নীয়
কেনো, কেনো?
কেউ তো জানেনা,প্রশ্নের ভেতর এতোটা উত্তর জমা থাকে,গোপনে?
এই আমার সমস্ত ভুল,সমস্ত অস্বীকার
আজ নিজের মতো করে ভাবতে শিখবো
নিজের কবিতার মতো ভাববোÑকবিতা যে আমায় কখনো আঘাত দিতে পারেনা
আমার বনস্পতি সময়,এভাবেই চলে যাচ্ছে ইদানিং
মারমুখো চাবুকের মতো ফুঁসে উঠি ঘোড়ার বেত্রাঘাতের মতো সাঁই সাঁই শব্দে
অথচ নেতিয়ে পড়া যার স্বভাব
আমি ঠুটো জগন্নাথ এক
কি যে অদ্ভূদ চেহারা দেখি,সিথানে,শুইয়ে,ঘুমিয়ে
টি শার্টের খাঁজে আটকিয়ে থাকা হাতের ছাপ তার!
বুড়ো আঙ্গুল সাক্ষি থাকে,থুতনীর নিচেকার কালো দাগ-এ্যালার্জিও বলতে পারো তাকে
এ কালের স্বরণীয় অঙ্গিকার ভুলে যায়,সব ভুলো যায়
এর নাম বেঁচে থাকা নয়
এই যে গোপন অসুখ,এই যে আঘাতের নীল দাগ
ঘরে পোষা মানুষ মানেই পোষ্য নয়Ñএইতো জানলাম
তাঁতিয়ে তোলা ঢেউ,আমার দিকে নাও আসতে পারে আর
ওহে দারিদ্র, ওহে নির্লজ্জ কবি
এখানে না দাড়ানোই ভালো গাছে অসভ্য চিলের আনাগোনা
আমার গল্প এইসব অনাগত চিলেরা কান পেতে শোনে,অনুভব করা শেখে
হয়তো এখান থেকেই শুরু হবে ধূসর চিলনামা!
আমার বেত্রাঘাত শুষে নেয়া শরীরের চামড়াকে
কেউ কেউ ভাবে গন্ডারের উপহার
তুমিও তাই ভাবতে পারো
ক্রোন্দনের সুরকে আমি সিকায় তুলো রেখেছি সেই আদিকাল,মহাকাল থেকে
শাজাহানপুর.বগুড়া