আরওপ্রবন্ধসর্বশেষ

সাহিত্য বিশারদঃ বাঙালির একতা

বাংলা সাহিত্যের যে রেঁনাসার সৃষ্টি হয়েছিল তা সত্যিই কী সমগ্র বাংলা সাহিত্যের রেঁনাসা ছিল? এমন প্রশ্ন যদি উঠে তবে সে প্রশ্নের জবাব কিন্তু খুব সহজ হবে না। কারণ বাংলা সাহিত্যের যে রেঁনাসার কথা আমরা জানি তা ছিল একটা নিদিষ্ট সম্প্রদায় বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। মূলত রেঁনাসার ছোঁয়াটা লাগে বাংলার হিন্দু সমাজের মধ্যে। এমন কথা পড়ে আমায় কেউ আবার সাম্প্রদায়িক ভাববেন না। বাংলার মুসলমান সমাজ তখন অনেক পিছিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের, শিখড়ের খোঁজে ব্যস্থ। তারা বাংলাকে তাদের পরবাস বলে মনে করছিল। আর তার ফলে তাদের ও হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তারা পারছিল না হিন্দুর সাথে মিশতে, না পারছিল বাংলা ভাষাকে গ্রহন করতে। না পারছিল ইংরেজদের সাথে তাল মিলিয়ে ইংরেজি শিক্ষা নিতে। ফলে তারা যেন ধীরে ধীরে সমাজচ্যুত হয়ে যাচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ যখন সারা পৃথিবী জয় করছিল, তখন কোন বাঙালি মুসলিম কবি বা লেখকের অস্তিত্বের কথা জানা যায় না।

সহজেই বুঝা যায়, বাংলা সাহিত্যের সেই রেঁনাসার ছোঁয়া একটি নিদিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে লেগেছিল। অন্য যে সম্প্রদায় এই ছোঁয়া থেকে বাইরে ছিল তারা দোটানায় থাকলেও তারা ছিল এই মাটি, মায়ের সন্তান।  তাদের মধ্যে এদেশকে, এ ভাষাকে নিজের বলে মনে করার বোধটা জাগ্রত করাই ছিল তখনকার দিনের মূখ্য কাজ। আর এ কাজটা যে ক’জন ব্যক্তি করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাংলার সমাজকে, সাহিত্যকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হলে হিন্দুদের সাথে সাথে মুসলমানদেরকেও এগিয়ে নিতে হবে। হতাশাগ্রন্থ এ সম্প্রদায়কে এগিয়ে নেয়ার একমাত্র উপায় তাদেরকে শেকড়ের দিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাদের পুরনো ঐতিহ্যের কাছে দাঁড় করানো। এখানে বেগম রোকেয়ার সেই কথার মত করে বলতে পারি, তখনকার সমাজটা যদি দু’চাকার গাড়ি হয়, তবে এক চাকা হিন্দু হলে অন্য চাকা মুসলমান। একটা অন্যটা থেকে বড় বা ছোট হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এগোতে হলে দু’দলকে নিয়েই এগোতে হবে। দু’সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য তৈরি কীতে হবে। আনতে হবে একতা। 
রবীন্দ্রনাথের একটি উদ্ধৃতি ছিল ‘চাঁদের এক পৃষ্ঠায় আলো পড়ে না, সে আমাদের অগোচর; তেমনি দুদৈর্বক্রমে বাংলাদেশের আধখানা সাহিত্যের আলো যদি নাপ পড়ে, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে চিনতে পারব না, না পারলে তার সঙ্গে ব্যবহারে ভুল ঘটতে থাকবে।’ সাহিত্যবিশারদ ‘প্রাচীন বাংলা পুথিসাহিত্য’ রচনায় মন্তব্য করেছেনঃ ‘সত্যই বাঙ্গালা দেশের বৃহত্তর অংশের উপরে আলো পড়ে নাই। ফলে সেই অংশ রহিয়াছে অন্ধকারাচ্ছন্ন।’
মুসলমানরা বাংলাকে হিন্দুর ভাষা বলে যে অবজ্ঞা করছিল তা ভাঙার জন্য সাহিত্য বিশারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল। তা আমরা জানতে পারি তাঁর নানা প্রবন্ধ ও অভিভাষণ থেকে। তিনি দুংখ করে বলেন, ‘ দেশ প্রচলিত ভাষাই কোন জাতির মাতৃভাষা ও জাতীয় ভাষা হওয়া উচিত। কিন্তু বাঙালী মুসলমানের মধ্যে কোন একটা নিদিষ্ট ভাষা মাতৃভাষা’র স্থানাধিকার করিয়া নাই। বাঙালার ভিন্ন ভিন্ন অংশে বিভিন্ন ভাষা মুসলমান সমাজে চলিয়া আসিতেছে। ইহার ফল এই দাঁড়িয়েছে যে বাঙালার অন্যতম অধিবাসী হিন্দুগনের সহিত একতার কথা দূরে থাকুক, বাঙালী মুসলমানদের মধ্যেও একটা ভাষাগত একতা সংস্থাপিত হইতে পারিতেছে না। এবং এই একতার অভাবই বাঙালীর জাতীয় শক্তি বিকাশের একটা প্রধান অন্তরায় হইয়া দাঁড়াইয়াছে।’
তিনি মনে করতেন তৎকালীন হিন্দু জাতির উন্নতির প্রধান কারণ ছিল, তাদের মাতৃভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি।  তিনি বলেছেন, ‘ কোন জাতিকে মন্ত্র বিশেষে দীক্ষিত করিতে হইলে জাতীয় ভাষা দ্বারাই সেই মন্ত্র দিতে হয়।’
মুসলমানরা যখন আরবি হরফে বাংলা লেখার মত বাতুলতা করছিল, বাংলা ভাষাকে ত্যাগের চেষ্টা করছিল তখন তিনি দৃড় কণ্ঠে বলেন, ‘ বাংলা ভাষা ত্যাগ করিলে বঙ্গীয় মুসলমানদের কোন মঙ্গল আছে বলিয়া আমার বিশ্বাস নাই। যদি কখনো অধঃপতিত বাঙালীর উদ্বোধন হয়, তবে বাঙ্গালার অমৃতনিষ্যন্দিনী বাণী ও অনলগর্ভা উদ্দীপনাতেই হইবে।’
১৯১৪ সালে ‘বাঙালার মুসলমানগণের মাতৃভাষা ‘ তে বলেন, ‘বঙ্গদেশ হিন্দু ও মুসলমানের দেশ এবং হিন্দু ও মুসলমান লইয়াই, বাঙালী জাতি গঠিত। এই দুই জাতির মধ্যে একটি সাধারণ ভাষা প্রচলিত থাকিলে তাহাতে জাতীয়তা গঠনের যেরূপ সহায়তা হইবে, তাহা আর কিছুতেই হইতে পারে না। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সম্মিলন সাধনের প্রয়োজন কী, তাহা বোধ হয় এখন আর কাহাকেও বুঝাইয়া বলিতে হইবে না। একমাত্র বঙ্গভাষাই বঙ্গের দুইটি সহোদর সমাজকে পরস্পরের প্রতি প্রীতিশীল ও অনুরাগ সম্পন্ন করিতে পারে।**** এই ভাষাই তাঁহাদের ক্ষুদ্র বর্ণগত পার্থক্য ঘুচাইয়া তাঁহাদের মধ্যে বিপুল অখণ্ড জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা করিতে পারে।’ সাহিত্য বিশারদ বার বার এই অখণ্ড জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। কারণ তিনি শুধু যে মুসলমানদের অগ্রগতি চাইতেন তা নয়, তিনি চাইতেন সমগ্র বাঙালী জাতি যেন এগিয়ে যায়।
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বনাম বঙ্গীয় মুসলমান’ শীর্ষক অভিভাষণে তিনি বলেন ‘বাঙালার মুসলমানগণের পৈতৃক জন্মভূমি যেখানেই হইক না কেন, বাঙালায় পদার্পন করিয়া অবধি তাঁহারা খাঁটি বাঙালীই হইয়া গিয়াছেন।’ তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, বাংলা ভাষাও তাদের আপন যেমন তা অন্য সম্প্রদায়গুলোর কাছে। বাংলার মুসলমান যদি বাংলাকে মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহন করতে পারে তবেই বাংলা সাহিত্যে প্রকৃত রেঁনাসা আসবে।
 
বাংলার মুসলমান সাহিত্য পিছিয়ে থাকার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিল হল তৎকালীন গবেষকদের মুসলমান সাহিত্যের প্রতি অবহেলা। বাংলা সাহিত্যের পুরনো ইতিহাস সংগ্রহ নিয়ে যখন চারদিকে ব্যাপক খুঁজাখুজি শুরু হয়, যখন একে একে বাংলা সাহিত্যের পুরনো ইতিহাস চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ইত্যাদি আবিষ্কার হয়ে বাংলা সাহিত্যের ভীত গড়ে উঠলছিল। তখন তা ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের স্তুতিবাণী। ফলে মুসলমানদের মধ্যে সন্দেহ জমতে থাকে এই ভেবে যে, তারা হয়ত এ অঞ্চলের আদি অধিবাসী নয়। তাই হয়ত তাদের কোন পুরনো সাহিত্যকর্ম নাই। তখন যাঁরা এসব সাহিত্যকর্ম ‘পুথি’ আবিষ্কার করছিল তাঁদের মধ্যেও এক ধরণের অনীহা ছিল মুসলমানদের সাহিত্যকর্ম খুঁজার ব্যাপারে। তাঁরাও ভেবেছিল হয়ত সত্যি সত্যিই মুসলমানদের কোন সাহিত্য ইতিহাস নেয়। কিন্তু এমন ধারণা সাহিত্য বিশারদের মনে খুব পীড়া দিত! তিনি কখনই এমন করে ভাবেননি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলার হিন্দুদের মত মুসলমানরাও এদেশ, মাটির সন্তান। তাদেরও সাহিত্যকর্ম আছে। এখন তা শুধু বের করে আনতে হবে।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে যে ব্যবধান বাংলার মুসলাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটা কমিয়ে দেন সাহিত্য বিশারদ।  তিনি হিন্দু মুসলিম সকলের পুথি সংগ্রহ করে দেখিয়ে দেন বাংলার মুসলমান কখনোই সাহিত্যক্ষেত্রে গরিব ছিল না। তারা হিন্দুদের মতই উন্নত ছিল। কখনো কখনো তাদের থেকেও বেশি। তিনি যেসব পুথি ইতিহাসের বুক থেকে আবিষ্কার করে আনেন তাতে প্রমাণ হয় যে বাংলার প্রাচীন মুসলমানরা বাংলা ভাষাকেই আবহমান কাল ধরে মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহন করেছে। তিনি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ আবিষ্কার করে দেখান বাংলার প্রাচীন মুসলিম সাহিত্য কত সমৃদ্ধ ছিল। তিনি ত আলাওলকে মধ্যযুগের রবীন্দ্রনাথ বলে উল্লেখ করেন।

তখন মুসলমানদের কোন হিন্দুর ঘরে এমনকি উঠোনে পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল না।এমনি এক সময় সাহিত্যবিশারদ দূর থেকে দাঁড়িয়ে হিন্দুর ঘরে রক্ষিত পুথির লিপি বা তথ্য সংগ্রহ করতেন। এমন ত্যাগ তিনি কেবল সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসার জন্য নয়। এর ভিতরে আরো কিছু ছিল। আর সেটা হল জাতির সেবা। জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি। তিনি কেবল মুসলমানদের ঐতিহ্য অন্বেষা করেননি, তাঁর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হিন্দুদেরও ধর্মীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন। বৌদ্ধ সংস্কৃতি আবিস্কারের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অনেক। ড. এনামুল হকের সাথে রচিত ‘আরকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য’ গ্রন্থে তিনি দেখালেন আরকানি রাজাদের সাথে বাংলার মুসলমান কবিদের কী সৌহার্দ্য ছিল!
ঐতিহ্যের কাছে তিনি বার বার ফিরে গেছেন। তিনি মনে করতেন ঐতিহ্যকে অস্বীকার করার মানে নিজের ভিত্তিকে অস্বীকার করা। মাটির ভিত্তিতেই তাজমহল দাঁড়িয়ে থাকে। তাজমহলের এমন সৌন্দর্যের পেছনে মাটিরও ভূমিকা অনেক। আর বাংলার মুসলমানদের সাথে আরব পারস্যের একটা গভীর যোগ থাকলেও তাঁরা এদেশের আলো হাওয়ায় মানুষ। তাঁদের আছে একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ বাংলার পরিবেশই তাদের ভিত্তি। এখান থেকেই তাঁদের উন্নতি সম্ভব।
সাহিত্যবিশারদ প্রায় সাড়ে ছয়শ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। এসব প্রবন্ধ নানা বিষয়ে রচিত। এখানে তিনি মধ্যযুগের সাহিত্য নিয়ে যেমন আলোচন করেছেন, তেমনি তৎকালীন জাতীয় জীবন, সমাজ ইত্যাদি বিষয়াবলিও আলোচিত হয়েছে। তিনি অনেক প্রবন্ধ মুসলমান সমাজ নিয়ে লিখলেও সেসবের মূল সুর ছিল বাঙালির মধ্যে একতা সংস্থাপন। অতীত যুগের মুসলমানগণের সাহিত্যানুরাগ, আফগান জাতির মাতৃভাষা, আমাদের কর্তব্য, আমাদের পুথি সাহিত্য, আরবী অক্ষরে বাংলা লিখা, ইংরেজি ও মুসলমান, কতিপয় শ্যামা সংগীত, চক্রশালার বৌদ্ধ মন্দিরের ইতিহাস, চট্টগ্রামে মগধেশ্বরী, চট্টগ্রামের জামে মসজিদ, চট্টগ্রামের প্রাচীন কবিগণ, নরোত্তমের রাধিকার মানভঙ্গ, নবাবিষ্কৃত একখানি বিদ্যাসুন্দর, নূতন মুসলমান বৈষ্ণব কবি, প্রত্নতত্ত্বের যৎকিঞ্চিত, মুসলমান কবির বাঙালী গীত, মুসলমান কবির বিদ্যাসুন্দর, স্বদেশী আন্দোলন ও মুসলমান সমাজ  ইত্যাদি ইত্যাদি।
তেঁতুল দেখলে যেমন জিবে জল আসে, তেমনি পুথির কথা বললে তিনি আর স্থির থাকতে পারতেন না। সে পুথি উদ্ধার করে লেগে যেতেন গবেষণায়। সেখান থেকে বের করে আনতেন হারানো গৌরব, ইতিহাসকে, যেমন করে ডুবুরি ডুব দিয়ে তল সাগর থেকে মণি, মুক্তা তুলে। তিনি বলতেন পুথি তাঁর কাছে কঙ্খালের মত, যেখানে তিনি হাজার বছরের প্রবাহধ্বনি শুনতেন। মধ্যযুগের চাপা পড়া চারশ বছরের ইতিহাস উদ্ধার করে তিনি শুধু বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তা নয়, সাথে সাথে বাংলার মুসলমান হিন্দুসহ সকল ধর্মজাতিকে বুঝালেন কী এক ঐক্যের সমাজ বিরাজমান ছিল সমগ্র বাংলায়।
তাঁর মন প্রাণ জুড়ে ছিল পুথি সাহিত্য। তিনি যেমন পুথি সংগ্রহ করে জাতির এক অজানা ইতিহাসকে সামনে আনেন, তেমনি তাঁর মনে একটাই চাওয়া ছিল যেন বাংলার হিন্দু মুসলিম এক হয়ে এগিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় জাতিগত একতা। যার কাছে হার মানবে সকল ধর্মীয় গোঁড়ামী, কুসংস্কার।

পটিয়া, চট্টগ্রাম ।

এই লেখাটি শেয়ার করুন
ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

ছাইলিপির কথা

লেখালিখি ও সৃজনশীল সাহিত্য রচনার চেষ্টা খুবই সহজাত এবং আবেগের দুর্নিবার আকর্ষণ নিজের গভীরে কাজ করে। পাশাপাশি সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্য বিশেষ তাগিদে অনুভব করি। সেই প্রেরণায় ছাইলিপির সম্পাদনার কাজে মনোনিবেশ এবং ছাইলিপির পথচলা। ছাইলিপিতে লিখেছেন, লিখছেন অনেকেই। তাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এই ওয়েবসাইটের প্রতিটি লেখা মূল্যবান। সেই মূল্যবান লেখাকে সংরক্ষণ করতে লেখকদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। কোন লেখার মধ্যে বানান বিভ্রাট থাকলে সেটির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ছাইলিপি সম্পর্কিত যে কোন ধরনের মতামত, সমালোচনা জানাতে পারেন আমাদেরকে । ছাইলিপির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ছাইলিপির নতুন সংযোজন ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল Chailipi Magazine। সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করা থেকে বিরত থাকুন ! বিশেষ প্রয়োজনে ইমেইল করুন [email protected]