কিশোরী বয়স,
কতোরকম স্বপ্ন ডানা মেলে চোখের আকাশে।
একটা ঈদ; নতুন শাড়ি, চুড়ি রঙিন ফিতা।
সাবলীল সহজ কিছু চাওয়া-পাওয়া।
সব চাওয়াতে মেলেনা পূর্ণতা,
বাবা যে তার দেশ প্রেমিক।
কারাবরণেই কেটে গেল বারটি বছর!
ছোট ছোট চাওয়াগুলো হারিয়ে গেছে।
সেই চঞ্চলা কিশোরী নিজের ইচ্ছেগুলো বাক্সবন্দী করেছে।
সে যে পরিবারের বড় মেয়ে,
সবার আবদারের ফাঁকে নিজের স্বাদ-আহলাদ লুকিয়ে রেখেছে।
তারপর এল সেই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট।
দুঃসহ বেদনায় বিদগ্ধ জীবন।
এরপর কত ঈদ এলো, গেল চলে।
কখনোই কেনা হলোনা শখের শাড়ি-চুড়ি।
উৎসব এলেই যে প্রিয়জন হারানোর ব্যথায় বুকটা ভারী হয়।
তরুণী বয়স থেকে আজ তিনি পরিণত বটবৃক্ষ।
এই আমাদের হাসু আপা।
সেই দিনের কিশোরী থেকে আজ দেশরত্ন।
সেই অবুঝ স্বপ্নের বেলা হারিয়ে গেছে।
হারিয়ে গেছে জীবনের বাঁকে হাজারো বাসনার অনুভূতি।
তবু গণমানুষের আশার বাতিঘর হয়ে তিনি প্রজ্বলিত চিরদিন।