অজ্ঞাতনামা গল্পগুলো কাঁদে শিরোনাম না পাওয়ার আক্ষেপে!
পথে পড়ে থাকা শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো নির্বাক মুখে তাকিয়ে রয়;
কেউ যদি এবার কুড়িয়ে নেয়!
টিনের চালের ফু্ঁটো দিয়ে চাঁদকে মেঘের মধ্যে বিসর্জন দিতে দেখে শেষ বয়সের বৃদ্ধ!
ক্ষুধা মেটে না;পৃথিবী ঘুরে যায়, হয় না রুদ্ধ।
ধরণিতে ঘুরে ফিরে অভিশাপ আসে-
পাপ-পূন্যের হিসেবে হাসে শোষণ-দূষণ
এই সমাজ;এই অভিশাপ; এই বাস্তবতা!
আড়ালে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুদ্ধ!
পূন্য আজ অভিশাপের কাঠগড়ায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত!
ক্ষোভের আগুনে মাটির তল্লাটে টেকটনিক প্লেটের হরতাল,
হয় কোন্দল,সংঘর্ষ!
মানবতার পিঠে চড় মেরে জেগে ওঠে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
পাপের চূড়ায় শয়তান বেয়ে ওঠে সিড়ি
চুপ থাকে মহাকাশ, কখনো কখনো ক্ষুদ্র পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসে ধ্বংসযোগ্য।
গাছগুলো মরে যায়,সুর্য অভিশাপ দেয়।
সমুদ্র হাহাকরে করে দূঃখের বানভাসায়।
পাহাড় বলে, মেঘ তুমি মানুষ নও!
তুমি মেঘ গলে যাও, বৃষ্টি ঝড়াও।
মানুষ তুমি বড় অসহায়,
মানুষ তুমি নিজের মৃতদেহের উপরে নৃত্যলীলায় মেতে ওঠো।
মানুষ তোমার মেরুদন্ড নামে শিরদাঁড়া পাপড়ির চেয়েও নরম।
মানুষ তুমি ধ্বংসযোগ্যে হাহাকার করো!
তুমিই মানুষ, তুমিই অমানুষ,
তুমি ধ্বংসাবসেসে উচ্ছ্বসিত ক্ষুদ্র এক শুক্রাণু।
এই তল্লাট খেকো সৃষ্টির সেরা জীব
কখন কখনো তল্লাট খেকো কীট!
তুমি মানুষ নও, তুমি ধ্বংসযোগ্য
তল্লাটে ঘুরে বেড়ায় অভিশাপ; এই কবিতার শিরোনাম নেই!
এই কবিতার নাম অজ্ঞাতনামা!