মেহনতী জনতা
ঐ যে দেখ দিগন্ত জোড়া
ফসলে ঘেরা গ্রাম,
প্রতি শস্যে মিশে আছে দেখ
কৃষকের তাজা ঘাম।
দুইটি হাত শুধু হাত নয় যেন
শিল্পীর আঁকা রংতুলি,
যার মেহনতে সমৃদ্ধ আজ
গ্রাম বাংলা, শহরতলী।
রোদ বৃষ্টি সব তুচ্ছ করে
ওঁরা গড়ে নব সভ্যতা,
ওঁরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান
মেহনতী জনতা।
ধৈর্য আর ত্যাগের মহিমায়
ওঁরা হিমালয়ের চেয়ে উঁচু,
অন্যায় আর মন্দের কাছে
ওঁরা হয়না কখনোই নিচু।
ওঁদের হাতেই গড়ে ওঠেছে
বিশ্ব এই সংসার,
ওঁদের হাতেই আছে দেখ
সভ্যতার হাতিয়ার।
স্বপ্ন ও একমুঠো রোদ
টিনের ফাঁক বেয়ে আশা এক মুঠো রোদ
আমার ঘুম ভাঙ্গায়,
এক ঝলক রোদ, এক টুকরো স্বপ্ন
এই আমার সম্বল।
লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে বাবা মাঠে যায়
ক্লেদ মাখা জমিতে বুনে নতুন স্বপ্ন,
প্রতিটি কর্ষণে ধুয়ে মুছে যায়
কষ্টে ভরা সব পুরোনো স্মৃতি।
বলদগুলো কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে
গায়ে হাত বুলিয়ে বাবা নিরবে কাঁদেন,
বলদরা ও বাবার কষ্ট বুঝে
দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আবারো মাথা তুলে দাঁড়ায়
স্বপ্ন বুনে নতুন দিনের।
ক্লান্ত দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর,
বাবার মতো হাজারো চাষীর
হট্ হট্ হুরর…..শব্দের ঝঙ্কার
আন্দোলিত করে হৃদয়ের আঙিনা।
জমির আইলে বসে তামাক টানার ফাঁকে
চাষীরা মেতে ওঠে খুনসুটিতে।
দিনের ক্লান্তুি শেষে রাত নামে
নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে সমস্ত গ্রাম,
হারিকেনের মৃদু আলোয়
আমি স্বপ্ন বুনি অনাগত দিনের,
পদ্যের ভাঁজে লিখে যাই
জীবনের সব গল্প।
জানালার পাশে তাকিয়ে দেখি
এক ঝাঁক ঝিঁঝি পোকা
মৃদুস্বরে তারা গাইছে গান;
এক মুঠো রোদ, এক টুকরো স্বপ্ন
এই তো সম্বল।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ ,সলিমুল্লাহ মুসলিম হল , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।