পথ চলতে চলতে দেখা হয়েছিলো কাশবনের পাশেই একটা
নাম না জানা নদীর সাথে।
ওর সাথে কিছুক্ষণ সুখ দুঃখের গল্প
করে যখন আবার হাঁটতে
শুরু করলাম, তখন দেখা হলো কয়েকটা অভিমানি গঙ্গাফড়িং এর সাথে।
ওরা আমার সাথে তাদের
অনেক দিনের জমানো অভিমানের কথা গুলো বললো মুখ ভার করে,
তারপর চলে গেলো।
এদিকে তখন সন্ধ্যা নেমে এলো,
একটু একটু করে সবকিছু যখন
অন্ধকার হয়ে আসলো,
তখন দেখি বেশ কিছু সুদর্শন
ও জোনাকির ঝাঁক উড়ে আসলো
আমার সামনে, ওদের সাথেও
কথা হলো বিনিময়।
ওরা বর্তমান পরিবেশে তাদের
টিকে থাকা কষ্টকর বলে অভিযোগ তুলে মানুষকে দোষারোপ করলো,
তারপর আবার কোথায় জানি
উধাও হয়ে গেলো।
এরপর আবার চলতে লাগলাম আমার পথে,
আমার পথে, হঠাৎ দেখি কিছু
শীতের পাখি উড়ে যাচ্ছিলো
জ্যোৎস্না ভেজা রাতে।
আমাকে দেখে ওরা একজায়গায়
চুপ করে একটা বড়ো গাছের উপরে বসে কিচিরমিচির করে তাদের দুঃখের কথা গুলো মনেহয়
এক নিঃশ্বাসে বলে গেলো,
তারপরই ওরা আবার
উড়ে গেলো অসীম আকাশে।
এরপর হাঁটতে হাঁটতে যখন একটু ক্লান্ত হয়ে একটা গ্রামের আলপথ
ধরে হাঁটছিলাম ; তখন দূর্বাঘাস,
সদ্য কচি ধানের শীষ, শীমের
বেগুনি ফুল, কয়েকটা লাল পিঁপড়ের দল আমাকে বলে গেলো
ওদের যতো কথা।
আমি ওদের সবাইকে কথা দিয়েছিলাম
আমার কবিতায় ওদের অভিযোগ এবং দুঃখ গুলো তুলে ধরবো।
কিন্তু আমি পারিনি
এসব কিছুই তুলে ধরতে,
লজ্জা আর মানুষ হিসেবে
নিজের উপরই ঘৃণা কেবলই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো পাহাড় সমান!
ওদের প্রত্যেকটা অভিযোগ মানুষের
বিরুদ্ধে ছিলো বলে আমারও
হলো না এতোদিন বলা!