আতিদ তূর্য
এক.
একটি সুস্বাদু জীবনের রেসিপি
তোর খোপায় গুঁজে দেবো,
পাহাড়ি কোন এক রঙিন ফুল।
তোকে নিয়ে ১৮০০ ফুট উঁচুতে,
হৃদয়ের টবে গুছিয়ে সাজাবো।
মেঘ আমাদের দেবে জল।
আমাদের উপত্যকায় হবে
আনারস,তরমুজ বা মিষ্টি কোন ফল।
জুম চাষে হবে স্বস্তির ঘুম।
পাহাড় ধসের মতোন ভয়গুলো যাবে ধসে!
প্রশ্রয়ের আদিম কামনা নিয়ে,
রাতের বেলায় তাড়ি-চোখে ফিরবো ঘরে
সংসারের একচ্ছত্র অধিপতির কাছে।
আধিপত্যবাদীর লোভী চোখ যেনো
না পায় আমাদের খোঁজ।
তাদের জ্বালানো আগুনকে আমরা বিড়াল শাবকের মতো মানাবো পোষ।
প্রকৃতির সন্তানকে পোড়ায় এমন সাধ্য কার?
দূর কোনো ঝর্ণা থেকে গোসল সেরে,
একখণ্ড লাল কাপড়ে বুকে জড়িয়ে তুই ফিরবি ভেজা চুলে, ভেজা মাটি দেবে তোর সলাজ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী।
হুঁকো হাতে দাওয়ায় বসে থাকবো আমি,
রোদে ঝলমল করা তোর শাদা শরীর,
দূর থেকেই আমার চোখে দেখাবে সোনালী ধানের স্নিগ্ধতা।
আমি হতে চাই না সেই বিচারপ্রার্থী,
যার বৌকে দুর্বৃত্তেরা দিনে-দুপুরে করবে ধর্ষণ বা খুন!
আমি শুধু নারী আর নিসর্গ বুকে নিয়েই
একজীবন কাটাবো ভেবেছি,
জমির দাগ-খতিয়ান বুঝি না,
শুধু বুঝি ভূমিপুত্রদের দীর্ঘ যাপিত ইতিহাস।
দুই.
উত্তমাশা
একটা ছোট্ট দ্বীপ হোক আমাদের।
আয়তনে খুবই ছোট,
যেন-বা এক চিলতে পাড়া।
চারিদিকে জল থাকলে ভালো,
নীর শুষে নেবে জলধি।
জোয়ারে চলাচলের জন্য
ছোট্ট ডিঙা থাক,
উঠোনে শুঁটকি শুকাবে তুমি,
অামি চোখে যদি-বা কম দেখি,
গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিক চলে যাবো তোমার কাছে!
ছোট্ট একটি তিল থাক চিবুকে।
হাসিতে গজদাঁত থাক।
গলার ভাঁজে ঘাম থাকলে বেশ,
আয়োডিন পাওয়া যাবে চুমুতে।
দ্বীপ না হোক ছিটমহল থাক,
পরিচয় হোক ভাসমান কিংবা স্থানু।
স্থলকে আঁকড়ে হয়ে যাবো চিরস্থবির।
ধরো, কোনো এক সকালে,
হঠাৎ শুনতে পেলে-
তুমি-আমি ভাগ হয়ে গেছি রাষ্ট্রীয় জালে;
আমাদের মাঝে নামে যদি কাঁটাতার,
আরেকটি দেশভাগ কী হতে দেবে তুমি?