একজন কবি এবং তার কবিতা | আতিদ তূর্য

একজন কবি এবং তার কবিতা | আতিদ তূর্য

আতিদ তূর্য

এক.

একটি সুস্বাদু জীবনের রেসিপি

তোর খোপায় গুঁজে দেবো,
পাহাড়ি কোন এক রঙিন ফুল।
তোকে নিয়ে ১৮০০ ফুট উঁচুতে,
হৃদয়ের টবে গুছিয়ে সাজাবো।
মেঘ আমাদের দেবে জল।
আমাদের উপত্যকায় হবে
আনারস,তরমুজ বা মিষ্টি কোন ফল।
জুম চাষে হবে স্বস্তির ঘুম।
পাহাড় ধসের মতোন ভয়গুলো যাবে ধসে!
প্রশ্রয়ের আদিম কামনা নিয়ে,
রাতের বেলায় তাড়ি-চোখে ফিরবো ঘরে
সংসারের একচ্ছত্র অধিপতির কাছে।
আধিপত্যবাদীর লোভী চোখ যেনো
না পায় আমাদের খোঁজ।
তাদের জ্বালানো আগুনকে আমরা বিড়াল শাবকের মতো মানাবো পোষ।
প্রকৃতির সন্তানকে পোড়ায় এমন সাধ্য কার?
দূর কোনো ঝর্ণা থেকে গোসল সেরে,
একখণ্ড লাল কাপড়ে বুকে জড়িয়ে তুই ফিরবি ভেজা চুলে, ভেজা মাটি দেবে তোর সলাজ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী।
হুঁকো হাতে দাওয়ায় বসে থাকবো আমি,
রোদে ঝলমল করা তোর শাদা শরীর,
দূর থেকেই আমার চোখে দেখাবে সোনালী ধানের স্নিগ্ধতা।
আমি হতে চাই না সেই বিচারপ্রার্থী,
যার বৌকে দুর্বৃত্তেরা দিনে-দুপুরে করবে ধর্ষণ বা খুন!
আমি শুধু নারী আর নিসর্গ বুকে নিয়েই
একজীবন কাটাবো ভেবেছি,
জমির দাগ-খতিয়ান বুঝি না,
শুধু বুঝি ভূমিপুত্রদের দীর্ঘ যাপিত ইতিহাস।

দুই.

উত্তমাশা

একটা ছোট্ট দ্বীপ হোক আমাদের।
আয়তনে খুবই ছোট,
যেন-বা এক চিলতে পাড়া।
চারিদিকে জল থাকলে ভালো,
নীর শুষে নেবে জলধি।
জোয়ারে চলাচলের জন্য
ছোট্ট ডিঙা থাক,
উঠোনে শুঁটকি শুকাবে তুমি,
অামি চোখে যদি-বা কম দেখি,
গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিক চলে যাবো তোমার কাছে!

ছোট্ট একটি তিল থাক চিবুকে।
হাসিতে গজদাঁত থাক।
গলার ভাঁজে ঘাম থাকলে বেশ,
আয়োডিন পাওয়া যাবে চুমুতে।

দ্বীপ না হোক ছিটমহল থাক,
পরিচয় হোক ভাসমান কিংবা স্থানু।
স্থলকে আঁকড়ে হয়ে যাবো চিরস্থবির।
ধরো, কোনো এক সকালে,
হঠাৎ শুনতে পেলে-
তুমি-আমি ভাগ হয়ে গেছি রাষ্ট্রীয় জালে;
আমাদের মাঝে নামে যদি কাঁটাতার,
আরেকটি দেশভাগ কী হতে দেবে তুমি?

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
বিদিশার জন্য ভালোবাসা

বিদিশার জন্য ভালোবাসা

আবু সাঈদ ইমন  পাখির কিচিরমিচির শব্দ কানে শুনতে পাচ্ছি। এই বুঝি সকাল হল।দুচোখ মেলতেই জানালার ফাঁক দিয়ে রোদের চিকন আলো চোখে এসে পড়ছে। ওঠে ফ্রেশ ...
শেষ যাত্রা

শেষ যাত্রা

আবিদ হোসেন জয় [১] সি.এন.জি ড্রাইভার আব্বাস মিয়া পরপর দু’বার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে হাত ঘড়ির দিকে তাকালেন। রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। তিনি বড় রাস্তার ...
কবিতা - প্রিয়জন

কবিতা – প্রিয়জন

নির্মল ঘোষ এইতো আর কটা দিন, বর্ষা পেরিয়ে আসবে শরৎ, চারিধারে ছেয়ে যাবে সাদা রঙের কাশফুলে। আনন্দে আপ্লুত হবে গোটা দেশ। আকাশে মেঘেরা খেলা করবে বাঁধনহারা। ...
সেই ছেলেটি

সেই ছেলেটি

সুবর্ণা চক্রবর্তী কোথায় গেল সেই ছেলেটি হাসতো সারাবেলা, লেখাপড়ায় খুবই ভালো খেলতো ভালো খেলা।   স্বপ্ন দেখতো বড় হয়ে ক্রিকেটার সে হবে, দেশ ও দশের ...
সিনেমা পর্যালোচনা- বসু পরিবার

সিনেমা পর্যালোচনা- বসু পরিবার

হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার  সুমন ঘোষ পরিচালিত “বসু পরিবার” একটি বাংলা চলচ্চিত্র। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চ্যাটার্জী এবং অপর্ণা সেন। এটি ১৮ বছর পর এই ...