অমিত মজুমদার
দু’হাত ভরে আষাঢ় শ্রাবণ ঢালার পর
বুঝতে পারি তুমিই তো সেই কেশবতী
একটু আধটু গল্প হলে কিংবা চ্যাট
মানতে হবেই তুঙ্গে আমার বেস্পতি।
এরপরই তো কায়িকশ্রমে লোম খাঁড়া
তাবিজ খুলতে শুক্র ছেড়ে মঙ্গলে
স্নানের আগে প্রাচীন পেরেক নগ্ন হয়
শিরীষ ঘষে শরীর থেকে জং খোলে।
এটাই একটা রাজ্যস্তরের স্টিল ছবি
ইউটিউবের ক্লিপিংসগুলোয় ফাঁক থাকে
ঘোড়ার দৌড়ে পয়সাকে যে নাগাল পায়
সেই এখানে রাজার মতো নাক ডাকে।
রাজাই তবে লুঙ্গি নয়তো গেঞ্জি তার
শরীর জুড়ে বস্তিটাইপ কোলকাতা
হাতের তালু একটু দেখো ফ্ল্যাগ তুলে
লুকিয়ে রাখে তামাক ভর্তি গোল পাতা।
রাজস্ব নেই, চালেই বৃষ্টি শিলের ধুম
বর্ষা মানেই যোগ বিয়োগের কি দম্ভ!
মানোত্তীর্ণ ট্রাফিক পুলিশ সিল দিলেই
কঠিন থেকে তরল হবেই নিতম্ব।
এরও পরে মাথার থেকে লেজের দোষ
ওখান থেকেই সুতোর টানে বেল বটম
যতই এগোই পেছন থেকে তোমার মুখ
একটু জোরে হেঁচকি দিলেই খেল খতম।
কপাল ফেটেই লিখতে পারে নদীর নাম
সেসব ফাটল জোড়ার জন্য সৃষ্টি হাত
আলগা হাওয়ায় হাতের ওপর হাত রেখে
চোখের ওপর চোখ রাখাই তো বৃষ্টিপাত।