গোবিন্দলাল হালদার
রূপের চন্দ্রিমা
জোছনাও এসে ছুঁয়ে যায় অন্ধকার শরীর।
আমি ছোঁয়াকে ছুয়ে দিয়েছি অনেক দিন
আগে। ধবধবে আলোর উঠোনে পূর্ণিমা
রাতের স্বাক্ষী নিয়ে। সুস্থ বাতাসের ঢলে
এখনো ছোঁয়ার শরীর থেকে গন্ধরা আসে
আমার নাকের সীমানায়। অনুক্ষণ ডুবতে
থাকি পূর্বের সন্ধিক্ষণে। শুধু দূরত্বের জন্য
দৃষ্টিতে আঁকতে পারি না রূপের চন্দ্রিমা।
পাথর ভাঙা কষ্ট
অনুপস্থিত প্রহরে ভাবনার চোখে
যতবার দেখি তোমাকে ততবার আলোরা এসে
ফুটিয়ে তোলে তোমারই শিল্পী মুখের
মোনালিসা প্রতিকৃতি।
যতবার মিষ্টি চিন্তার জলে ভিজে যাই,ততবার
অনুভূতির সারগাম বুকে বেজে ওঠে কষ্টের বিউগলে
তখন বুকের অলিন্দ পাড়ায়
নিরামিষ আকাঙ্খারা চিরিত করে ওঠে।
চোখ ছোটে দিকবিদিকের দৃশ্য পর্দায়। মন ছোটে
মিলনের অভিপ্রায়ে। অস্থিরতা ডুবায় কষ্ট রঙে।
দূরে থাকলে যা হয়। নিকটে না থাকলে যা হয়।
পাথর ভাঙলেও সে কষ্ট খুঁজে পাবে না।
রমনী রোদ গায়ে মেখে
তুমি সময় নিয়ে এসো। আমাদের পানের বরজের পাশ
দিয়ে পূনরাবৃত্ত কথা চিবুতে চিবুতে এগিয়ে যাবো শাখা
আলুর খেত দিয়ে কলমি শাকের কাছে। যেখানে জোড়া
মুনিয়া চঞ্চু ঘোষে প্রেমালাপ করে। ঘন সারিতে দাঁড়ানো
ভুট্রো গাছের গোপন বাসরে লুকিয়ে গেলে জীবনানন্দের
দু’চোখে খুঁজে নিয়ো। দেখো,দেখো!ওই দূরে সুতো বিল
চিকচিক করছে আদুরে জল। গাব গাছের ডালে একটি
ধ্যানী মাছরাঙা প্রেম বউ মাছের আশে মৃন্ময় হয়ে বসে
আছে। বিলের শাপলা ফুলের মোহনীয় রূপে ডুব দিয়ে
বিকেলের রমনী রোদ গায়ে মেখে ওই দিগন্তের ইশারায়
কিছুটা সময়ের জন্য আমরা হারিয়ে যাবো,মনে মনে…
চরপাড়া,বেড়া,পাবনা, বাংলাদেশ