এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?

এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?

এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?

 

ভাইরে ভাই! বন্ধুবান্ধব একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ার মজা আর কিছুতে নেই। সেই সাথে বসে যদি কোন খেলা শুরু করে দেয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। তবে এবার বন্ধুদের মাছে শুরু হলো নতুন এক খেলা। খেলার নাম ‘এক মাছলি’। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরালের এই দুনিয়ায় কিছু একটা ভাইরাল হলে তার থামাথামির কোন শেষ নেই। সম্প্রতি ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল হয়েছে নতুন এই খেলা, যেটির প্রচলন অবশ্য ভারতে হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন অন্যভাবে, সোশ্যাল মিডিয়াতে আজ কাল কোন ভিডিও যদি ট্রেন্ড শুরু হয় তাহলে তা রিক্রিয়েট করতে সবাই উঠে পরে লাগে।

আরও জানতে ভিডিওটি দেখুন-

ট্রেন্ডের দুনিয়ায় নতুন কিছু এসে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাস শব্দটি থেকে ভাইরাল এসেছে। ভাইরাসের মতো ছড়াবে তাতো বটেই। তবে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো ভাইরাল হলে দোষ কিসে? অনেকেই আবার এই ট্রেন্ডে তিক্ততার শিকারও হচ্ছেন। একজন লিখেছেন, এটা Facebook নাকি “মাছের বাজার” ধরতে পারবেন না। সবাই “এক মাছলি”, “এক মাছলি” করে যাচ্ছে।’ আবার আরও একজন লিখেছেন ,
“পানি মে গেয়ি, পানি মে গেয়ি, পানি মে গেয়ি
ছাপাক, ছাপাক, ছাপাক”




কেউ আবার রম্যের সুরে লিখেছেন,
“এক মাছলি
কড়াই পে গায়ি
অর ফির, মুচমুচে ভাজা হো গায়ি
এক মাছলি
পানের উপর চলে গেছে
অর ফির, মুচমুচে ভাজা হো গায়ি ”

আরও একজন লিখেছেন,

এক মাঠে গিয়ে দেখি কয়েকটি মেয়ে কি যেন ছুপাক, ছাপাক, পানি-মে গায়ি খেলতেছে। কাহিনী বুঝতেছি না, আমার পাশে থাকা এক বন্ধু বললো, ‘ওরা কি খেলে রে? আমি বললাম, ‘তুই জিজ্ঞেস কর।’ সে অবশ্যই ভদ্রতার খাতিরে জিজ্ঞেস কিরলো না। পাশে থাকা আরেক বন্ধুর মাথায় চট করে বুদ্ধি খেলে গেলো৷ সে বললো বোস এখানে। আমরা বসে পড়লাম। তারপর সে তাদের ফলো করে খেলা শুরু করলো, ‘জয়েন্ট’ ‘স্টিক’ ‘নিমাই’ ‘পুর’ এভাবে খেলা চললো। কিছুক্ষণ বাদে মেয়ে তিনটি আমাদের পাশে এসে বললো, ‘তোমরা কি খেলছো?’ আমার সেই খেলা আবিস্কার করা বন্ধুটি বললো, ‘এটি দেশাল খেলা’ খেলবে তোমরা?

এক মাছলি, দো মাছলি, ছাপাক” এই দিয়ে শুরু হয় খেলাটি। খেলাতে সর্বনিম্ন দুইজন আর সর্বোচ্চ তিন/চার জন্য হলে বেশি ভালো হয়। অবশ্য কেউ ধারাবাহিক শব্দে ভুল করলে, তাকে তৎক্ষণাত বাদ পড়তে হয়।এভাবে চলতে থাকে কয়েক রাউন্ড। একেকজন বাদ পড়তে পড়তে ছন্দ গুলো যে সঠিক ভাবে মনে রেখে মিলাতে পারবে সেই হবে জয়ী।

কিভাবে খেলে এক মাছলি? চলুন জানা যাক। খেলাটা অনেকটা রক পেপার সিজারের মতো। তবে ঠিক রক পেপার সিজারের সাথে তুলনাও করা যায় না।

প্রথম রাউন্ডের নাম এক মাছলি-
প্রথম রাউন্ডঃ এক মাছলি, পানি মে গাই ,ছাপাক

দ্বিতীয় রাউন্ডের নাম দো মাছলি-
দ্বিতীয় রাউন্ডঃ দো মাছলি, দো মাছলি, পানি মে গাই, পানি মে গাই, ছাপাক ঝাপাক

তৃতীয় রাউন্ডের নাম তিন মাছলি-
তৃতীয় রাউন্ডঃ তিন মাছলি, তিন মাছলি, তিন মাছলি পানি মে গেয়ি, পানি মে গেয়ি, পানি মে গেয়ি
ছাপাক, ছাপাক, ছাপাক




তাহলে পুরো খেলাটা এক নজরে দেখা যাক-
এক মাছলি + পানি মে গেয়ি + ঝাপাক
দো মাছলি দো মাছলি+ পানি মে গেয়ি, পানি মে গেয়ি + ঝাপাক ঝাপাক
তিন মাছলি তিন মাছলি তিন মাছলি + পানি মে গেয়ি পানি মে গেয়ি পানি মে গেয়ি + ঝাপাক ঝাপাক ঝাপাক ।

এভাবে চলতে থাকে কয়েক রাউন্ড, একটি সহজ বিষয় মনে রাখবেন- এক মানে এক মাছলি এই ছন্দটি শুধুমাত্র একবারই হবে। দো মানে দো মাছলি এটি দুই বার করে হবে। (কিন্তু আপনাকে একবারই বলতে হবে) কেউ যদি মাঝ খান থেকে পানি মে গাই বলে তাহলে সে বাতিল হবে। আবার তিন মাছলি রাউন্ডে আপনি বলবেন তিন মাছলি, এরপরের জন তিন মাছলি বলবে তার পরের জনও তিন মাছলি বলবে, অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে তিনজনই তিন মাছলি বলবে। এর মাঝখান থেকে কেউ বলতে ভুলে গেলে অথবা রাউন্ডের সংখ্যার কথা ভুলে গেলে সে বাদ পড়বে।

এভাবে ছন্দের সাথে মিলিয়ে খেলা চলতে থাকে। এটি অবশ্য ঠিক যে, আধুনিকতার এই যুগে এরকম খেলা হয়তো ব্যাকডেটেড থেকে নতুন সংস্কার হয়েছে তবে ভাইরালের এই দুনিয়ায়, বন্ধুদের সাথে বসে ভিডিও ধারণ করে খেলা চলছে “এক মাছলি” এটা তো সবে মাত্র শুরু হয়েছে এর শেষ কোথায় সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া কোন বিষয় বস্তু সহজে ট্রেন্ড হারিয়েছে এমন বিষয়টি খুব কমই হয়েছে।

প্রিয় পাঠক? বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর বন্ধুদের সাথে চাইলে খেলতেও পারেন একরাউন্ড।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram

সেদিন দেখা হয়েছিল

জোবায়ের রাজু দীর্ঘ অপেক্ষার পর বেশ ঝাক্কি ঝামেলা পোহাবার মধ্য দিয়ে অবশেষে লোকাল বাসে উঠতে সক্ষম হলাম। সীটও পেয়ে গেলাম সৌভাগ্যবশত। আজ এই লোকাল বাসে ...
বরবাদ

বরবাদ

ভালোবাসার গল্প – সুমন্ত আশরাফ   ১ বিছানার উপর পড়ে থাকা মোবাইল ফোনটা বাজতেছে। পাশে পুলক  নিবিড় মনোযোগ দিয়ে অংক সমাধান করতেছে। পুলক একবার অংকে ...
ঈদের চাঁদ

ঈদের চাঁদ

মহীতোষ গায়েন কারখানার গেটে তালা,তার উপর লকডাউন… গেল বছর থেকে কাশেম ভাইয়ের কাজে যাওয়া বন্ধ… বুড়ো বটগাছতলায় বসে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে… রোজার উপবাস তাই ...
অঘ্রানের মুখোমুখি 

অঘ্রানের মুখোমুখি 

 লিঙ্কন দেব পৃথিবী পরিভ্রমণের পর অঘ্রানের মুখোমুখি বসেছিলাম আমরা দুজন। নীরব সংগোপন শেষে জেনেছি তুমি আমি মহৎ মৃত্যুরে পাড়ি দিয়ে জন্মেছি কোনো এক মাতৃজঠর । উর্বর ...
অতৃপ্ত চাওয়া- রাফিজা সুলতানা

অতৃপ্ত চাওয়া- রাফিজা সুলতানা

রাফিজা সুলতানাকবিতা- রুদ্রাক্ষমালা    সকল চাওয়া হয়না পাওয়া জীবন তরীর খেয়ায় চাওয়া গুলো সব ভেসে যায় শেষ বিকেলের ভেলায়।   জীবন তরী থমকে যায় মাঝ ...
রহস্যঘেরা শিমুলতলা : অন্তিম পর্ব

রহস্যঘেরা শিমুলতলা : অন্তিম পর্ব

গৌতম সরকার মোবাইল অনেকক্ষণ থেকে জানান দিচ্ছে একের পর এক মেসেজ ঢুকছে। দুবার ফোনও এসেছিল। বাড়িতে বসে কোজাগরী খুব চিন্তা করছে। এই মুহূর্তে অথর্বেরও কিছু ...