রোগা পাতলা হেংলা শরীর
তাই বলে-তাই বলে ভাবিস না
তোরা পার পেয়ে যাবি।
এই দুর্বল পেশি ভগ্ন দেহে
এখনও নিরবধি বয়ে চলে
নিয়নডার্থাল রক্ত।
যেমন ঘুমায় পাহাড় গর্ভে
লকলকে ঐ আগ্নেয়গিরি,
কঙ্কালসার এই দেহপিঞ্জরে
তেমনি করে ঘুমিয়ে আছে-
ছাল-বাকলের পোশাক পরা
গুহাবাসী আদিম মানব।
নিঃস্বাসে তার কাঁপে আমাজন
লেজ গুটিয়ে পালায় চিতা ;
অগ্নি সেলাম জানায় পাথর ,
আর তোরা – তোরা ,
কোথাকার হোমরাচোমরা?
জাগলে পরে সেই পালোয়ান ,
পালাবি কোথায় নরপিশাচ?
পালাবি কোথায় দুর্নীতিবাজ
খুনি ধর্ষক রক্তচোষা?
জঙ্গলেরই রাজত্ব কায়েম
করতে যদি চাস বর্বর-
আবার আমি জংলি হবো।
সভ্যতারই সভ্য ভাষা,
সভ্য পন্থা নীতিকথা,
মরচে পড়া ভোঁতা আইন
ওসবে আর কাজ হবেনা।
তাই জন্তু, দানো, বুনো দমনে
আবার আমি বন্য হবো।
বল্লম হাতে ছুটবো আমি,
ছুটবো আবার ধনুক নিয়ে।
হিংস্র সব পশু দমনে
আবার আমি শিকারী হবো।
সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে
ক্ষণিক না হয় পিছিয়ে যাবো।
তবু শূকর শকুন হায়না তোদের
বক্ষ চিরে হেচকা টানে
কলজে ছিড়ে ঝলসে খাবো।