বেশ ক’দিন,
মেয়েটি অবসন্নতায় নিঃশ্বাসরূদ্ধ-
তাহার কোনো আওয়াজ নেই,
সে কেঁদে কেঁদে চোখে পানি তোলে,
চোখে তাহার নীলছে পানির সমুদ্র।
বাহিরের আকাশে শঙ্খচিল,
ডাকে তাহারে অবিশ্রান্ত-
কে খুঁজিয়া দেখিবে তাহার বেদনার শেষ প্রান্ত?
একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতায় সে-
নিমীলিত চোখে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ দ্যাখে,
তাই তো-দ্বিতীয়ার চাঁদ গোস্বা করিলো,
উঠিলো না আর গগনে।
জীবন যে তাহার থামিয়াছে নির্বাক শ্মশানে!
নিশীরাতে তাহার ঘুম ভাঙিয়া ভীতি ধরিলো মনে,
বাজা মেয়ে যে,মা হইয়াছে তাহার স্বপনে।
সে আলগোছে শ্যেন দৃষ্টি ফেলিয়া খোঁজে-
মৃত মানুষের খোলা চোখ!
বুত পূজারী ছাড়িয়া দিলো দেবতার পূজা-
চক্ষুদ্বয় নাবায়ে চাহিলো তাহার সুখ।
তীব্র আশা ভাঙিতে লাগিলো বেগানার-
তোয়াক্কল না করিবার ফলে।
কে না জানে প্রেমপ্রীতি তাহার চরণের তলে?
নিরাক পথিক হঠাৎ-ই থামিলো,
কহিলো-
কে গো তুমি?কাঁদিতেছো কেনো?
কালো বলিয়া কাঁদিয়া করিলো,নিজ আত্মার খুন;
অথচ কালো যে ধরিত্রীর মায়া,সর্বাঙ্গের গুন।
উৎসর্গঃ”সেইসব কালো মেয়েদের জন্য যারা ‘মৃত মানুষের খোলা চোখ’ খুঁইজা বেড়ায়, যারা কালো বইলা কাঁইন্দা কাঁইন্দা চোখে পানি তোলে,নিজেরে খুন করে।
অথচ তাদেরই মায়ায় পড়ে বুত পূজারী দেবতার পূজা ছাইড়া দিলো।”