জন্ম জন্মান্তরে, যুগ যুগান্তরে
যে নারী করিছে পুরুষের আরতি,
সে নয় ত কোন ভোগের পন্য
সে যে একসাথে চলার সারথি।
পুরুষের ব্যথা যে অন্তরে লভিয়াছে
চরম দূর্দিনে যোগিয়েছে সাহস,
নর কান্নায় অশ্রু ধারা হয়েছে
বেদনায় দিয়েছে সুখের পরশ।
তোমাদের কল্যাণে যে নারী জ্বালে
তোমারি সুখের মঙ্গল দ্বীপ।
কেমন করে, তারে ভোগের তরে
তোমরা নিভাও জীবন প্রদীপ?
যে নারী তোমায় মায়াডোরে বেধে
বিধাতা কাছে করে মঙ্গল আরাধনা।
কেমন করে তাহার পরে উদ্বেলিত
হয় তোমাদের উগ্র বাসনা?
তোমরা কি শুন না, তাদের গোপন কান্না?
চোখে কি পড়ে না এই নিরব অশ্রুজল?
যে নারী তোমায় জন্ম দানিলেন
ভালবাসা, স্নেহ ছায়া দিল সুশীতল।
কখনও বোন হয়ে যে দিয়েছে স্নেহ
বধু হয়ে হয়েছে স্বপ্নচারিনী,
মাতা হয়ে যিনি, করেছেন ঋণী
এসো আজ তাদের নতুন করে চিনি।
এরা তোমাদেরই আত্মীয় পরিজন
তোমাদেরই মাতা কিংবা প্রিয় ভগ্নি।
হয়ত বা কারও আদরের দুলালী
না হয় কারও মানস সঙ্গীনী।