বউ, তুমি যহন স্নান সাইরে
ঘাট থেইকে কলসি ভইরা ফেরো,
তহন তুমারে কী যে সোন্দর দেহায়,
একেবারে মা প্রতিমার লাহান!
তুমার শাড়ি ভিজে চুপচুপ হয়,
তুমি বুকের উপরে গামছা চড়াও;
উঠোনে দাঁড়ায়ে চুল মেইলে দিয়ে কী
চমেৎকার কইরে না ঝপাৎ ঝপাৎ করে
বাড়ি দাও, আমি এইসব একমনে দেহি।
ঠাকুরঘর থেকে সিন্দুর নিয়ে সিথানে লাগাও,
শাখা-নোয়া হাতে তুলসীতলায় ঢালো জল।
বউ, তুমি মন থেইকা শুধু
আমারেই চাও, সে আমি জানি।
তবু সমাজ তুমার মনরে বুঝে না, গায়ে গতরে হিঁদু বাড়ির বউ বানায়!
তয় পুরুষ কী দেবতা, বৌ?
আমাগেতো কিছু পরা থুয়া লাগে না!
শাখা-নোয়া-সিন্দুর-মঙ্গলসূত্রে তুমি সবার
চউক্ষে আমার বৌ হও,
তাইলে আমি যেমনটা আছিলাম তেমনটা
কইরেই তোমার স্বামী হই কি কইরে?
আমি মইরে গেলে মাইনষে তুমারে বিরাট
শরমের মইধ্যে ফেলবো -সে আমি বুঝি।
যা দিয়ে তুমি নিজেরে রাঙাও তা জোর
কইরে কাইড়ে নিবো, কইবো বেধবার অমুক
খাওয়া চলে না, তমুক পরা চলে না।
তোমার সুন্দর শইল থেইকা রঙিন কাপড় নিবো কাইড়া,
শাদা থানে আন্ধার কইরা থুইবো তোমারে,
এক্কেরে শ্মশানের মতো!
তয় তুমি মরলে আমার ক্যান কিছু ছাড়া-
থুয়া লাগবো না?!-কইতো পারো বৌ?
বৌ, তুমারে ছাড়া সগ্গ ক্যামুন কইরা হয় আমি জানি না!
তয় মইরে গেলে শুনিছি আমারে
সগ্গীয় রথে চড়াইবো আর আমার কথা উঠলেই-
সবাই সগ্গীয় পোসেন কয়ে ডাকপে!