দু’টো নামের আদ্যাক্ষর ও যোগচিহ্ন
রফিকুল নাজিম
দেড় যুগ পর সেদিন কলেজে গেলাম
গেইটে দারোয়ান কদম আলী ভাই আর নেই
দেখলাম নতুন লোক পাহারায় বসা
বাকি সব আগের মতই আছে।
পশ্চিম দিকে সাইন্স বিল্ডিং উত্তরে কমার্স বিল্ডিং
মানবিকের বিল্ডিংটা আগের মতই টিনশেড আছে
শ্রেণিকক্ষ চেয়ার টেবিল বেঞ্চ আগের জায়গায় আছে
কেবল তোমার আমার নামের আদ্যাক্ষর দু’টো আর নেই
পুকুর ঘাটে লাল ইট দিয়ে লেখা লাভ চিহ্নের ভেতরে তোমার নামটাও শ্যাওলায় ঢেকে গেছে
দেয়ালে দেয়ালে রং পড়েছে
ঢাকা পড়েছে তোমার আমার নামের আদ্যাক্ষার, যোগচিহ্ন!
কলেজ থেকে ফেরার পথে তোমাদের বাড়ি সামনে এসে দাঁড়ালাম
তোমাদের জামগাছটা আর নেই সেখানে
রাতের আঁধারে একদিন এই গাছের বাঁকল কেটে লিখেছিলাম তোমার আমার নাম
আহা! গাছটার সাথে আমাদের নামও কাটা পড়েছে।
শুনেছি তোমার বাবা সেই জামগাছের কাঠ দিয়ে তোমাকে ফার্নিচার বানিয়ে দিয়েছেন।
আচ্ছা,
সেই জাম কাঠের ঘাটে তুমি কি প্রতিদিন শোও?
ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় কার মুখ দেখো?
আমার?
নাকি তোমার নতুন মানুষের?
অথচ আমার মনে খোদাই করা তোমার নামটা এখনো ঝলমলে দ্যোতি ছড়ায়;
তুমুলভাবে আমাকে পোড়ায়!
মাধবপুর, হবিগঞ্জ।