বলো দূর্গা মাইকি
গোবিন্দলাল হালদার
দৃশ্যগুলো তপ্ত রোদে ছটফট করা তেলে পোড়া
করল্লার মতো। আর আক্রান্ত কষ্ট পীড়িত দুস্থরা
বিধ্বস্ত হৃৎপিণ্ডকে আঁকড়ে ধরে অতি উচ্চ কন্ঠে
কাঁদছে,মাগো! বিপদতাড়িনী,মহামায়া। দেখো
আমাদের সংসার হতে অভাবের কারনে অহর্নিশ
খসে পড়ছে সম্পর্কের খুঁটিনাটি। ঘরে এক মুঠো
চাল নেই। রান্না ঘরে সবজি নেই। মাথায় তেল
নেই। পরনে শাড়ি নেই। স্তনে একটুও দুধ নেই
নির্বোধেরা বলে মা দুধ দাও। অভয়া,মহালয়ার
পূর্বেই কার্তিক ও লক্ষ্ণীদেবীকে সাথে নিয়ে এই
বাংলার অভাব পীড়িত ঘরে—ঘরে খাদ্য বিলিয়ে
যাও। তা ছাড়া দূর্গা মাইকি ধ্বনি আমরা দিতে
পারবো না। ও মা তোমার পূজা তো রাজসিক।
আমাদের মতো দুস্থদের আছে দুই নয়নের জল
দিয়ে অর্ঘ দেবার। কোনো অর্থ চাইলে, কর্তাবাবু
আমরা ক্ষমা চাইবো না। তবে হাড্ডিসার দেহটা
দিয়ে মায়ের উৎসব আঙ্গিনা থেকে ফাস্টফুডের-
পলিব্যাগ নর্দমাতে ফেলে দিতে পারি। এ কর্মে
অর্থ চাই না। মায়ের পূজোর পলান্ন পেলে পেট
ভর্তি তো গরিবের ফুর্তি। বলো দূর্গা মাইকি জয়।
চরপাড়া বেড়া,পাবনা