|মোঃ রাসেল শেখ
ও রাতের সাদা কাঁশফুল মেঘ,তুমি কোন গায়ে যাও?
ভিষণ তাড়াহুড়া করে,এত কার আকাশে ভিড় জমাও।
কার দুঃখের ঘরে,অঝরে নিজেকে সপে নিংড়ে নামাও-
অন্যের বুকে দ্বীপ জ্বালাও;তব কেন নিজেকে ডুবাও।
বেলকুনির রং তোলা গ্রিলটাতে আটকা পড়েছে কত,
আঁঙুলের হাঁটা পথে,জীবনের ফ্রেমে আঁকা স্বপ্ন যত।
চুমুকের তুফানে,শুরুটা হয় যদি,নবাগত ধরনীর মতো।
এককাপে জীবনের শেষ গল্পের যবনিকা,রবে অবিরত
সেসব ডিঙিয়ে নিজেকে দিচ্ছো কেন,কালের বিরত??
নীঁলচে আঁকাশ ছাদের নিচে,হুড নামানো রিকশায়-
কত আকুতি,মিনতি ঝাঁপটে ধরা হাতের বা পাশটায়।
আঁলোছায়ার ভিড়ে ল্যামপোষ্টের হলদে দীর্ঘ রাস্তায়-
ভালোবাসা বিলিয়েছে শান্ত শহরের হর্ণের হাওয়ায়।
থমকে যাবে এসব কাশফুল মেঘ;তোমার চলে যাওয়ায়।
ব্যাস্ত নগরীর এই ক্লান্তমাখা পথ,ইট পাথরের দালান-
নুয়ে পড়েছে আজ,তোমার আলোয় দিয়ে হেলান।
সাদা বক-পক্ষিরা পাখনার জোরে চলমান-
কিন্তু কাশফুল মেঘ,তুমি তো বহমান।
অ-ইচ্ছায়,পৃথিবী যখন ঘুমিয়ে পড়ে,রাতের কোলে-
কিছু চোখ বাসা বাঁধে নরম সাদা মেঘের তুলতুলে।
ধবধবে তুলার ফুলে,সপে দিতাম একটি বার ছুলে।
নিজেকে শেষ করতাম,অনিয়ম-নিয়মের মহা ভুলে।
কাশফুল মেঘ,সবুরের বলে;এ প্রহরে যেও না চলে।
কাশফুল মেঘ…
অন্তত এইটুকুন সময় জ্বলতে দাও তারা গুলোকে-
তোমার গা ঘেঁসে,সৌন্দর্যের দেবীর আনন্দের শোকে;
উকি দিয়ে আলো ফেলতে দাও সল্প স্বপ্নচারির বুকে।
তোমার তুলার তুঙ্গে,থাকতে চায়;আজন্ম মহা সুখে-
ক্ষণিকে ভালোবাসতে দাও;তোমার কাশফুলের মেঘে।
বরাট,রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী