কিছু তোমার অজানা- নেহাল মাহমুদ

  কিছু তোমার অজানা- নেহাল মাহমুদ
অনেক তো হলো, পেরিয়ে গেছে অনেকটা দিন।
সময়গুলো দিন,মাস,বছর,যুগের হিসাব করে জীবনটাই হয়তো থেমে যাবে কোন একটা মূহুর্তে আমার এপারে।
মনে হয় সব বৃথা, জীবনের সমস্ত আয়োজন স্থবির করতে ইচ্ছে হয় খুব,
উড়ে যেতে ইচ্ছে হয় মেঘে মেঘে অতীতের জলবায়ু ধরে,
কি আর হবে মায়া বাড়িয়ে, জীবনের কোন প্রেরণা কি তোমার অধিক দামি ছিলো কোনকালে?
আজ তবে কোন সাহসে দাড়াই জীবনের সম্মুখে শুধু সম্ভাবনার উৎসাহে!
সত্যিই কি পূরণ হবে তোমার ক্ষতিপূরণ!
কোন এক কাঠফাটা দুপুরে হয়তো কোন অভাবই ছিলোনা, প্রাপ্তিতে টুইটুম্বর করতো জীবনের সঞ্চয়।
প্রতি মূহুর্তে হৃদয়ের ছায়ার আশ্রয় নিতো অগণিত প্রজাপতি!
তারপর হঠাৎই  তোমার কাছে চেয়ে বসলাম জীবনের শেষ উৎসাহ,
হয়তো একটু ভালোবাসাই চেয়েছিলাম,
আগুন জ্বলে উঠলো সহসা তোমার হৃদয়ের সমস্ত আবরণ জুড়ে
বিস্তারের ও বিন্যাসের অপেক্ষায় তারপর একাকি চেয়ে রইলাম জীবনের আরো কয়েকটি বছর,
আমার দোষ ও অপরাধ যা কিছু অপবাদ ও অপমান সমস্তটা মাথা পেতেই নিলাম।
বন্ধুত্বের নামে অপরিমিত ভালোবাসার যতটুকু বৈধতা ছিলো প্রায় সবটাই উজাড় করে দিয়েছিলাম,
ভেবেছিলাম এবার হয়তো তুমি বুঝবে ঠিক কতটা মুদ্রিত জায়গা আছে আমার অন্তরে তোমার জন্য!
কিন্তু প্রতিবারেই তুমি আমার ভালোবাসার দান থেকে টুকে নাও খুবই সামান্য, কখনো নিয়মরক্ষার হাসি কিংবা নামের ধন্যবাদ বলেই পরিশোধ করে দিতে চাও সমূহ নতজানু হৃদয়ের মূল্য।
তারপর অজান্তেই আড়াল করে নিলাম নিজেকে তোমার অবহেলার ক্রমাগত সৌন্দর্য থেকে।
কিন্তু তুমি হয়তো জানো না, কতটা জোনাক তারার মেলা বসে রোজ মধ্যরাতের বিরহ উৎসবে,
শেষ রাতে অশীতিপর চাঁদের লালচে আভার প্রতিটা মূহুর্তের ক্ষুদ্র একক জুড়ে শুধু তুমিই থাকো,
শ্রাবণ দিনে হুডতোলা রিকশায় চুপি চুপি ঠিকই চলে যাই তোমার গলির মুখে,
একা একা স্মৃতিচারণ করি কলেজ দিনের  শত বৃষ্টিভেজা দিনের প্রতিটা বৃষ্টি ফোটাকে।
তোমার দেয়া একমাত্র চিঠিতে লেগে থাকা আমার সমস্ত দীর্ঘনিঃশ্বাস এখনো তোমার কন্ঠে গান গায়,
শেষ বিকেলে আমিও স্পর্শ করতে পারি তোমার সবকয়টা গোধূলি
 সব কয়টা দৃশ্যপটে তোমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার করতলে আমিও ছোঁয়ে আসতে পারি তোমার মোহনীর দৃষ্টির উপসংহার,
সমস্ত নিকোটিনের ধোঁয়া তোমার প্রতিবিম্ব প্রতিষ্ঠার তরে আত্মত্যাগ করে যায় সহসা একের পর এক পুষ্পের সম্মোহন।
দিনলিপি লেখার ডায়েরীর ক্রমাগত রক্তক্ষরণের পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দিতে পারি আমিও,
 তুমি হয়তো জানো না,আমিও বেঁচে থাকতে পারি একমুঠো মধ্যাকর্ষন আকড়ে ধরে সন্ধ্যার নিশ্ছিদ্র দেয়াল জুড়ে।
তুমি ঠিকই চলে গেছ,
ফিরবে না তাও জানি
কিন্তু তুমি হয়তো জানো না, কতটা নির্লীপ্ত অনুপস্থিতি থেকে যায় তোমার না থাকা জুড়ে।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
উটকে কেন জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয়?

উটকে কেন জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয়?

মরভূমির জাহাজ উট! বহুকাল ধরে তৃষ্ণার্ত মরুর বুকে উট মরুর জাহাজ নামে ব্যবহৃত হয়েছে। এখনও আরব বিশ্বে মালামাল ও যাত্রী বহনে উট ব্যবহার করা হয়ে ...
প্রাচীন যৌন খেলনার ইতিহাস। যা সম্পর্কে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে

প্রাচীন যৌন খেলনার ইতিহাস। যা সম্পর্কে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে

ফাগুন প্রেয়সী

ফাগুন প্রেয়সী

শুভ্র শোভন রায় অর্ক নীল সমুদ্রের সীমাহীন গর্জন পিছে রেখে, প্রবালের বাঁধা পেরিয়ে ডোরাকাটা লালচে বালুচর আর সবুজে মন ফিরে যায় । দ্বীপজুড়ে সারি সারি ...
বই পর্যালোচনা- আগুনের পরশমণি- হুমায়ূন আহমেদ

বই পর্যালোচনা- আগুনের পরশমণি- হুমায়ূন আহমেদ

বইঃ আগুনের পরশমণি লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের ধরনঃ উপন্যাস প্রকাশনীঃ হাতেখড়ি প্রকাশকঃ মো: আবু মুসা সরকার প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ সমর মজুমদার পৃষ্ঠাঃ ৮৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ৭০ টাকা ...
অণুগল্প-অবেলায় | আশিক মাহমুদ রিয়াদ

অণুগল্প-অবেলায় | আশিক মাহমুদ রিয়াদ

I আশিক মাহমুদ রিয়াদ  সেবার মিনুর মা মারা গেলেন হঠাৎ করেই। মিনুর বার্ষিক পরিক্ষার ফলফল প্রকাশ হয়েছে, মিনু ক্লাস নাইনে প্রথম হয়েছে। মিনুর মনে কি ...