শরতের স্নিগ্ধবাতাস, বাতাসে মিষ্টি গন্ধ । আকাশে সফেদ মেঘ, নদীর দুই ধারে ফুটেছে কাশফুলের সমারোহ। সেই নদীর ধার ধরে “বলো দুজ্ঞা মাঈকী” বলতে বলতে এগিয়ে যাচ্ছে একটি জট বাধানো মানুষের দল”। মৃদু বাতাসে দুলছে কাঁশফুল বাজছে ঢাক, বাতাসে যেন আনন্দ আনন্দ কলরব। মহালয়ার ছোঁয়া পেরনোর সাথে সাথে আবির্ভাব ঘটে দুর্গাপূজোর। শরতের কুয়াশামাখা ভোরবেলার সাথে দারুণ মন্ডপে মন্ডপে সাজে নতুন প্রতিমা। দিন পেরোলেই বাড়ে আনন্দ, ষষ্ঠী থেকে দশমী কার কত ঘটা করে দিন কাটানোর পরিকল্পনা।
শারদীয় দুর্গাপূজা অথবা শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বড় উৎসব হলেও আপমার বাঙালীদের বড় উৎসব এটি। শারদীয়া দুর্গাপূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। তাই এই সময়টি তাঁদের পূজা যথাযথ সময় নয়। অকালের পূজা বলে তাই এই পূজার নাম হয় ‘অকালবোধন’। এই দুই পুরাণ অনুসারে, রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর রামায়ণে লিখেছেন, রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। তবে রামায়ণের প্রকৃত রচয়িতা বাল্মিকী মুনি রামায়ণে রামচন্দ্রকৃত দুর্গাপূজার কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। উপরন্তু রামায়ণের অন্যান্য অনুবাদেও এর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে এই প্রচলিত তথ্য অনুসারে স্মৃতিশাস্ত্রসমূহে শরৎকালে দুর্গাপূজার বিধান দেওয়া হয়েছে। হংস নারায়ণ ভট্টাচার্যের মতে, ‘অকালবোধন শরতে বৈদিক যজ্ঞের আধুনিক রূপায়ণ ছাড়া আর কিছুই না।’সনাতম ধর্মের যেকোনো পূজার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংস্কৃত মন্ত্রগুলো। দুর্গাপূজার মন্ত্রগুলো সাধারণত শ্রী শ্রী চণ্ডি থেকে পাঠ করা হয়। ঢাক-ঢোল, খোল করতাল, সুগন্ধি আগরবাতি আর এগুলোর সাথে সংস্কৃতমন্ত্র পবিত্র এক পরিবেশের জন্ম দেয়।
আজকের এই ভিডিওতে আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি, দুর্গাপূজা শুরু ইতিহাস এবং কিভাবে এ উৎসবটি ছড়িয়ে পড়লো ভারতীয় উপমহাদেশে। ভিডিওটি ভালোলাগলে অবশ্যই ভিডিওটিতে লাইক এবং ভিডিও প্রকাশের সাথে সাথে আমাদের চ্যানেল থেকে আপটেড পেতে অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।