অভিশাপ
দালান জাহান
দুঃখের চেয়ে বড়ো দুঃখ নিয়ে
চোখের জলায় লাফিয়ে ওঠে
চাষ করা মাছ।
জীবনের চেয়ে ছোট অথচ দীর্ঘ সেতু
বাহনের মতো চাকায় চলতে চলতে
ঈশ্বরের সামনে ঘোষণা করে
পোড়া দাগগুলো তার অঙ্কিত ট্যাটু।
সূর্য অন্ধকার চেনে না
চেনে রাক্ষসের গলি
মাথার খুলি!
ক্ষুধার অহঙ্কারে!
চার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে মুদ্রিত অভিশাপ।
কুঁড়ি টাকার বিনিময়ে
লক্ষ টাকার শব্দ বেঁচে
জেলে পাড়ার শিক্ষিত এনাউন্স ম্যান
পত্রিকার শিরোনাম লালই থাকে
কিন্তু কখনও লেখা হয় না
চাটুকার আর অন্ধের দেশে
হরিণের মাংস নিষিদ্ধ হোক।
.
.
.
.
.
.
বাজারি সন্যাস
দালান জাহান
কতগুলো কালো দাঁত
হেঁটে বেড়াচ্ছে গ্রাম-শহরে
বন্যার জলে ভেসে-ভেসে ঘরে আসছে
উৎপ্রেক্ষা-অপেক্ষারা।
বাতাস বাড়ছে কেবলই বাতাস
সবুজ আপেল উড়ন্ত মানুষ
না ফেরার দেশে নামহারা পাখি।
চারদিকে দৌড় কেবলই দৌড়
বৃষ্টির রক্ত মাছেদের মা গাছের উৎসব
মৌলানা, পুরোহিত ঘাটের মাঝি
টংয়ের চা-অলা সুদখোর সন্তোষ!
শেষে করে শেষ পুনজন্মের নতুন গণিত।
বাতাস বাড়ছে কেবলই বাতাস
চার খণ্ড আকাশ মাথায় নিয়ে
তবুও কার আশায় বসে আছে
ভাগফলে ভাগশেষ করা বাজারি সন্যাস।
.
.
..
.
.
.
দৌড়বাজ
দালান জাহান
আজ যে অতিথি
আমাদের কপালে আসন পেতেছেন
বহুকাল জলের সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে তিনি
আমাদের কপাল মেপেছেন।
মাপার অঙ্কটা এতোটাই সুক্ষ্ম যে
তিনি এখন কথা বলেন বর্ণামালার গর্ভে বসে।
চামচবাজ!
বেলচাবাজ! পুকুরের তৈল নিয়ে
দলিত হই সান্ধ্যার ঝাউবনে
লোভ যশ খ্যাতি আমাদের ধাবিত করে
অনন্ত সূর্যের দিকে
সূর্য ও আকাশের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তিনি
গর্বভরে আমাদের ভুল ভূগোল শেখান
কখনও অজগর কখনও পাখি
কখনও সমুদ্রের ভয় দেখান।
তিনি পূর্ণিমা রাতে অপেক্ষায় থাকেন
ঐশ্বরিক ওহীর
যার ভেতরে লেখা থাকে মার্কা
তিনি মার্কা দিলে মরা ঘোড়াটা-ই হয়
দৌড়বাজ ঘোড়া।
সেন্ট্রাল আফ্রিকা ।