সুশান্ত হালদার
হাতে বন্দুক নেই যে
ডাকাতের মতো লুটে নেবো শহুরে ইজ্জত
কবি মানুষ, খালি হাত পা
সাম্রাজ্য নাই বলে ভেবো না
শব্দকেও গচ্ছিত করেছি হাতলওয়ালা চেয়ারে
তোমাদের হাত প্রসারিত করে দেখো-‘গোড়ালি থেকে মাথা অব্দি’
আমার হাত বিশ্বকে পরিমণ্ডলিত করে
জলের স্তন ছুঁয়ে দূরের আকাশ স্পর্শ করে
নক্ষত্র থেকে ঘুরে বেড়াই অগ্নি বলয়ে
আর তুমি?
বাংকারে শুয়ে শুয়ে জাগতিক মোহে দস্যুতার কথা ভাবো
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে পক্ষ বিপক্ষের কথা ভেবে
নিজেকে সুসংগঠিত করো গোলা বারুদ আর অত্যাধুনিক মারনাস্ত্রে
অথচ ভেবে দেখোনি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ‘শান্তিপ্রিয়’
যাদের চোখে থাকে আবেগের উচ্ছ্বাস
শিশুসুলভ ভঙ্গিতে সৃষ্টির গুঢ় তত্ত্বে মনু সংহিতার কথা বলে
নিরস্ত্র হাতে জড়ানো থাকে পরাগায়নের সঙ্গমানুভূতি,
অথচ তোমরা
একচ্ছত্র অধিকারে পাখি শিকারে ব্যস্ত হিটলার অভিপ্রায়ে
কবি মানুষ, নিষ্কন্টক ভালোবাসা পেলে
শব্দ বোমায় ওই হাতলওয়ালা চেয়ারও ভেঙে ফেলতে পারি!