চ
‘চুপি চুপ বলো কেউ জেনে যাবে’ এই গানটি নিঃসন্দেহে জীবনে একবার হলেও শুনেছেন? না শুনে থাকলেও ক্ষতি নেই বৈকি। তবে আসুন এবার জানাই ‘চ’ সম্পর্কে। প্রতিদিনকার ব্যবহার্য শব্দের মধ্যে আমরা বাঙালিরা বোধয় চ শব্দটি অধিক ব্যবহার করি। এই যেমন প্রতিদিনই আমাদের বলতে হয় – চাল, চলাচল,চিল, হাঁচি (হ্যাঁচ্চাও)। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে চিল শব্দটি দিন দিন যেন জনপ্রিয়তা পেয়েই যাচ্ছে।একবার ভাবুন তো, বাংলা বর্ণমালা থেকে যদি চ বাদ দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কেমন হবে?
‘চ’ বাংলা ভাষার ষষ্ঠ ব্যাঞ্জনবর্ণ এবং বাংলা বর্ণমালার সতেরো তম বর্ণ।
চ এর সাথে স্বরবর্ণের মিশ্রণ-
চ এর সাথে অ যোগ করলে কোন পরিবর্তন হয় না।অর্থাৎ (চ+অ=চ)। এবার চয়ের সাথে আ যোগ করলে (চ+আ=চা) চ এর সাথে ই যোগ করলে (চ+ই=চি) চ এর সাথে ঈ যোগ করলে (চ+ঈ=চী)।
চ এর সাথে উ যোগ করলে (চ+উ=চু)।চ এর সাথে ঊ যোগ করলে (চ+ঊ=চূ)। চ এর সাথে ঋ যোগ করলে (চ+ঋ=চৃ)। চ এর সাথে এ যোগ করলে (চ+এ=চে) । চ এর সাথে ঐ যোগ করলে (চ+ঐ=চৈ)
চ এর সাথে ও যোগ করলে (চ+ও=চো)। চ এর সাথে ঔ যোগ করলে (চ+ঔ=চৌ)।
চ দিয়ে শব্দ গঠন-
দুই অক্ষরের-
চাল
চিনি
চিল
চিঠি
চিত্র
চিন্তা
চিরে
চল
চুপ
চোখ
তিন অক্ষরের
চাকরী
চরকা
চরণ
চমক
চপলা
চওড়া
চর্চিত
চার অক্ষরের
চলাচল
চিটচিটে
চটপট
চটপটে
চটপটি
চুরমার
চরিতার্থ
চিৎকার
চন্দ্রনাথ
চ লিখন পদ্ধতি-
‘চ’ অনেকটা বাংলা অক্ষর ট এর মতো। ট অক্ষরটির উপরের বাঁকা দাঁগ কেটে দিয়ে এবং ট এর পেটের কাছে মিলিয়ে দিলেই চ লেখা যায়।
চ দিয়ে যদি একটি বিশ শব্দের গল্প হয়-
চিরঞ্জন বাবু চিরকাল চটপটে স্বভাবের মানুষ। গতকাল হঠাৎ করে চটপটি খেয়ে তার পেটখারাপ হয়ে শরীরটা যেন চুরমার হয়ে গিয়েছে।
‘নৈব নৈব চ’ এই শব্দটি আগে কখনো শুনেছেন? এই শব্দটির অর্থ – কখনোই না। তাহলে আজ যদি কেউ আপনাকে বলে আপনি কি কখনো বিনা কারনে চিৎকার দিয়েছেন? আপনি উত্তর দিতে পারেন- নৈব নৈব চ।