ছোটোগল্প- রক্ষক – ডঃ গৌতম সরকার

ছোটোগল্প- রক্ষক - ডঃ গৌতম সরকার

ডঃ গৌতম সরকার

মোড়টা ঘুরতে আজকেও লোকটাকে বসে থাকতে দেখলো তিথি। বামুনপাড়া ছাড়িয়ে এদিকটা একটু নির্জন। বাদিকে বড় দীঘি, আর ডানদিকে ঘন শালবন, তার মধ্যে কিছু ইউক্যালিপ্টাস, গামার আর জারুল গাছও আছে। দীঘিটা যেখানে শেষ হয়েছে সেই জায়গায় একগাদা নোংরা কাপড়, কাগজের টুকরো, অপ্রয়োজনীয় ডেও-ঢাকনা, কৌটো-বাউটো নিয়ে বসে থাকে লোকটা। পরনে শতছিন্ন চিটচিটে ময়লা জামাকাপড়। পোশাক-পরিচ্ছদের যা অবস্থা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কোনোদিনই চোখ তুলে চাইতে পারেনি। সঙ্গে কেউ থাকুক বা না থাকুক, চোখ বুজে জায়গাটি পেরিয়ে গেছে। আজ সঙ্গে কেউ নেই, কলেজের শেষ ক্লাসটা করে শ্রুতির সঙ্গে একবার ইউনিয়ন অফিস যেতে হয়েছিল। ওর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কি একটা সমস্যা হয়েছে, সেটা নিয়ে সৌরভদার সাথে কথা বলার ছিল। যদিও এখন সূর্য অস্ত যায়নি, কিন্তু শালবনটার জন্যে রাস্তাটা সন্ধ্যের অনেক আগে থেকেই অন্ধকার হয়ে যায়। তিথির একটু ভয় ভয় করতে লাগলো। সামনে পিছনে দীর্ঘ রাস্তায় কাউকে দেখতে পেলনা। চলার গতি আপনা আপনিই ধীর গতি হয়ে গেল। কিন্তু জায়গাটা তো পেরোতে হবে… তিথি যতবারই লোকটার পাশ দিয়ে গেছে তাকিয়ে না দেখেও বুঝতে পারে পাগলটা তার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকে। পাগলটার কথা বাড়িতে মাকে বলেছে, মা  আমল দেয়নি। উলটে বলেছে, “আরে ও তো একটা পাগলা! অনেকদিন থেকে এই অঞ্চলে আছে। কারোর কোনোদিন ক্ষতি করেছে বলে শুনিনি।” তিথি ক্ষতির কথা ভাবেনা, কিন্তু রাস্তার মধ্যে লোকটার অস্বস্তিকর উপস্থিতি খুব বিরক্তিকর। তাছাড়া লোকটা তো বাজারে গিয়ে বসতে পারে, সেখানে লোকজন কিছু পয়সাকড়ি দিয়েও সাহায্য করবে। কিন্তু পাগল বসার জন্য ওই জায়গাটাই বেছে নিয়েছে। আজকেও ইতস্তত পায়ে জায়গাটি পেরোতে যেতেই ব্যাপারটি ঘটল, পাগলটা হঠাৎ দাঁড়িয়ে একহাতে প্যান্ট সামলাতে সামলাতে অন্য হাত সামনে বাড়িয়ে গলায় এক ধরনের ঘর্ঘর আওয়াজ করতে লাগলো। তিথি ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে জায়গাটি পেরোতে পেরোতে দেখল, লোকটার লাল টকটকে চোখ দু’টো যেন ফেটে পড়তে চাইছে। মুখ থেকে লালা ঝরে দাড়ি টপকে লোমশ বুকে এসে পড়ছে। তিথি এত ভয় পেয়ে গেল, সে ছুটতে শুরু করলো। বার বার পিছন ফিরে দেখতে লাগলো, পাগলটা ওই অবস্থায় তার পিছনে ধাওয়া করে আসছে।   পাগলটার থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব তৈরি করে তিথি ফিরে দেখলো তখনও একই ভাবে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে আসছে। বেশ কিছুটা আসার পর যেখানে শালবন শেষ হয়েছে সেখানে এসে পাগলটা থেমে গেল। এখান থেকে বাড়ি বেশ কিছুটা দূর, তবে একটু এগিয়ে গেলেই একটা আদিবাসী গ্রাম পড়বে। বুকের ধুকপুকুনি এখন একটু কমেছে। পাগলটা দাঁড়িয়ে যেতে তিথিও দাঁড়িয়ে পড়লো। কৌতূহল চোখে তাকিয়ে রইলো। পাগলটা এখন আর তার দিকে দেখছে না, তার দৃষ্টি এখন শালবনের দিকে। হাত-পা নেড়ে জঙ্গলের দিকে চেয়ে অবোধ্য ভাষায় কি যেন বলছে। হঠাৎ করে মাটি থেকে একটা ইঁটের টুকরো তুলে প্রচন্ড জোরে জঙ্গলের দিকে ছুঁড়ে মারলো, তারপর সারা বন, আশপাশ চমকে দিয়ে হা-হা করে হেঁসে উঠলো। বাসায় ফেরা পাখিদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। সেই শব্দের মধ্যে খুব হালকা ভাবে কাদের যেন পায়ের আওয়াজ আরোও গভীর বনে হারিয়ে গেল। কি জানি! শোনার ভুলও হতে পারে। পাগলের কান্ডকারখানা দেখে ভয় পেয়ে তিথি বাড়ি ফিরল।

 

 পরের দুটো মাস প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেল। স্টাডি লিভ শুরু হল, সামনে পরীক্ষা। শুধু টিউশন পড়তে বাইরে বেরোনো, তার বাদে নিজের ঘরে বইপত্র আর নোটসে মুখ ডুবিয়ে দিনরাত্রি এক করে দেওয়া। ওই ঘটনার পর মা তিথিকে আর একা বেরোতে দেয় নি, সবসময়ই বাবা কিংবা ভাই সঙ্গে থেকেছে। তিথিও আর লোকটার মধ্যে অস্বাভাবিকত্ব কিছু দেখে নি। যখনই ওর পাশ দিয়ে গেছে, একমুখ হাঁসি নিয়ে বাবা বা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাত নেড়েছে। তিথি বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, লোকটা কোথা থেকে এসেছে, ওর বাড়ি কোথায়। বাবার বদলি চাকরির কারণে বছর দুয়েক এখানে এসেছে, উত্তর দিতে পারে নি। তবে প্রথম থেকেই ওকে এই দীঘির পাড়েই বসে থাকতে দেখেছে। সকালে নাকি একবার বাজারের দিকে যায়, দোকানদাররা কিছু কিছু খাবার দেয়, সেসব নিয়ে ও আবার এখানে ফিরে আসে। রাত্রে কোথায় থাকে কে জানে ! 

 

 পরীক্ষার চাপে আর রেজাল্টের টেনশনে তিথির মাথা থেকে পাগলের চিন্তা মুছে গিয়েছিল। রেজাল্ট বেরোনোর আগে বাবা-মার সাথে দার্জিলিং পাহাড় ঘুরে এলো। পাহাড়, উপত্যকা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, আর টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়, ক’টাদিন স্বপ্নের মতো কাটলো। ফিরে রেজাল্ট, নতুন ক্লাসে ভর্তি সময়টা পাখির ডানায় ভর  করে কেটে গেল। এর মধ্যে পাগলকে নিয়ে ভাবার অবকাশ পায় নি। আজ কয়েকজন বন্ধু মিলে শ্রুতির বাড়িতে আড্ডা মারার প্ল্যান করেছিল। সেইমতো তিথি দুপুর দুপুর শ্রুতির বাড়ি পৌঁছেছিল। গল্পের মাঝে কি একটা প্রসঙ্গ উঠতে তিথি পাগলটার কাণ্ডকারখানা বন্ধুদের শেয়ার করে। পরক্ষণেই বুঝতে পারে বোকার মতো কাজ করে ফেলেছে। সারাক্ষণ সবাই মিলে ওর পিছনে লেগে গেল। শ্রুতি শুনেই বলল, পাগলটা তোর প্রেমে পড়ে গেছে, তিথি। সেই শুরু, তারপর গোটা আড্ডা জুড়ে পাগলটাই আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠলো। শেষ পর্যন্ত ওদের থামাতে না পেরে তিথি রেগেমেগে আড্ডা ভেঙে উঠে পড়েছিল, সেই নিয়ে আরেক প্রস্থ তামাশা। অবশেষে তীর্থর চেষ্টায় ব্যাপারটা কন্ট্রোলে আসে। বাড়ি ফেরার পথে তিথি অনুভব করে ওদের ফাজলামির ক্লেদ ও ক্লান্তি ওর সারা দেহে-মনে মাখামাখি হয়ে গেছে। কিছুতেই চিন্তাটা মাথা থেকে যাচ্ছে না।

 

  বাস থেকে নেমে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তিথি চিন্তিত হয়ে উঠলো। আজ ও জানতোই দেরি হবে, তাই বাবাকে আসতে বলে এসেছিল। বাসস্ট্যান্ড বলতে পল্লীগ্রামের বাসস্ট্যান্ড যেমন হয়। কয়েকটা দোকান, একটা সাইকেল স্ট্যান্ড আর গ্রামের প্রাইমারী স্কুল। বাস থেকে আর কোনো যাত্রি নামে নি, অন্ধকার এখনও চারদিক পুরোপুরি ঢেকে দিতে না পারলেও কিছুক্ষণের মধ্যে চারদিক অন্ধকার হয়ে যাবে। তিথির ভয় করতে লাগলো। বাবার না আসার কারণও বুঝতে পারলো না। বাড়িতে কোনো বিপদ হলো না তো! অবশেষে রাস্তায় পা  রাখলো। ভয় শুধু ওই পাগলটাকে, সেদিনের পর একা পাগল মানুষটার পাশ দিয়ে যায় নি। অন্ধকারে ওই জঙ্গুলে পথ ধরে যাওয়ায় কথা ভাবতেই বুকটা ঠান্ডা হয়ে গেল….আজও যদি পাগলটা ওখানে বসে থাকে ! রাস্তায় একটা লোককেও দেখছে পাচ্ছে না। বাবা যে কেন ট্রান্সফার নিয়ে এই অজ পাড়া গাঁয়ে এল, বাবার ওপর খুব রাগ হতে লাগলো তিথির। মা তো ভাইকে পাঠাতে পারতো, তারপর খেয়াল হল ভাই আজ একটা ফুটবল ট্যুর্নামেন্ট খেলতে গেছে। কাল রাতেই বলছিল ফিরতে রাত হবে। হাঁটতে হাঁটতে বামুনপাড়া চলে এল। তিথি একবার ভাবলো, কাউকে একবার বলবে রাস্তাটা একটু এগিয়ে দিতে। কিন্তু তারপরই লজ্জা পেল, কে কি ভাববে ! সে কলেজে পড়ে, আর এই পাড়ার মধ্যে দিয়ে রাস্তা। তাছাড়া বামুনপাড়াও শুনশান, সবাই ঘরের মধ্যে। পাড়ার একমাত্র মুদি দোকানটায় কয়েকজন বুড়োমানুষ বসে গল্প করছে। 

 

 বামুনপাড়া পেরিয়ে মোড়টা ঘুরে দূরে তাকালো তিথি। অন্ধকারে কিছুই চোখে পড়লো না। বাবা আসবে বলে টর্চটাও সঙ্গে আনে নি। অন্ধকারের বহর দেখে মনে হচ্ছে ক’দিনের মধ্যেই অমাবস্যা। একটু এগোতে দূরে একটা লাল আগুনের ফুলকি জ্বলতে নিভতে দেখলো। তিথি ভয় পেয়ে থেমে গেল। চোখ কিছুটা সয়ে আসতে রাস্তার ওপর একটা মানুষের আবছা অবয়ব ফুটে উঠলো। কি করবে বুঝে উঠতে পারলো না। কিন্তু এভাবে অন্ধকারেই বা কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবে, আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে এগিয়ে চললো। ভাবলো অন্ধকারে পাগলটা বুঝতে পারবে না, সামনে গিয়ে চোখ বুজে এক দৌড়ে রাস্তাটা পেরিয়ে যাবে। আরও কিছুটা এগিয়ে বুঝলো পাগলটা বিড়ি খাচ্ছে, তা থেকেই ফুলকির মতো আলো ঠিকরোচ্ছে। যতই পা ঘসে ঘসে চলুক, ওর পায়ের আওয়াজে পাগলটা নড়েচড়ে বসলো। তিথি একেবারে থেমে গেল। পাগলটা এবার উঠে দাঁড়িয়েছে। নাকটা উঁচু করে কি যেন শুঁকছে মনে হল, আর বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। হাত দুটো মুঠো করে যেন কারোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে। তিথি ভাবলো এই সুযোগ, ওর দিকে ফেরার আগেই দৌড়ে জায়গাটি পেরোতে হবে। ব্যাগটা বুকে চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দৌড়তে যাবে এমন সময় দুটো সবল হাত পিছন থেকে টেনে ধরলো। আর একটা হাত রুমাল দিয়ে তার মুখটা চেপে ধরলো। তীব্র একটা নেশা গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো। তিথি চেষ্টা করেও হাত ছাড়াতে পারলো না। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল, ডান পা দিয়ে পিছনের জনকে সজোরে এক লাথি কষাল। মোক্ষম লেগেছে, লোকটা আর্তনাদ করে উঠলো। পাশের যে লোকটা রুমাল চেপে ধরেছিল, এই ঘটনায় একটু ভড়কে গিয়ে হাতটা নাড়িয়ে ফেলতেই তিথি প্রাণপনে চেঁচালো… বাঁচাও…বাঁচাও… তারপর আর কিছু মনে নেই। চেতনা হারাতে হারাতে মনে হল, বিশাল একটা অন্ধকার পিণ্ড প্রচন্ড গতিতে তাদের দিকে ছুটে আসছে।

 

 তিথির জ্ঞান ফিরল পরের দিন সকালে। সারা শরীরে অসহ্য ব্যাথা। সে কিছুই মনে করতে পারছে না। মা ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। বাবা-ভাই শুকনো মুখে ওর দিকে তাকিয়ে। ঘরে আরও অনেক মানুষ, তাদের কাউকেই চিনতে পারছে না। একটা ঘোরের মধ্যে সে সিলিংয়ের দিকে ফ্যালফ্যাল চোখে চেয়ে রইলো। বেশ কিছুক্ষণ পর আবছা আবছা একটা ছবি যেন গভীর জলের মধ্যে থেকে কাঁপতে কাঁপতে উঠে আসতে লাগলো। জলের কথা মনে পড়তেই শালবনের ঘন কালো দীঘি চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো, আর তৎক্ষণাৎ সব কথা মনে পড়ে গেল। সে আর্ত চিৎকার করে উঠে বসতে গেল। পাশে বসা এক ভদ্রলোক জোর করে শুইয়ে দিলেন। বড় বড় অসহায় চোখে তিথি বুঝলো ডাক্তারবাবু ওকে পরীক্ষা করছেন। প্রচন্ড ভয় পেয়ে ও মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল।

 

 বিকেলবেলা তিথি একটু সুস্থ বোধ করলো। বাবা পাশে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, তোর কিচ্ছু হয়নি, কয়েকটা বদমাশ লোক তোকে আটকেছিলো, কিন্তু ওই পাগলটার জন্যে কিছু করতে পারে নি। তিথির চোখ বড় বড় হয়ে গেল। সে নির্বাক চেয়ে রইল। বাবাও চুপ করে গেল। মা পাশে দাঁড়িয়ে কাঁকিয়ে  উঠলো। ভাই অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে চোখ মুছছে। তিথি কিছু বুঝতে পারছে না। তার যদি কিছু না হয়ে থাকে তবে এরা এরকম করছে কেন? সে বাবাকে ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে লাগলো। কান্নাভেজা গলায় চিৎকার করে উঠলো, আমার কি হয়েছে বাবা ! বলো ! লুকাচ্ছো কেন ! ওরা আমার কি করেছে ? বাবা মুখ না ফিরিয়ে বলল, তোর কিছু হয়নি খুকি, তোকে বাঁচাতে গিয়ে ওই পাগলটা খুন হয়েছে। বাবার শরীরটা থরথর করে কেঁপে উঠলো। তিথি চোখ বুজলো, বুঝতে পারলো না সে এখন মুক্তির শ্বাস নেবে, না প্রচন্ড আগুন নিয়ে জ্বলে উঠবে। কিন্তু এখন এত ক্লান্ত লাগছে, কোনো কিছু করার মতো শক্তি তার মধ্যে অবশিষ্ট নেই। 

 থানার বড়বাবু এসেছিলেন। ইচ্ছে না থাকলেও তিথিকে বসার ঘরে যেতে হয়েছিল। একটা ঘোরের মধ্যে বড়বাবুর প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে গেছে। তারপর বড়বাবুর মুখে সব কিছু শুনে তিথির চিন্তাভাবনা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল৷ সে দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়ে রইলো। একটা অ্যাক্সিডেন্টে ছেলেটির বাবা-মা দুজনেই মারা যান। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটি স্বাভাবিক ছিল না৷ বাবা-মায়ের মৃত্যু তাকে আরও অস্বাভাবিক করে তোলে। জ্ঞাতিরা সম্পত্তি দখল করে ওকে আর ওর বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারপর ভাই-বোন এই গ্রামেই থাকতো৷ বছর চার আগে কয়েকজন জানোয়ার এই শালবনে তার বোনকে ধর্ষণ করে খুন করে দীঘির পারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেই থেকে ছেলেটি ওই দীঘির ধারে আস্তানা গাড়ে। পাগল তার নিজের মতো করে এলাকার পাহারাদার হয়ে বসেছিল। তিথির আবার ভীষণ মাথার যন্ত্রণা শুরু হল, দারোগাবাবুর কোনো কথা কানে ঢুকছে না। আমার সে চেতনা হারিয়ে ফেলল। জ্ঞান হারাতে হারাতে বন্ধ চোখের অমাবস্যায় স্পষ্ট দেখতে পেল, একটা বিশাল অন্ধকার পিন্ড নক্ষত্র গতিতে তার দিকে ছুটে আসছে।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
আমার বউ

আমার বউ

জোবায়ের রাজু সুন্দরী সুরমাকে দেখে তার প্রেমে দিওয়ানা হয়ে তাকে একেবারে আমার বউ করে ঘরে নিয়ে এসেছি। সংসার করে এখন বুঝি এই বউ জন্মের কিপটে। ...
বড়োগল্প - আব্বাসাহেব

বড়োগল্প – আব্বাসাহেব

জালাল উদ্দিন লস্কর শাহীন উজানতলী গ্রামের ফজর আলী দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর কিছুদিন আগে বাড়ী ফিরে এসেছে।বাড়ীর সাথে কোনো যোগাযোগ না থাকায় পরিবারের লোকজন ধরেই ...
অণুগল্প-জলছা্প / দালান  জাহান

অণুগল্প-জলছা্প / দালান  জাহান

আষাঢ় মাস সারাদিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। কখনো উঁকি দিচ্ছে রোদের তেজস্বী ফণা। আবার শুরু হচ্ছে মেঘ ডাকার শব্দ। একদল শিশু বৃষ্টিতে ভিজছে আর বলছে – ...
কবিতা-চুপ

কবিতা-চুপ

  অরবিন্দ মাজী   কারা যেন তর্জনী তুলে ব’লে দিয়েছে. তোমরা কিছুই দেখনি,  কোনো কিছুই দেখবে না,  আমরা এখন পুরোপুরি  অন্ধ.   কারা যেন সদর্পে ...
 মিছিলের যাত্রী I মোস্তাক আহমেদ 

 মিছিলের যাত্রী I মোস্তাক আহমেদ 

Iমোস্তাক আহমেদ    আজ মিছিলে হাঁটে হাঙর-তিমি মিছিলে হাঁটে জলের রাণী সব ফুল আজ মিছিলে হাঁটে বৃদ্ধ-যুবক মিছিলে হাঁটে দলছুটদের ঝাঁক আজ মিছিলে হাঁটে শিরিশ-জারুল ...