তোমায় আজও খুঁজে চলেছি,
রূপসী বাংলার প্রান্তরে,দেউলে, নদীতটে,
রূপসার জলে,গাঙুরের তীরে, জলঙ্গীর ঢেউয়ে,
ধলেশ্বরীর তীরে আজও বসে আনমনে….
তোমার প্রতীক্ষায়..!
আমি আজও চেয়ে থাকি নিষ্পলকে,
নক্ষএখচিত আকাশে সন্ধ্যা নামে ধীরে,
জোনাকির দীপ্তমান আলোয় রাতজাগা বাসরে,
লক্ষ্মীপেঁচার নিশিযাপন শান্ত স্নিগ্ধ চোখে!
শুধু তুমি আসবে বলে…!
আমার চলার প্রতিটি আঁকে বাঁকে,
ভাঁটফুল- কলমীদাম- মুথা ঘাস পায়ে জড়িয়ে ধরে…
মাছরাঙা – শঙ্খচিল- খঞ্জনা – শালিক- দোয়েল- শ্যামা
আজও উড়ে আসে তোমার খোঁজে বারে বারে,
আকাশের শুকতারা আজও পথ চেয়ে থাকে,
কতদিন খুঁজেছি তোমায় গোধূলির অস্তরাগে!
আমি আজও প্রতীক্ষায় থাকি…
রূপশালী ধানক্ষেতে, শ্যামলিমায় সমীরের দোলা…
পাড়াগাঁর মেঠোপথে বেলকুঁড়ি ছাওয়া,
পরণে লাল পেড়ে শাড়ি, ললাটে সিঁদুর…
হাতে কোঙ্কণ লাল- শাদা!
ভেজা বাসমতী চাল, নিকানো উনানে ভাত ধোঁয়া ওঠা!
রূপালী চিতল- সরপুঁটি – শামুক – গুগলি- মরালের আনাগোনা,
হিজল- বট- অশ্বত্থে কাঁচপোকা, ফড়িং, প্রজাপতি,শ্যামাপোকার শামিয়ানা!
তোমার সম্ভাষণে প্রস্তুত কবি,তোমারই প্রতীক্ষা।
কুয়াশা জড়ানো শিশির স্নাত ধানসিঁড়িটির তীরে,
আমি বসে আছি আজও একা….
” আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায় “, মনে পড়ে কবি…..
একদিন দিয়েছিলে যে কথা….!
আরও একবার ফিরে এসে দেখো,
সুরঞ্জনা- বনলতা, আজও জীবনের প্রতীক্ষারতা!