” ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের
সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিলো
নাটোরের বনলতা সেন! ”
এই যে সরল স্বীকারোক্তি করেছিলো
একসময়ের বালক মিলু ছিলো
যার ডাকনাম আজকে আমরা জানি,
সে তুমি আমাদের বরিশালের
শ্রী জীবনানন্দ দাশ।
মানুষের শরীর রয়ে গেছে
এখনো মানুষের ভিতর
কিন্তু হৃদয় মরে গেছে
সেই কবেই, শুধু আমরাই বুঝিনি!
নইলে কী আর তাঁকে
এতো কষ্টে শরীর পেতে দিতে হতো
ট্রামের নীচে পড়ে!
আর কেউ পড়েছে কী কোনো কালে?
কবি হলেই কী এভাবে মরতে হয়
অনটনে, সংসার জীবনে
ব্যর্থ মানুষ হয়ে, লাবণ্য’রা কী
এভাবেই ইতিহাস হয়ে রয়!
তোমার প্রিয় ধানসিঁড়ি নদীটাও
এখন আর বেঁচে নেই!
সবুজ ফসলের মাঠ হয়ে
শুধু স্মৃতি টুকুই বয়ে বেড়ায়!