সিনেমানামা ডেস্ক
আপনারা কি কখনো নাজনিন নিহা এবং তটিনীকে গুলিয়ে ফেলেছেন? অনেকেই হয়ত ফেলেছেন। কারণ বাংলাদেশের ছোট পর্দায় যে সকল তরুন তুর্কী আলো ছড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে তটিনী এবং নিহা উল্লেখযোগ্য। এই দুই রূপসীর হাসি এতটাই সুন্দর, যেন মনে হয় নিখাদ জ্যোৎস্না হাসছে হৃদয়ের গহীনে। বাংলাদেশের উদীয়মান অভিনেত্রী নিহা, আলো ছড়িয়েছেন বেশ কিছু কাজে। তটিনীও কিন্তু কম নন, রূপের সাথে মিষ্টি হাসি এবং মিষ্টি ভাষী এই দুই তরুণ তুর্কীকে নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। তাই ভিডিওটি শুরু করার আগে অবশ্যই ভিডিওটিতে লাইক এবং পরবর্তী ভিডিওর আপডেট পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
নাজনিন নিহা! বর্তমান সময়ে তরুণদের ক্রাশ। পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তার হাসির সৌন্দর্য। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে তার শর্ট ভিডিওগুলোয় সারাদিন বুঁদ হয়ে থাকে। এ প্রজন্মের তরুণরা; যেন নিহার হাসিতে আছে স্বর্গীয় সুখ। নিহা প্রথমে প্রবীর রায় চৌধুরী পরিচালিত নাটক লাভ সেমিস্টারে জোভানের বিপরীতে অভিনয় করে ছোট পর্দায় পা রেখেছেন । সেই নাটকে নিহাকে অনেকেই তটিনী কিংবা মেহজাবিনের সাথে গুলিয়ে ফেলছিলেন, কারণ নিহার প্রিটি ফেইস এতটাই মাইন্ড ব্লোয়িং যে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। একটি ইন্টারভিউতে নিহাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনাকে অনেকেই তটিনী কিংবা মেহজাবিনের সাথে গুলিয়ে ফেলে, এটা আপনি কিভাবে দেখেন? জবাব নাজনিন নিহা তার মিষ্টি হাসি হেসে, বলেছিলেন…এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও দেখুনঃ
নিহা অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুলের একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে। সেখানে তটিনীকে এতটাই সুন্দর লাগছিলো যে দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।
এর আগে বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও টিভি নাটকে লাভ সেমিস্টার প্রথম কাজ নাজনীন নাহার নিহার। প্রথমবার নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে নিহা বলেন, ‘বিজ্ঞাপনে অনেক কাজ করলেও আমার কখনো নাটকে অভিনয় করা হয়নি। প্রবীর ভাইয়া এত সুন্দর একটা গল্পে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, আমি আর না করিনি। জোভান ভাইয়াও দারুণ সহযোগিতা করেছেন।
দেখতে বড় মনে হলেও নিহা সবেমাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এত কম বয়সে অভিনয় আর কাজের প্রতি তার ডেডিকেশন আকাশচুম্বী। আর তাই তো অভিনয় নিয়ে বহুদূর যেতে চান এই অভিনেত্রী। নিহা অভিনয়ে নিয়মিত হবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি খুব বেশি কাজ করতে চাই না। বেছে বেছে ভালো মানের কাজগুলোই করতে চাই। যেহেতু এই জায়গাটা আমার ভালোবাসার জায়গা, তাই মানসম্মত কাজ দিয়ে মানুষের আরও ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।
সম্প্রতি এই অভিনেত্রী একটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন। ইমরানের গানে মডেল হয়ে জুটি বেঁধেছেন ‘ওরে জান’ শিরোনামের মিউজিক ভিডিওতে। যে গানের শুটিং হয়েছে ঢাকা ও নেপালে। ইতোমধ্যে গানটি মুক্তি পেয়েছে রঙ্গন মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলের ব্যানারে। আর গানের মধ্য দিয়েও এই প্রথমবার মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন নিহা।
ইমরানের সঙ্গে মডেল হিসেবে প্রথমবার মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার অনুভূতি জানতে চাইলে নিহা বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতাটাও বেশ দারুণ। আমাদের প্রোডাকশন ও টিম মেম্বাররা সবাই অনেক আন্তরিক ছিল। নেপালের শুট করতে গিয়ে ছুটির বাইরেও আমরা অনেক মজা করেছি। আর ইমরান ভাইও আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন। গানের কথা, সুর, লোকেশন সব মিলিয়ে মন ছুঁয়ে গেছে। ভিডিওটি ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
নাটকের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন ভালো ভালো মিউজিক ভিডিও করতে চান এই অভিনেত্রী।
নাজনিন নিহার সেরা পাঁচটি নাটক ও তার সম্পর্কে অজানা তথ্য!
নিহা জানালেন, সম্প্রতি আরও একটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন। আসছে কোরবানির ঈদে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজটি করছেন। নাটকের নাম ‘সুইট প্রবলেম’।
ফারহানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে নিহা বলেন, ‘দর্শকদের ভালোবাসায় নতুন আরেকটি কাজ করলাম। লাভ সেমিস্টার নাটকের মতো এই নাটকেও দর্শক বেশ আনন্দ খুঁজে পাবেন। আর ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি বলি, তিনি অনেক গুণী অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।’
এভাবে দর্শককে আনন্দ দিতে ভালো ভালো গল্পে অভিনয় করে যেতে চান নিহা। সবার ভালোবাসা নিয়ে অভিনয়ের আঙিনায় অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে চান।
এই তো গেলো নাজনিন নিহাকে কথা, তাহলে চলুন এবার তটিনীকে নিয়ে আলোচনা করা যাক?
তটিনীকে নিয়ে ভিডিও শুরু করার আগে অবশ্যই ভিডিওটিতে লাইক এবং পরবর্তীতে এই চ্যানেল থেকে আপডেট পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
নদীর সরল-যৌগিক সরোবর বয়ে প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালের বুক চিরে… তটিনী.. যার অর্থ নদী। সেই বরিশালের কীর্তণখোলা, সন্ধা, সুগন্ধা, বলেশ্বরের মতো আকাবাঁকা জলস্রোতের কাব্যকথার সুর ধরেই হয়ত তার নাম রাখা হয়েছিলো তটিনী। এসময়ের সব থেকে পছন্দের, মিষ্টিমুখ…তানজীম সাইয়্যারা তটিনি।তটিনী বরিশালের মানুষ। এই ক্ষণপ্রবাহের জলপ্রপাতের মতো ঝলমলে ঝিলিক স্রোতের সাবলীলতায় ব্যক্তিগতভাবে তটিনীকে বেশ ভিন্ন লাগে। সে সম্ভাবনাময়ী প্রবলভাবে…। ওয়েস্টার্ণ কিংবা মর্ডান লুকে নয়..তটিনী’র মধ্যকার আভিজাত্য….নির্বাক বাঙালীয়ানা আর সারল্য বোধয় খুব বেশি ভালো লাগে৷ চেহারার সারল্য আর ভূবন ভোলানো হাসি দেখে তটিনীকে ২০১৮ সালেই বেশ সম্ভাবনাময়ী মনে হয়েছিলো৷ যদিও সম্প্রতি তার অবিচল ছুটে যাওয়া চোখে পড়ছে৷
তরুণরাই কেবল তার হাসির প্রেমে পড়েছে, এমন বললে কমই বলা হবে। ৮ থেকে ৮০- সবাই পছন্দ করছেন তাকে। যিনি দেখছেন, যেন তাকিয়ে থাকছেন কিছুক্ষণ। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে তার হাসির চর্চা আর মুগ্ধতার কথা; শেয়ার হচ্ছে তার ছবি। সব মিলিয়ে তরুণ তুর্কি হয়ে যেন মিডিয়া দখল করতে এসেছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তার অবশ্য ‘দখল’ শব্দে আপত্তি।
‘আমি তো মাত্র শুরু করলাম। কোথায় যাব, কেমন হবে, কী করতে চাই, তার কিছুই এখনও জানি না বা ঠিক করা হয়নি।’ বললেন তটিনী।
নদীপারের মানুষ জন্যই কি মেয়ের নাম তটিনী রেখেছিলেন বাবা-মা? না, সে গল্প শোনা হয়নি। তবে অভিনেত্রী যা জানালেন, সেটি এমন, ‘আমি বরিশালের মেয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমি বরিশালেই ছিলাম। ওখানেই আমার পড়ালেখা। আমার পরিবারের সবাই ওখানেই থাকেন। আমাদের যৌথ পরিবার না, তবে সবাই কাছাকাছি থাকেন। আমার ফ্যামিলির মধ্যে ভালোবাসা অনেক।
একটি বিশেষ ব্যাপার বললেন তটিনী, সেটি হলো, ‘আমরা প্রায় সবাই পশুপাখির প্রতি সহানুভূতিশীল। আমার নানিভাই খুবই বিড়াল পালতে পছন্দ করতেন। আমিও দেখা গেছে, ছোট থেকে এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে একটা না একটা বিড়াল আছেই।’
শুরুর দিকে অনেক জড়তা কাজ করত অভিনেত্রীর। এক বছর হয়েছে নাটকে অভিনয় করছেন এবং ধীরে ধীর কাজের চাপ বাড়ছে বলে জানান তটিনী। কাজ আসাটা সমস্যা না, কিন্তু সেখান থেকে পছন্দের কাজটি নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে অভিনেত্রীর জন্য। বিবেচনা বা নির্বাচন করার মতো এতটা অভিজ্ঞতা অভিনেত্রীর না হলেও নিজের কাছে সেটি ভালো লাগছে, সেই কাজে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন তিনি। কাজ করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আফরান নিশো, জোভান সহ বেশ কিছু বড় তারকাদের সাথে।
বাড়ির ছোট মেয়ে তানজিম সাইয়ারা তটিনী। স্বভাবতই আদরের। মা-বাবা, বড় ভাই আর ভাবিকে নিয়ে তার পরিবার। সেই আদর আর দর্শকের ভালোবাসা নিয়ে আপাতত শুধু এগিয়ে যাবার পালা।নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন, মেজর সাবজেক্ট মার্কেটিং। তৃতীয় বর্ষ শেষ করেছেন মাত্রই। বিদ্যাপীঠ থেকে পাওয়া জ্ঞানও কাজে লাগাতে চান তিনি। চাকরি করতে চান, তবে বিষয়গুলো নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা এখনই নেই তটিনীরত