ক্ষয়িষ্ণু জীবন
পেছনে সরে গেছি অনেক
দূরে দাঁড়িয়ে পামগাছটা একটা নিষ্প্রাণ মুখ
তাকিয়ে থাকি প্রবল আর্কষণে-
এভাবে ক্ষয়ে যাই পড়ন্ত বিকেল
ঝরা বকুল,নক্ষত্র অথবা অশ্রæর মতো
এক অদৃশ্য হাত নিমেষেই খুবলে নেয় আমার আয়ু।
এখন পেছনে শুধু আমার ছায়া তার পেছনে দাঁড়িয়ে
জীবনের আবশ্যিক মৃত্যু।
পুড়ে যায় চোখ
আমনের খেত দেখি ভরা হেমন্তে
কৃষাণীর সুঠাম দেহের ধান মাড়াই
সন্ধ্যায় কবিগানের সুর টানে আলোছায়া মে
মেঠো পথ ধরে হেঁটে যায় সানগøাস পরা
কোনো তৃষ্ণার্ত যুবক-
আমি তার চোখে আগুন দেখি
যে আগুনে পুড়ে যায় চোখ-ফাগুন দুপুর।
চাঁদরে ঢাকা আঁধার নেমে আসে শরীরে
জোনাকির ভিড় বাড়ে শিমুলের বনে
রাত গভীর হলে-
চেয়ে থাকে সে যুবক নক্ষত্রের দিকে
শিমুলের বনে তখন লেগেছে আগুন জোনাকির টানে
সে আগুনে পুড়ে যায় চোখ-স্তব্ধ রাত্রি।
অকারণে শব্দগুলো
এখানে রাত্রি নিরব, বিকেলটা ধূসর
প্রেমগুলো রঙিন কাগজের মতো
উড়ে বেড়ায় প্রেমিকের বুক থেকে বুকে
বিকেলে ধলেশ^রীর বুকে নৌকায় অলস সময়।
এখানে ঝিঁ ঝিঁ পোকারা অহংকারী
মাতাল, নিঃশব্দ আর অর্থহীন;
মগজে অনবরত প্রলাপের আসা-যাওয়া
মেদহীন শব্দগুলো অকারণে প্রতিদিন
আগুনের ফোয়ারা ছোটায়।