১.
কবিতা লেখার ধুম
আজ বলে দিলাম মেঘলা আকাশকে – তোমার চেয়ে আমার মন
কী কম খারাপ? আমার আকাশ হতে
একে একে নক্ষত্র গুলো খসে পড়ছে! তবুও তো আমি তো কী সুন্দর খাচ্ছি, দাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, নতুন ব্রাশ দিয়ে
বেয়াড়া দাড়ি গুলো কে
বাগে আনতে চেষ্টা করছি!
কখনো কখনো পত্রিকার পাতায়
অথবা ফেসবুকে প্রিয়জনের মৃত্যুর
সংবাদ শুনে নির্বিকার ভাবে লিখে
যাচ্ছি ” ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না
ইলাইহি রাজিউন “! তারপর আবার
দিন চলে যাচ্ছে,
রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে
আলো ফুটে
অন্ধকার দূর হয়ে যাচ্ছে!
এদিকে কেউ কেউ পাঁচদিনে
পাঁচটি নতুন কবিতা লিখার চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে দিচ্ছি অন্যকে ;
যেনো আমরা সবাই এক একজন আকবর বাদশা’র
নয়তো কেউ আরাকান রাজসভার
অথবা অন্য কোনো রাজসভার
সভাকবি, যার একমাত্র কাজই হলো
কবিতা লিখা! কিন্তু কী আশ্চর্য,
তাঁরাও কি পারতেন এভাবে কারো
আমন্ত্রণে লিখতে কখনো? কবিতা
কী চাইলেই লিখা সহজ এতোই?
যখন কারো মগজের বাগানে
ফুল ফোটে, সুবাস ছড়িয়ে যায়
কবির হৃদয়ের মণিকোঠায়,
কবিতা প্রেমিক কবির হৃদয়
আহত হয় কোনো বিষয়ে
অথবা কোনো সাইক্লোন বয়ে যায়
কবির হৃদয়ে ; তখন হয়তো বা
কোনো এক সময় কবি ডিমপাড়া
মুরগীর মতো অস্থির হয়ে ওঠে
লিখার জন্য এবং তখনই তার হাতে
একটি অমল ধবল জ্যোৎস্নার মতো
কবিতা খিলখিল করে হেসে ওঠে!
অন্যথায় এসব কবিতা লিখার
ধুম পড়ে গিয়ে করোনা ভাইরাস
এর মতো একদিন কবিতারই মৃত্যু
ডেকে আনবে নির্ঘাত!
২.
একটা সত্যি কবিতা
বললাম তাকে – “একটু সরে বসো “।
” আমি মোবাইলে ফেসবুক দেখবো
অথবা কিছু লিখবো। ”
ও কী সুন্দর হাত থেকে মোবাইল
কেড়ে নিয়ে আড় চোখে তাকিয়ে
তাকিয়ে দ্বিধাহীন বললো,
” মোবাইল না দেখে আমাকে দেখো।
আমার চোখের ভিতরেও একটা
কবিতা আছে, ওটা তোমার প্রতি
আমার ভালবাসার কবিতা, বাবা! “
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম
শুধু, ঐটুকু ছোট্ট ছেলেটার কথা শুনে। এটাই তো একটা সত্যি কবিতা!