অর্থনৈতিক সমাচার
নিয়মের প্রেসক্রিপশনে ‘পকেট টেস্টিং!’
ঘুম ঘঠিত প্যাঁচালের শেষে ‘রিপোর্ট নরমাল!’
ভুড়িসমাচারে ডাক্তার বাবুর চর্বিত চর্বনে
‘নৈতিকতার টক’- সেবনে আরোগ্য নিশ্চিত!
পরিবার-পরিজনের প্রেসার আপ-টু-আপে
দৌড়ুলেও, ছমির কাকা নরমালেই আছেন!
তার কাছে পকেটের স্বচ্ছলতাই ঘটন-অঘটন;
সাকুল্যে, টাকাই বঞ্চনা ও মুক্তির মহৌষধ!
.
.
.
.
.
.
ভূতের শহরে একজোড়া পা
রাত গভীর হলে দাদু’র কণ্ঠ ভারী ভারী লাগে!
একালেও দাদু কেচ্ছা শোনান,
‘ভূতেরা না-কি ইচ্ছেধারী হয়, রূপ বদলায়!’
প্রথমে ছায়া, তারপর আলেয়ার মতো
ছুঁতে গেলেই হাড়গুলো খসে পড়ে;
খিলখিল হাসিতে কুলিটা শূণ্যে ওঠে যায়!
আরো ভূত আসে…! চন্ডী, চারাল আরো আরো…
মাথাহীন, ধড়হীন, মোটা, পাতলা কতো ভূত!
আমিও ভূত হতে চাইলে, ‘দাদু ধমক দেন’—
বিশেষ প্রাণীরাই না-কি ভূত হতে পারে!
আমার কান্নায়া দাদু হাসেন,
পান চিবুতে চিবুতে বলেন, ‘মানুষ তো ভূত হয় না;
মানুষরূপী প্রাণীরাই ভূতের অমরত্ব পায়!’
ঘুম ভাঙলে দেখি—
ভূতের শহরে একজোড়া পা…!
লেখা- মুহাম্মদ রফিক ইসলাম
নেত্রকোনা, বাংলাদেশ ।