অমিত মজুমদার
নগর এখন শহর থেকেও অনেক দূর
বিপদসীমার আবেগপ্রবণ ফর্মুলায়
সব অপরাধ ঘটছে, রাতের আগ্রহেই
অসুর এলেন নিষিদ্ধ এক পরচুলায়।
পার হয়েছেন অনেক স্টেশন তাই তিনি
হাত না পেতে ব্ল্যাঙ্ক চেকেতে ভিক্ষা নেন
নিজেই কিন্তু এন্টি হিরোর পাঠ করেও
অন্যজনকে সাইড রোলের দীক্ষা দেন।
এখান থেকেই যাবেন তিনি দূরদেশে
গমন পথটা লিখবে কোনো সস্তা ড্রেন
ওপর নীচের স্বর্গ পাতাল না চিনলেই
আমজনতা ভীষণ রকম পস্তাবেন।
মাসের হিসেবে তিরিশ দিনেও হচ্ছে না
গণিত নিজেও লুকিয়ে থাকছে অঙ্গারে
কি নাম যেন গলায় ঝোলে যুবকটার ?
সেই যে গেলো কাল পুলিশের সংসারে।
সেখান থেকে বাইরে আসাও সমস্যার
অতৃপ্ত কাক মাংস দেখলে পোষ মানে
নিখুঁত কোনো প্রমাণ হাতে না থাকলেও
আগের জন্মে লুকিয়ে থাকা দোষ টানে।
ওই যে যেমন চেরাই হওয়া গাছগুলো
জাতিস্মরে মোমজাতীয় পালিশ কই ?
তুই যখনই ঘুমিয়ে যাবার ছক খুঁজিস
আমিই এসে তোর মাথাতে বালিশ হই।
তুলোর ভেতর মাথার ছাঁচ সে গর্তটায়
তলিয়ে যেতে তিনিই দেবেন আস্কারা
একেই বলে মৃত্যুদিনের সমাজ শোক
কাটিয়ে দেবে যত্নে কয়েক মাস তারা।
এবার না হয় বালিশ ছেড়ে ঘুম ভাঙুক
ওই যে অসুর, দেখিয়ে দিতে জাদুর ঘা
মৌন থাকার আবেগ ভুলে সেই তাকেই
উপোস ভেঙে ত্রিশূল বেঁধাক মা দুর্গা।
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ ।