নয়ন হাসান
বছর পনের আগে;পুকুরপাড়ের ঝাঁকড়া ডুমুরগাছ হতে বুলবুলির শাবককে, অকারণেই ধরে নিয়ে এসেছিলো বারো বছর বয়সের বাবুল।পড়শিরা ওকে বলেছিলো;বাচ্চাগুলোকে রেখে আয় বাবুল,কারো বাচ্চাকে কেড়ে নিতে নেই,এতে অমঙ্গল হয়।বাবুল তবুও রেখে আসেনি।মা পাখিটি বাচ্চাগুলোকে হারিয়ে সেদিন যে আর্তনাদ করেছিলো,তা এখনও আমার কানে বাঁজে।তারপর দেখতে-দেখতে পনের বছর অতিবাহিত হয়েছে। বছর দুয়েক আগে বাবুল বিয়ে করে এনেছে পাশের গ্রামের একটা মেয়েকে।
ছয়মাস আগে তাদের একটা ছেলে বাচ্চা হয়।সপ্তাহখানেক আগে জানতে পারি, বাচ্চাটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।বাবুল বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে এ কয়েকদিনে।এক ডাক্তার হতে আরেক ডাক্তারের কাছে ছুটে বেড়িয়েছে,তবুও কোনো কিনারা খুঁজে পায়নি।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ সকালে মারা গেলো নিষ্পাপ বাচ্চাটি।বাচ্চাটির দাফন-কাফন সম্পূর্ণ করে এসে,বসে পড়েছি একটি মৃত গাছের গোড়ায়।।বসে-বসে ভাবছি; এটা কি সেদিনকার ওই মা বুলবুলির অভিষাপ!নাকি প্রকৃতির প্রতিশোধ!
কেশবপুর,যশোর।