গভীর বনের মাঝখানে সরু পথ,
অতি নিঃশব্দে এগুতে হচ্ছে।
ভয় হয় হঠাৎ কী বিপদে পড়ি!
বাঘ, ভাল্লুক, বন্য শূকর কিংবা ডাকাত দল।
হারিয়ে ফেলছি পৃথিবীর পথ
বন্য পথে আমিও পশু।
যদিও এর থেকে বড় পশুস্থান আমাদের সমাজ!
সেখানে পশুদের আবার নানান রূপ, মান ও লেভেল থাকে।
একটা হরিণের বাচ্চা সামনে পড়ল
তিড়িং করে লাফ দিয়ে ঝোপের আড়ালে হারালো।
আমার বড় সুন্দর লাগলে পশুটাকে।
ওপাশে গিয়ে দেখলাম তাদের পুরো দল,
ফিসফিসিয়ে নিজের মধ্যে বিশেষ আলাপন করছে!
আমি কান পেতে থাকলাম,
‘ঐ লোকটা কী আমাদের মেরে ফেলবে, মা?’
‘সে তো এদিকে আসছে না!’
‘তাও কেমন করে তাকিয়ে আছে, হাতে একটা ছুরিও আছে।’
‘এদিকে পা বাড়ালেই ছুট লাগাবে।’
মা হরিণ ঘাস চিবোনোতে মনোযোগী হলো।
‘গতবার একটা মানুষ আমার ভাইকে মেরে ফেলল।’
‘সব মানুষ এক না, অনেকেই ভালো হয়। সবাই তো আর পশু না।’
একি! আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠল।
আমি ওদের কথা কীভাবে বুঝতে পারছি?
ওরা তো পশু,
আমি তো মানুষ!