দুর্গোৎসব
নিশিকান্ত রায়
( এক)
ফিরে আসতে চাই নি আমরা
বিভক্তির রেখাগুলো ফুটে উঠছিল
ওরা বলেছিল এসো,
তুমি যা চাও তার সবটুকু আছে প্রসারিত মাঠে
যেসব পাখি মাঠের উপর দিয়ে উড়ে যেত
তাঁদের কেউ নেই
আগে যেমন অঙ্ক শেষে ভাগশেষ থাকতো
এখন শূন্য থেকে শংকা এসে ভিড় করে
কৈলাশের খঞ্জন পাখিরা খবর নিতে আসে
মাঝখানে বিশাল ব্যবধান আকাশ ও মাটির মতোই
তবুও বুকের পাঁজরে লেখা মায়ের আগমনী গান।
দুর্গোৎসব
নিশিকান্ত রায়
( দুই)
কোন স্মৃতি নয়। বাতাস যেমন জলের গায়ে লেগে থাকে। চাঁদের যেমন লোভ হয় রাতের জন্য। নদী যেমন ঢেউতুলে জেগে থাকে। একটা প্রবাহ যেমন উৎসের দিকে তাকিয়ে নিজেকেই উন্মোচন করে। বারংবার সংকোচন ও প্রসারণের ফলে উন্মুক্ত অস্তিত্বের ফুল ফুটে উঠে। তেমনি সমস্ত পৃথিবী একটি প্রতিমা। তাঁর অনন্তকাল ভেসে উঠে। তাঁর অপাপ সৌন্দর্য্যের শরীর থেকে মন্ত্রমুগ্ধ ঈশ্বর। সে প্রতিদিন দেখতে পায়।
দুর্গোৎসব
নিশিকান্ত রায়
(তিন)
পূজো দিতে এসেছিলাম
তিথি ও লগ্নগুলো ছড়িয়ে ছিল মনের উঠোনে
সকালের কাছে ধার নিয়েছি বুনো ফুল
আলো তুলে দিতে চেয়েছিলেন অনেকেই
তাঁদের মনের কিছুটা অংশজুড়ে পোড়ামাটি
তবুও মাটিকে ভালোবেসে
পোড়াগন্ধ নিয়ে নির্জলা উপবাস করে যায়
পূজো দিতে এসে
আকাশের গ্রন্হনা করে গেলাম
মৃত্তিকার গ্রন্হনা করে গেলাম
সময়ের গ্রন্হনা করে গেলাম
কতিপয় শব্দের কাছে কাঁটাতারহীন
মনুষ্যত্বের ফুল রেখে গেলাম।
থানাপাড়া, লালমনিরহাট