হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার এর একগুচ্ছ কবিতা
এক.
অন্ধকারের মাঝে
এক অন্য আমি কে
খুঁজে বেড়ানো আমার খেলা।
সে কথা একেবারে মিথ্যা
হয়তো কেহ জানবে না,
এক আমির ভেতর লুকানো
অন্য আমির কথা।
লুকোচুরির খেলায় তবে
যাব আমি ভেসে,
হয়তো দিগন্তের শেষ
ঠিকানায়।
যেথায় হবে এক অন্য আমি’র
ছোট্ট কুঁড়েঘর,
থাকবে যেটা নারকেল গাছের তলে
হবে এক নতুন পরিচয়।
দুই.
বর্ষণ
রৌদ্রোজ্জ্বল সকালবেলাকে
দেখতে কোনো হিংস্র পশুর
ক্রোধের ন্যায়।
হঠাৎ বর্ষণ,
সেই ক্রোধে জল দিয়ে
ঠান্ডা করার মতন।
বর্ষনের পাশাপাশি যে
হালকা হাওয়া ছোটে,
হৃদয়ের মাঝে ঝর তুলে যায়।
আস্তে করে বলে ভালোবাসার
ডালা নিয়ে এসেছি!
হায়!
ক্ষমা চাই! ভালোবাসা চাই না।
তিন.
কাশফুল
শরতের দক্ষিণা বাতাসে
কাশফুলেরা নপচে ওঠে।
শহরের কোলাহলের ভিড়ে
হাজারো হৃৎস্পন্দন ভেসে ওঠে।
গোলাপের ঝরে পরা পাপড়িগুলো,
প্রিয় মানুষটির মুখচিত্র
অঙ্কন করে।
নদীর পাড়ে এলোচুলো অপেক্ষিত
প্রিয়তমাকে দেখে,
প্রেমিকের আবার প্রেমে পরা।
মাঝরাতে পথের ধারে প্রেমিকের
আসা; প্রেমিকার নিজেকে ভাগ্যবতী
মনে করার একমাত্র কারন।
চার.
ফাগুন
শীতল আমেজের ফাগুন
তার মানে বসন্তেরই আগমন
বাসন্তী শড়ির মিলনমেলায়
আমিও ছুলাম একজন।
বসন্ত তার সাথে এনেছিল
ভালোবাসার রঙ,
সাদা গোলাপের সুবাসে
আমি ছিলাম মন্ত্রমুগ্ধ।
প্রকৃতি সেজেছিল তার এক
নতুন রূপে, নতুন আবেশে,
হারিয়েছিলাম তার সাজে।
পাঁচ
পাখি
উড়তে চাই –
আকাশে; যেমনটা পাকি উড়ে
তার দুটো ডানা মেলে ইচ্ছে মতো।
খাঁচা বন্দি পাখির মতো নয়!
বরং ডানা মেলে উড়ে চলার মতন
উড়তে চাই।
পুরো আকাশটা ঘুড়ে দেখার মতন
উড়তে চাই।
নিজের আত্মপরিচয় গঠন করে
ডানা মেলে উড়ে চলার মতন
উড়তে চাই।
স্বপ্নগুলো ছুঁয়ে নিতে চাই
ইচ্ছেগুলো পূরন করতে চাই
ডানা মেলে উড়তে চাই!