বৈরাগ্য- তানভীর ইমন
আমি যেন আজ স্তব্ধ।
গুনে খাওয়া অঙ্গ দেয়ালের ওপারে।
মাথার পিছনে মগজ গুলো,
যেন চিরতরে বিছানায় বন্দি।
আমার পাশের দেয়ালে শেওলা ধরে গেছে।
দেয়ালে টাঙানো তোমার ছবিটা ঝাপসা দেখাচ্ছে।
যে চোখের কোনে,
তোমার জন্য অবিরত মায়া ঝরতো,
সে চোখের কোনায়,
বেয়ে বেয়ে কালো পঁচা রক্ত ঝরছে।
তোমার দেয়া অনুভূতি গুলো,
শিরা-উপশিরায় মিশে ক্যান্সারের আহ্বান।
তোমার দেয়া সর্বোত্তম সুখটা ও,
আজ নিশ্বাসের সাথে ছিটকে বেরিয়ে পড়ছে।
আজ তুমি কি কষ্ট গুলোর স্বত্বাধিকারী না?
আজ তোমার চেহারায় ধুলো মিশে গেছে,
ধূসর রংহীন আকাশের মতো।
তোমার চুলের সেই গন্ধটা না পেলে,
আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হতো।
আজ বসন্তের বাতাসে,
তোমার চুলের গন্ধটা অনুভব করছি।
গন্ধটা যেন পাল্টে গেছে,
তোমার চেহারার মায়াটা,
কেমন ফ্যাকাশে অনুভব করছি ।
আবর্জনা-বন্ধ ঘরের মতো আমার ঘরটা,
চারপাশে কেউই নেই।
বেঁচে আছে কষ্টসাধ্য কিছু কলঙ্কিত স্মৃতি ।
আজও তোমায় চাচ্ছি, সত্তার অন্তরালে।
জানি ফিরবেনা এই ঘরে।
কারন তোমার রক্তে অমানুষের চিহ্ন।
তোমার অমানবিক চিন্তাভাবনা,
আমার হৃদয় ভাঙ্গার গল্প।