বই পর্যালোচনা- ক্যাপ্টেন থমসনের গুপ্তধন

বই পর্যালোচনা- ক্যাপ্টেন থমসনের গুপ্তধন
বইয়ের নাম-ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন।
লেখক-সৌরভ মুখোপাধ্যায়।
ধরণ-এ্যাডভেঞ্চার।
প্রকাশকাল-২০১২
বই পর্যালোচনা- আবির জয় 
.
.
.
সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের লেখা “ক্যাপ্টেন থমসনের গুপ্তধন” এক অনবদ্য গল্প।
লেখকের জন্ম ১৯৭৩ সালে পশ্চিম ভারতের হাওড়া জেলায়।তিনি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং পেশায় শিক্ষকতা শুরু করেন।
তার লেখা বহু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং ভালো সাড়াও পাঠকের কাছ থেকে পেয়েছেন।
তো তেমনই সাড়া জাগানো একটা গল্প “ক্যাপ্টেন থমসনের গুপ্তধন” যার রহস্য রস পাঠককে নিরাশ করবে না।
গল্পটি আঠারো’শ শতাব্দীর থমসন নামের একজন নাবিককে নিয়ে।
তার জাহাজের নাম ‘গ্রীণ অলিভ।
তিনি তখন সবে তার দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা শেষে জাহাজ নোঙর করে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে পেরুর লিমা শহরে বিশ্রাম নিচ্ছেন।পেরুর এই লিমা শহর তখন জাঁকজমকপূর্ণ অন্যতম বিলাসীতার শহর।
তখন আবার গোটা দক্ষিণ আমেরিকা জুড়েই তখন স্পেনের আধিপত্য।আর এর মূল কারণ সোনা।
স্প্যানীয় নৌবাহিনী এসে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন উপজাতির কাছ থেকে লুট করতে লাগল বিপুল পরিমাণে সোনা।তখনকার উপজাতি মায়া,ইনকা’র মত উপজাতিদের নিকট এত পরিমাণে সোনা মজুদ ছিল যে গোটা পৃথিবী জুড়েও এত সোনা বোধ হয় পাওয়া যাবে না।আগ্রাসী স্প্যানিয়ার্ডরা ইচ্ছেমত যেভাবে পারল লুট করল রাশি রাশি সোনা।

বই পর্যালোচনা- ক্যাপ্টেন থমসনের গুপ্তধন
একসময় উপজাতিরা বিদ্রোহী হয়ে উঠল এইসব স্প্যানিয়ার্ড শাসকদের উপর এবং হামলা করে তাদের সোনা কেড়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।তবে পেরুর শাসকের এই হামলার থেকেও বড় দুশ্চিন্তা সোনার।তাদের কাছে এত সোনা মজুদ আছে যে যা দিয়ে পুরো পৃথিবী কিনে নেয়া যাবে।যুদ্ধ হোক সমস্যা নেই কিন্তু তার সিকিভাগও যেন ঐসব অসভ্য,বর্বর,মূর্খ উপজাতির হাতে না পৌঁছায়।
এর জন্যই পেরুর শাসনকর্তা সিদ্ধান্ত নিল তারা ঐ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ গীর্জা থেকে হস্তান্তর করবেন অন্য কোনো গোপন স্থানে।
এখানেই ক্যাপ্টেন থমসনের আবির্ভাব।গোপনে শাসকের চার অমর্ত্য ক্যাপ্টেনকে শাসকের সামনে এনে সব খোলসা করল এবং বলল পরদিন ভোরের মধ্যে জাহাজে গোপনে সোনা মজুদ করে চলতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। থমসন রাজি হলো।
থমসনের ভাবতেই অবাক লাগে ‘পৃথিবী কেনার মত সমান অর্থের সোনা  জাহাজে নিয়ে যেতে হবে গোপন স্থানে!নকশা দেখে পাড়ি দিতে হবে সূদুর সমুদ্রের পথ!
এই নিয়ে থমসনের গল্প শুরু যেখানে তার জাহাজে সে আর দুই রাজপ্রতিনিধি ব্যতীত কেউই জানে না আসলে এই জাহাজ কি নিয়ে যাচ্ছে আর কোথায় যাচ্ছে….
আশা করি গল্পটি পাঠকের কাছে ভালো লাগবে।গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
শেষ ঠিকানা

শেষ ঠিকানা

ফাল্গুনী খান ডিভোর্স এর ৩ বছর পর আবার নীল এর সাথে অনুর দেখা।অনু ভেবেছিল ওকে দেখার পর তার তেমন কোন অনুভূতি কাজ করবে না। কিন্তু ...
জোবায়ের রাজুর যৌথ গল্প

জোবায়ের রাজুর যৌথ গল্প

গাড়ি বাবাকে বললাম এবারের ঈদে আমাকে শার্ট প্যান্ট আর জুতা কিনে দিতেই হবে। অভাবের সাগরে ভাসতে থাকা বাবার মুখটা করুণ দেখাচ্ছিল তখন, তবুও বললেন, ‘অবশ্যই ...
সত্যের বাণী 

সত্যের বাণী 

মোঃফেরদাউস    আমার কলম সত্য লিখে     সত্য-ই তার বল। সত্য লিখে মরবো আমি   এটাই জীবন পণ। স্বপ্নে আমি মৃত্যু পুষি   মৃত্যু আমার সাথী। সত্য লিখে ...
কদম বৃক্ষ

কদম বৃক্ষ

অমিত মজুমদার  কিছুদিনের জন্য ওপারে চলে যাও তুমি, চিন্তা কোরো না দেশ স্বধীন হবার তিন দিন পর বিকেল ঠিক চারটেয় এই কদম গাছের নিচে আমাদের দেখা হবে, ...
জোড়া কবিতা- লুনা রাহনুমা

জোড়া কবিতা- লুনা রাহনুমা

লুনা রাহনুমা   হৃদয় ঢেকে রেখেছিলাম কুসুমে কোমলে বাজার থেকে কিনে আনা দামি সুগন্ধে, গোলাপে আতরে জরির ওড়নায় লোকচক্ষুর অন্তরালে – আমার মগজের পচে যাওয়া ...
ছোটগল্প - শ্যাওড়া গাছের বেদনা

ছোটগল্প – শ্যাওড়া গাছের বেদনা

আশিক মাহমুদ রিয়াদ মধ্যদুপুরে উঠানের শ্যাওলা পড়া গাছটার বাদাম দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চোখে মুখে ঘুমের আবির্ভাব। বার বার হাই তুলতে হচ্ছে। হাত থেকে মাছের গন্ধ ...