শোক দিবসের তিন কবিতা
জালাল উদ্দিন লস্কর শাহীন
এক.
আগস্ট এলিজি
পিতা হারানোর বিষাদ বেদনায়
প্রকৃতিও কেঁদে উঠে-
পাগলের প্রায় মেঘের দলেরা
উড়ে উড়ে চলে ছুটে।
শোকে স্তব্ধ চারিদিক আজি
বিষাদের সুর শুধু বাজে
মন খারাপের চিহ্ণ দেখছি
প্রকৃতির ভাজে ভাজে।
বেদনাহত প্রতিটি হৃদয়
গুমরে গুমরে কাঁদে ।
প্রতিটি অন্তর পূর্ন আজিকে
বেদনা ও বিষাদে॥
দুই.
পিতার জন্য পংক্তিমালা
শুধু আগষ্ট মাসেই শোক?
পিতা হারানোর ব্যথা বারোমাস ;
বাঙ্গালীর বুকে বছর জুড়েই
মুজিবের বসবাস।
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী,
সহস্র সাধনার ধন;
তুমি পিতা তুমি আমাদের
অনুভবে অনুক্ষণ।
তোমাক হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছি,
তুমিই পথের দিশা:
তোমার আদর্শ দূর করে দেয়
ঘোরতর অমানিশা।
আমরা যেন তোমার দেখানো
আদর্শের পথে থাকি
বিপত্তি বিপদে প্রাণ থেকে
যেন তোমাতে আস্হা রাখি।
তুমি দিয়ে গেছ এক দেশ ;
তোমার দীক্ষা বুকে চেপে রেখে
আমরাতো আছি বেশ।
আগষ্ট কলংকে ভরা
এই কলংক ঘুচাতে আজকে
শপথ নিচ্ছি মোরা।
যত দিন রবে আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য তারা :
কোন কাহিনী কাব্যগাঁথাই হবেনা তোমাকে ছাড়া।
তিন.
আগস্ট এলিজি
জালাল উদ্দিন লস্কর শাহীন
বছরের পর বছর যায়
আর একেকটা আগস্ট আসে,
সত্যিকারের মুজিব প্রেমীরা
নিরব আঁখি জলে ভাসে।
স্মরন করে মহান নেতাকে
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়,
গভীর মর্মবেদনা হৃদয়ে
অশ্রুতে বুক ভাসায়।
মনে করে স্বপ্ন লালন
আর থাকে নতুন দিনের আশায়।
শোক যেন হয় শক্তির উৎস
যতো অপশক্তিকে দেয় রুখে,
মাতৃভূমি বঙ্গজননী কে
দেখি মুজিবের চোখে।
তুমি নাই তবে তোমার আদর্শ
ধারন করে এ বুকে,
দু:খিনী বাংলার শির উঁচু করে
ধরি এ ধরনীলোকে।
বজ্রনিনাদী কন্ঠের অমোঘ মধুর বানী
অংগুলী হেলনের মহা ইশারায়
দিলে স্বাধীনতা সূর্যটা আনি!