আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আষাড়ে সকালে, হারায়ে সকলে
দৃষ্টি বিচলিত হয়েছে, বিক্ষিপ্ত হয়েছে রক্তের শ্রোত!
সেদিন কদমডালে বসে কেঁদেছে একটি কুহকপাখি
আকাশ বানীতে, শকুনের মায়াজারি!
ওদের পাশবিকতায় সেদিন কাঁকটাও কিছু খায়নি
কমলাপুরের টোকাইও সেদিন পথে বেরোয়নি।
নদীর স্রোত বয়ে গেছে খড়স্রোতে, নিশ্চুপে!
কিসের যেন, কোথার সে তো!
এক ক্রোধ এসে ডালপালা মেলেছে
মাতৃক্রোড়ে! পশুদের পাশবিকতায়!
বাতাসে ভাসে, আকাশে ওড়ে আষাড়ে মেঘ!
বৃষ্টিও সেদিন কুঁকড়ে কাঁদে!
৩২-এর বাড়িতে লেখা হয়েছে কালস্রোত
একদল হায়েনারা মেতেছে রক্তস্রোতের
নির্লিপ্ত, পাশবিকতার চরম উদ্ধ্রান্তে!
পদ্মা বয়ে গেছে নিশ্চুপে, যমুনাও তাই।
কীর্তনখোলার সলিল স্রোতে!
সুগন্ধা, বিষখালী কাঁদে
আষাড়ে কান্নায়।
হায়নার দল!
ভেবেছিলে মুজিব হারালেই হারাবে দেশ?
দুর্বিপাকের ঘুর্ণিপাকে, ঘুচে যাবে সব রেশ
সেঁ আঁধারে মায়া বাড়িয়ে,
দরাজ গলায় তর্জনী নাঁচিয়ে!
স্বাধীন করলো এ দেশ!
পাপের তাপে পুড়েছে রাইফেল, বেয়োনেট!
তাও তোদের কাঁপেনি হাত, নির্লিপ্ততার রাক্ষস
ভক্ষণে তোদের এত সুখ আসে স্ক্রাউন্ডেল!
পিতার দুয়ারে আজ রক্ত গড়ায়!
চিৎকারে কাঁদে গোটা স্বদেশ
কাঁদে স্বাধীন বাংলাদেশ,
কাঁদে বাঙালী কাঁদে।
শোক বিহ্বল সারাদিন
ঝড়ে বর্ষার ক্রদণ!
ফুলে-সবুজে রাঙে এ সমাধী
মায়া বাড়িয়ে আঁধার পেড়িয়ে,
হাল ধরেছে কণ্যাশ্রী!
ততদিনে তোদের অন্তরে বিষ ঝড়ে
স্বদেশ জুড়ে পিতার ছবিটা!
আর নবীনের কন্ঠে – গণজোয়ারে ভাসে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই চিরন্তন কবিতা।
[কবিতাটি ১৫-ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস! অত্যান্ত ভারাক্রান্ত দিন। এ দিন জাতি হারিয়েছিলো তার পিতাকে। পিশাচদের নির্মমতায়, কেঁদে উঠেছিলো গোটা বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী। কবিতাটি যারা পড়েছেন, তারা কমেন্টে জানাবেন কবিতাটি কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে, এ ধরণের আরও কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পাবো,]