অনঞ্জন
পাখিটার পায়ে শিকল, ঝাপটায় ডানা আর্তিতে,
ঠোঁটে কামড়ায় খাঁচা রক্তাক্ত আকুলতায়
মুক্তির তীব্র ইচ্ছায়!
দিলাম খুলে খাঁচা, “যা পাখি,
যা উড়ে আকাশে আনন্দে, ওইযে জীবন!”
সে যে ভারী তৃপ্তি সেদিন, কাজ বটে করেছি একখানা।
দিন-কয়েক পর সকাল, পাখি নাম ধরে ডাকে!
“কেন ফিরে এলি তুই? ভাল লাগছেনা মুক্তি?”
“ভালোই তো,
এক আকাশ আলো, উড়ান দিই মেঘের দলে
আর স্বপ্ন দেখি উড়ব আরও,
দেখতে ইচ্ছে হল তোকে, তাই এলাম একটিবার;”
গেল সেদিন আকাশপানে, পাখি রোজই আসে জানালাপাশে,
দেখে আমায় উদাস-চোখে…
“কি রে পাখি, চাসটা কি তুই? কেন আসিস আকাশ ছেড়ে?”
পাখি বলে, “আকাশ দিলি, উড়তে দিলি, দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিলি,
নতুন চোখে মুক্ত আলো স্বপন আনে, মন বসেনা আকাশে ওই
মুক্তি দিয়ে যে বাঁধলি রে তুই”।