আন্তর্জাতিক নীতি তোয়াক্কা না করে,
বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত।
ফেনী, খাগড়াছাড়ি, নোয়াখালি, রংপুর কুড়িগ্রাম সহ, ভারতের সীমানা বেষ্টিত দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো ইতিমধ্যেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনকভাবে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গিয়েছে ঘরবাড়ি। বৃষ্টি ক্রমশ বাড়ছে আর বৃষ্টির পানিতে ঢাল নেমে, প্লাবিত হচ্ছে দেশ। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতেই ভারত প্রায়শই এই কাজ করে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নীতি তোয়াক্কা করেনি ভারত।
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীত পানি টইটুম্বুর। আর তখনই দীর্ঘ ৩১ বছর পর ডুম্বুর বাধ খুলে দিলো ভারত, ডুবছে বাংলাদেশ।
বন্ধুরাষ্ট্র হয়ে কিভাবে রাতের অন্ধকারে বাধের গেইট খুলে দিতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না দিলেও বন্যার সময় কেনো ঠিকই গেইট খুলে দেয় ভারত। এমন পরিস্থিতিতে বন্যা পরিস্থিতি যাচ্ছে কতটা ভয়াবহতার দিকে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় চার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে ৫ হাজার ৬০০ পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হাওড়া নদী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, ধলাই নদী মৌলভীবাজারে, মুহুরি নদী ফেনী জেলায় এবং খোয়াই নদী সিলেটে প্রবেশ করেছে।
এদিকে বন্যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে হু হু করে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে। গোমতী নদী ত্রিপুরায় উৎপত্তি হয়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কুমিল্লার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এতে করে ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় ফলে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ছে কুমিল্লা অঞ্চলে।
আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে সিকিমে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ ও পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ সেচ প্রকল্প চালু করে বাংলাদেশকে তিস্তার পানি থেকে বঞ্চিত করছে ভারত। হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তা নির্ভর কৃষি ব্যবস্থা। এছাড়াও ভারী বর্ষা মৌসুমে, অতিবৃষ্টির সময়ে কোন নোটিশ ছাড়া বাঁধ খুলে দেওয়ার অভিযোগ আছে ভারতের।
পয়তাল্লিশ বছর আগে ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে লং মার্চে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজনীতিবিদ মাওলানা হামিদ খান ভাসানি। ভারতের পানি আগ্রাসনের পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা দিব্যদৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। প্রিয় দর্শক, এ সম্পর্কে বিস্তারিত আসছে, আমাদের সঙ্গেই থাকুন।