তানবীর সজিব
আজ দোসরা শ্রাবণ। অধিকাংশ সময়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। ঘাসের সবুজ ডগা শুকানোর আগেই আবার বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি একটু কমে তো ক্ষণেই দ্বিগুণ বেগে বাড়ে। এক চরম অনিশ্চয়তা। মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভেজার এমন সুযোগ আর কখনো এভাবে আসবে না। তাই প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টিতে ভিজি। পাশে টিনের উপরে বসে কয়েকটি কবুতরও বৃষ্টিতে ভিজে। প্রায় রোজ এভাবে বৃষ্টি ভেজা আকাশ দেখি, বৃষ্টি ভেজা সবুজ দেখি, আর বৃষ্টিতে ভেজা কয়েকটি কবুতর দেখি৷ বিগত কয়েক মাসে তয়ীর সাথে যোগাযোগ করার অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। কোন ফল মেলেনি। যোগাযোগহীনতায় এখন আমাদের মাঝে চর সমেত প্রতিবন্ধকতা জেগেছে। এ চর কবে তলিয়ে যেতে পারে সে খবর এখন আর আমাদের কারোর জানা নেই। তয়ীকে আমার সব সময়ে মনে হয়েছে বহে যাওয়া নদীর মতন। যার কোন পিছুটান নেই। যার থামার নেই কোন অভিপ্রায়। জলের ভিতর বসত হলেও যার হৃদয়ে নেই জলের ছোঁয়া। কিন্তু এ জীবনে এমনও তো নদী দেখেছি যার কথা ছিলো না থামার অথচ সেই কিনা অলৌকিকভাবে চর জাগিয়েছে কূলে। সেই চরে পরে মানুষ ঘর বেঁধেছে, সবুজ ফলিয়েছে।
নিয়ম করেই এখন শ্রাবণের আকাশ দেখি৷ একই আকাশ অথচ বিচিত্র রূপ। মেঘমুক্ত আকাশের উদ্ধত আর অহংকারী রূপ। মনে হয় মাটির বুকে এর নেই কোন সীমানা। অথচ এ শ্রাবণে সেই আকাশকেই দেখছি মেঘ হয়ে কান্নার রূপ নিয়ে মিশে যেতে চাচ্ছে সবুজের বুকে। মনে হচ্ছে মাটির বুকেই যেন কোন এক কালে ছিলো এর বাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়