উচ্ছিষ্ট ভেবে পায়ের কূলে যার—ই বসবাস!
শত অবিচারে হয়েছে যে আজ তার-ই কারাবাস।
হৃদকমলে পচন ধরলে কী আর তাতে পুজো হয়?
আপন রক্তই যদি পঁচে যায়, তবে—
সুখের সাগরেই বা কি-করে ভেসে রয়!
লুটিয়ে পড়ে চোখের— কলঙ্কের কালি
জলের স্রোতে মিশে বয়!
আড়াল হয়ে দিবানিশি
চোখ লুকিয়ে শত-ব্যাথা বুকে সয়।
মুখ ফসকে বলতে যেয়ে,
গিলে কথার মালা;
না পারে বুঝাতে কভু,
বসতি যে গেড়েছে— বিষম জ্বালা।
যতন করে প্রেম বাগিচায় বেড়ে উঠা গোলাপ ফুল!
সৌন্দর্য পেয়ে ভুলে গেছে আজ—
কোথাই যে আছে তার জাতের মূল।
রূপের মায়ায় ভুলে গিয়ে যত
মালীর দেওয়া শত সূখ!
প্রতিদানের বদলে প্রশংসা না মিলে
কারাবাসে আজ মালীর বুক।
আর্তচিৎকার নাহি ভাসে কানে
বুকে না তুলে অনুতাপের ঢল,
ভুলে যায়—
তাঁরাই যে জীবন তৈরির— এক আজব কল।