ছোটন গুপ্ত
কুলিমজুর কবিতা হয়- জানান তা নজরুল,
দিনবদলের বোধন চেনান – সুকান্ত নির্ভুল।
টুকটুকে লাল সকাল দেখান – সুভাষ মুখুজ্জে,
নীরেন লেখেন,রাজার পোষাক নেই যে তা উহ্যে।
পূর্ণেন্দু পত্রী ছিলেন-ছন্দ ছবির গানে…
সুনীল সত্য অভিমানে-পাহাড় ঝর্ণা স্নানে।
অমিতাভ-র কান্না বধির-কাঠের চেয়ার বোঝে,
রাত ফুটপাথ শক্তি নিবাস-অবনী ঘর খোঁজে।
ছন্দে ম্যাজিক শিখিয়ে গেছেন- সত্যেন্দ্র দত্ত,
নকশিকাঁথার মাঠ আঁকা ঠিক জসিম কবির স্বত্ব।
শামসুর রাহমান ভাঙেন- বিভেদ ধর্মে-জাতে,
শেখান ছড়া রায় সুকুমার- চক পেন্সিল হাতে।
মহাকাব্য-কৃত্তিবাসের-কাশীরামের সেরা,
খলনায়কের রূপটি রামের মাইকেলে যেই ফেরা।
সত্তা স্মৃতি ভবিষ্যতের – বিষ্ণু দে-কে চিনি,
সব কবিরাই জগৎসভায় বাংলা ভাষায় ঋণী।
কথামানবীদের লড়াই-মল্লিকাকে পড়ো,
হিংসুটে সব বিভেদবাহক-ডাকলে তাড়া করো।
ঈশ্বর আমার বিদ্যাসাগর -ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ
হোন ভগবান মহান, ধরো-মাতৃভাষার হাত।।