সবুজের সমারোহে কোকিলের কোলাহলে
একলা এক বুলবুলি উড়ে আসে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে।
বড় অপছন্দের পাখি, বড়ই নিম্নমানের
তবু সবুজ আপন ভাবের ভাতি শস্যকে দেয় ছড়িয়ে
বুলবুলি স্বপ্নে বিভোর, মগ্ন সবুজের নেশায়
বড় অদ্ভুত এক মায়াজাল বোনে একে অপরের ঠাঁয়।
এক অদৃশ্য টান, এক অদৃশ্য বন্ধন
বোঝেনা কেউ কিছুই।
নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস সুখ সীমাহীন নাহি রয়-
চৈত্রের দাবদাহে সবুজ ছারখার হয়ে যায়
আপন অস্তিত্বের সংকট দেখে সবুজ উন্মাদ রূপ নেয়।
বুলবুলি এতো বোঝায় হারিয়ে যাওনি তুমি,
হারায়নি তোমার সত্ত্বা
শুধু অগ্নিশিখায় স্বর্ণের মতো ঝলসানো হয়েছে তোমায়
তুমি অনন্ত, তুমি নিরন্তর, তুমিই সৃষ্টির আঁধার।
বুঝতে চায় না সবুজ, শোনে না কোন কথা
ধূসর ভূমি রটিয়ে শেষে নির্জনে যায় একা।
তবে বুলবুলি! সত্যটা সে জানে
যতোই দহুক গ্রীষ্ম তারে বর্ষার শুরু শেষে
সবুজ আবার আসবে ফিরে।
এ যে মায়াজাল, এ যে অদৃশ্যের গোলমাল।
অপেক্ষায় থাকে বুলবুলি,
আবার আসবে সবুজ, আবার হাসবে দুজনে।।
মায়া-জাল
– হিরন্ময় মন্ডল
১৫ তম সাপ্তাহিক স্রোতের জন্য লেখা
উত্তর চব্বিশ পরগনা , পশ্চিমবঙ্গ,ভারত