শহীদুল ইসলাম
মৃদুলা
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে বলছি
তুমি তোমার খেয়াল রেখ।
তুমি তোমার যত্ন নিও।
তুমি আরো বাঁচো।
হাজার বছরের চেয়েও বেশি বাঁচো।
তুমি আরো হাসো।
হাসতে হাসতে পৃথিবীকে বুঝিয়ে দাও।
বাঁচতে হলে হেসেই বাঁচতে হয়।
মৃদুলা
পৃথিবী আমার ওজন নিতে পারছে না।
সূর্য আর আলো দিতে চাচ্ছে না।
নদী আর জল দিতে চাচ্ছে না।
সমিরন থেমে গেছে।
কার্বন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অসহায় বোধ করছি।
তবু এত হারানোর মাঝে এতটুকু তৃপ্তিবোধ করি
মৃদুলা তুমি আছো।
তুমি আজও ছেড়েছুড়ে শহরের অলিগলি পথ ধরে পালাওনি।
তুমি থেকে যাচ্ছ বারংবার।
তুমি আছো বলে আজও নিজের ছায়া থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি।
মৃদুলা
জীবনবাদী গান।
আকাশ হতে শেখায়।
পাখি হতে শেখায়।
নদী হতে শেখায়।
মানুষ হতে শেখায়।
সুন্দর ও পবিত্র হতে শেখায়।
তুমি জীবনবাদী গান অন্তরেতে বেঁধো।
কন্ঠে তুলে রেখ।
মানুষকে শুনিও।
মৃদ্যুলা
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে বলছি
জন্ম আবার হলে তোমাকেই ডাকবো
ও মৃদ্যুলা তুমি শুনছো।
আমার অমুক দরকার
আমার তমুক দরকার
তুমি এভেলাতেও যেমন রাগ করনি
তুমি ওভেলাতেও রাগ করবে না।
তুমি ঠিক মানিয়ে নেবে।
তুমি তো মাটি
তুমি তো রোদ
তুমি তো নদী ঝর্ণা বৃষ্টি।
তুমি ঈশ্বর।
তুমি জন্ম দিয়ে চলো সমাজ সভ্যতা মানুষ।
তুমি রাগবে না এ আমি জানি।
মৃদ্যুলা রাগে না।
রাগলে পৃথিবী শুদ্ধ থরথর করে কেঁপে ওঠে।
প্রলয়ের আওয়াজ ওঠে।
আকাশে বাতাসে ধ্বংসের প্রতিধ্বনি বেজে ওঠে।
মহা বিশ্বের মহা সমুদ্রে এক অন্যরকম পরিবর্তন আসে।
মৃদ্যুলা
অনাকাংখিত দেখা।
অসম্ভব ভালোবাসায় বেঁধে ছিলাম।
আজ ফুরিয়ে আসা মুহুর্তেও তোমার ভালাবাসা নিয়ে বিদায় নিলাম।
তুমি অশ্রু আহাত হইয়ো না।
ও ভাবে মায়াবিনী দৃষ্টিতে তাকাবে না।
বরং উজ্জ্বল হাসির ঊর্মি দোল দেখতে দেখতে এতটুকু বলবো
প্রিয় মৃদ্যুলা ভালো থেকো।
এবং ও অবশেষে ভালো থেকো।