বৃষ্টি এলে ও বলেছিল কি দারুণ! চাষি হবো।
কর্ষণে কর্ষণে নরোম মাটির ঘ্রাণ নেব।
বাড়িঘর দিয়ে কি হবে! গাছের ছায়া আমার
খুব ভালোলাগে। ছায়ার ফাঁকে ফাঁকে
আলোর নাকফুল বড় মায়াবী।
দুজনেই দুজনের ছায়া হবো।
আকাশ ও নদীর মতোন মাঝখানে পালতোলা
মেঘ নত হবে অবিরাম।
উড়ে গেছে কত মেঘ উড়ে গেছে কত কথা।
ঝরঝরে বৃষ্টিতে ভিজবো বলে কাক হয়ে বসে থাকি।
রোদের দুয়ার ধরে দাঁড়িয়ে ভিখারি হয়ে যাই।
বৃক্ষেরা রোদহীন। তার ছায়া কেঁদে উঠে মাঝরাতে।
ছায়াহীন বিপন্ন লুকোচুরি।
কোথায় ঘর!
ঘরহীন আমি আজ ঘরে ঘরেই। ঘর খুঁজে ফিরি।
মনের ভেতরে মরে যাওয়া মরমী খেলায় ভুলে থাকি সব।
এখন ভরা নদীও বশ্যতা মেনেছে অবনত রোদে।
কবি
থানাপাড়া, লালমনিরহাট।