গৌতম সরকার
আজ বিকেলে ইচ্ছে করে ওরা খেলতে গেলনা। ওরা চাইছে, বুড়োটা আর তার কাজের লোক ভাবুক সকালের ঘটনায় ওরা ভয় পেয়ে গেছে তাই ওদিকে আর যাওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। সারা বিকেল ওরা ছাদ থেকে জঙ্গলের দিকে নজর রাখল। এদিক দিয়ে কেউ জঙ্গলে ঢুকলে বা জঙ্গল থেকে বেরোলে তাদের চোখে পড়বে। যদিও তেমন কিছু ঘটলোনা। সন্ধ্যা নেমে এল। বাড়িতে শাঁখের আওয়াজ শুনে ভোলা দুপায়ে দাঁড়িয়ে মুখ উঁচু করে ডেকে উঠল। চুন-হলুদ দেওয়াতে ওর পায়ের অবস্থা সকালের চেয়ে অনেকটা ভালো।
রাত্রে ওরা তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ল। সঞ্জু আর সবিতা ওর মাকে বলে রেখেছে সকালে অথর্বের সাথে হাঁটতে বেরোবে। শ্রীমতী আপত্তি করেনি। তবে ছেলে-মেয়ে না থাকলে সকালবেলায় তাকে খাটাল পরিষ্কার করে, গরু-মোষগুলোকে খোল-ভুষি দিতে হবে। কোজাগরীর কাউকে বলার নেই, ওর সমস্যা নিজেকে নিয়ে। ও সব কিছু পারে, শুধু সকাল সকাল বিছানা ছাড়তে সাংঘাতিক অনীহা। কিন্তু কাল তাকে উঠতেই হবে। কেন কে জানে, ঘটনাটার মেরিট সেভাবে খুঁজে না পেলেও ভেতরে ভেতরে একটা উত্তেজনা হচ্ছে।
এখন চারদিক আবছা অন্ধকার। সূর্য উঠতে দেরি আছে। একটা ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে উপত্যকা জুড়ে। রাস্তায় কালকের জমা জল শুকিয়ে গেছে। মাটি যদিও এখনও নরম। চারটে মূর্তি ঘাসের উপর পা ফেলে ফেলে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সোজাসুজি জঙ্গলে না ঢুকে ওরা বেশ কিছুটা ডানদিকে সরে গেল। এদিক দিয়ে একটা খাঁড়ি জঙ্গল কেটে বেরিয়ে গেছে। খাঁড়ির পাশ দিয়ে চারজনে জঙ্গলে ঢুকল। ভেতরটা আরও অন্ধকার। সাবধানে চলতে হচ্ছে, নাহলে কাটা গাছের আগা, উঁচুনিচু জমিতে ঠোক্কর খেতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ চলার পর যখন বুঝতে পারল বাড়িটা মোটামুটি দুশো মিটারের মধ্যে তখন কোজাগরী থেমে গেল। ফিসফিস করে দুজন ছেলেকে এগোতে বলল, সে আর সবিতা এখানেই অপেক্ষা করবে। আরেকবার কোকিলের ডাকের কথা স্মরণ করিয়ে দিল।
জঙ্গলে ভোর হচ্ছে। ভোরবেলায় জঙ্গলের গন্ধ অন্যরকম। কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটতে থাকলে চারপাশে যেরকম গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, এ অনেকটা সেইরকম। দুজনে দুটো মোটা গাছের আড়াল খুঁজে অন্ধকারের সাথে মিশে দাঁড়িয়ে রইল। অথর্ব আর সঞ্জু এগিয়ে গেছে। বেশ কিছুক্ষণ কোনো শব্দ নেই। শুধু একটা একটা করে পাখি ঘুম ভেঙে জাগছে। তাদের হালকা কাকলি ছাড়া জঙ্গলে মৌন স্তব্ধতা বিরাজ করছে। ওদিকে ছেলেগুলো এখনও কোনো সংকেত পাঠায়নি। কোনো বিপদ হল না তো! তবে নিজের জায়গা ছেড়ে যাওয়া যাবে না। অভিযানে কখনও তাড়াহুড়ো করতে নেই, আর ‘প্ল্যান এ’ যতক্ষণ না সম্পূর্ণভাবে ফেইল করছে, ততক্ষণ ‘প্ল্যান বি’-র কথা ভাবা যাবে না। ওদিকে সবিতা অধৈর্য্য হচ্ছে। কোজাগরীর কিছু অভিজ্ঞতা থাকলেও, সবিতার আজই প্রথম। এরকম আধো অন্ধকার জঙ্গলে বুনো পোকার কামড় খেতে খেতে বেচারি ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে। কোজাগরী তবু ইশারায় অপেক্ষা করতে বলে, আর কান খাড়া করে রাখে যদি কোনো সংকেত আসে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর হঠাৎ কোকিলের ডাকের বদলে কানে এল তার নাম ধরে কেউ ডাকছে। সম্বিত ফিরে খেয়াল করল, সঞ্জু দূর থেকে ‘কোজাগরী দি, কোজাগরী দি’ বলে ডাকছে। ব্যাপারটা কি হল মাথায় ঢুকল না, নাম ধরে তো ডাকার কথা ছিলনা। সবিতাও তখন আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে তার কাছে চলে এসেছে। কোজাগরী আর দেরি না করে সবিতার হাত ধরে দৌড় লাগালো। বাড়িটার সামনে এসে দেখল, গাছে নয় দুই মক্কেল বাড়ির ভেতরে উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখেই সঞ্জু বলল, “কোজাগরীদি, পাখি ফুড়ুত।”
“তার মানে?’
“বাড়িতে কেউ নেই। সবাই চলে গেছে।”
“চলে গেছে! কালকে ছিল, আজ কেউ নেই। আশ্বর্য্য! গেল কোনদিকে দিয়ে?”
এবার অথর্ব বলে উঠল, “নিশ্চয়ই জঙ্গলের পিছন দিয়ে বেরোনোর রাস্তা আছে। কাল ওই লোকটা তো পিছনের জঙ্গল থেকেই এসেছিল।”
কোজাগরী চুপ করে কিছু একটা ভাবতে লাগল। তারপর মুখ তুলে জিজ্ঞাসা করে, “ঘরগুলো খোলা আছে, না তালাবন্ধ?”
“সব খোলা, খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কিছু নেই। এখানে ওরা ছিল কি করে তাই ভাবছি।” অথর্ব বলে।
“তাহলে এখানে ওরা ছিল না। অন্তত রাত্রে তো নয়ই। কিছু একটা কাজ ছিল, কাজটা গুটিয়েই পালিয়েছে। আর কালই পালিয়েছে। আমাদের খুব ভুল হয়ে গেছে। কাল সন্ধ্যেবেলাতেই এখানে আসা উচিত ছিল।”
কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভঙ্গিতে সবাই বোকার মত ভাঙাবাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে রইল।
নীরবতা কাটিয়ে অথর্ব বলে ওঠে, “ওই আউট হাউসটা দেখা হয়নি।” বলেই কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌড় মারল। আজ ভোলাকে আসতে দেওয়া হয়নি। পায়ের ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে ভেবে ওকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। খুব আপত্তি জানিয়েছে, আসার সময় বেগতিক দেখে করুন কান্নায় ওদের মন ভেজানোর চেষ্টা করেছে। ওরা বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে ওকে বাড়িতে রেখেই বেরিয়ে পড়েছে। বাকিরা যখন ঘরটার সামনে এসে পৌঁছল, তখন অথর্ব ঘর খুলে ভিতরে ঢুকে গেছে। ওরাও এসে হুড়মুড় করে ঢুকে গেল। ছোট একটা ঘর, মেঝেতে পুরু করে খড় বিছানো, তার ওপর কয়েকটা থলে পাতা। অথর্ব ঘরের মাঝখানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে, তার চোখ ঘরের মধ্যে একমাত্র জানলার দিকে। জানলাটা বন্ধ, কিন্তু জানলার তাকে লাল রঙের বস্তুটার দিকে অথর্বর নজর। কোজাগরী কিছু বলার আগেই অথর্ব ঝাঁপিয়ে পড়ে জিনিসটাকে তালুবন্দি করল। তারপর সবার দিকে হাতটা বাড়িয়ে মুঠো খুলতেই দেখা গেল, মেয়েদের চুলের একটা ক্লিপ। কোজাগরী হাত বাড়িয়ে ক্লিপটা নিল, চোখের সামনে এনে দেখল ক্লিপে তখনও কয়েকটা চুল আটকে আছে। নাকের কাছে এনে কিছু একটা শুঁকল। তারপর ঘোষণা করার ঢঙে জোর গলায় বলল, “এ ঘরে কোনো মেয়ে ছিল। আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর।”
এরপর দুদিন ঘটনাবিহীন কাটল। উত্তেজনাটা যেমন হঠাৎ করে এসেছিল, তেমনি হঠাৎ করেই থিতিয়ে গেল। তবে এর মধ্যে দুটো ব্যাপার ঘটেছে। এক, ওরা একদিন গিয়ে দেখে এসেছে ওই বাড়িটার পিছন দিকে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একটা পায়ে চলা রাস্তা আছে। রাস্তাটা এঁকেবেঁকে লাট্টুপাহাড়ের গোড়ায় গিয়ে উঠেছে। আর দুনম্বরটা হল, সঞ্জুর বন্ধু সুখনের বাবা শিমুলতলা থানায় কাজ করে। ও ওর বাবার কাছে শুনেছে পুলিশ এখনও দেওঘরের সেই চারটে মেয়ের কোনো হদিশ করতে পারেনি। ব্যাপারটা চিন্তার, কিন্তু এ ব্যাপারে ওদের কিছু করার নেই। তাই আবার সেই গাল-গল্প, খাওয়া-দাওয়া, খেলা করে দিন কাটতে লাগল।
একদিন অনুদিদা সকালবেলা ওদের ডেকে বললেন, ” শোন, বিশু আজ একটা কাজে জসিডি যাবে, বাজার যেতে পারবে না। তোরা বাজারটা আজ করে নিয়ে আয়, যাওয়ার সময় কী কী আনতে হবে শ্রীমতীকে জিজ্ঞাসা করে যাস।” ওরা তো এককথায় রাজি। কাঁহাতক চুপচাপ ঘরে বসে থাকা যায়! তাছাড়া ওরা কলকাতাতেও কখনও বাজার যায়নি, তাই কোজাগরী আর অথর্বের কাছে এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। সবকিছু বুঝে ব্যাগপত্র নিয়ে বাজারের দিকে হাঁটা দিল, ভোলাও ওদের সঙ্গী হল।
শিমুলতলায় হাট বসে রেলস্টেশন লাগোয়া ফাঁকা জমিটায়। বহু দূর দূর থেকে ব্যাপারীরা জিনিসপত্র নিয়ে আসে। এখানকার হাটে সূঁচ থেকে শুরু করে গরু-মোষ সবকিছু কেনা বেচা হয়। একদিকে সব্জি বাজার, তাজা-টাটকা শাকসব্জি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। এরপর হাজার রকমের মশলা, মুদির দোকান, মনোহারি জিনিসপত্র, জামাকাপড়, জুতো কিসের দোকান না নেই! তারমধ্যে একপ্রান্তে মুরগি লড়াইয়ের ব্যবস্থা, সেটা যদিও দুপুরের পর হবে। দূরে শাল গাছের নিচে এক নাপিত তার দোকান সাজিয়ে বসে গেছে। গাছের ডালে আয়না ঝুলিয়ে ইঁট সাজিয়ে বসার ব্যবস্থা। একে একে খদ্দের এসে চুল-দাড়ি কেটে যাচ্ছে। দূরে একটা অংশে গরু-ছাগল-শুয়োর-মোষ ইত্যাদি বিকিকিনি চলছে। কোজাগরীরা আগে গিয়ে হাটের চারপাশ ঘুরে দেখে নিল কোথায় কি বসেছে। যেখানে নাপিতের দোকান, তার পাশে একটা ঝাঁকড়া জারুল গাছ আছে। গাছটার গোড়া থেকে প্রায় ছয়ফুট উচ্চতা পর্যন্ত সিঁদুরে মাখামাখি। নিচের ডালগুলোয়, আর কান্ডকে বেড় দিয়ে লাল-হলুদ সুতো বাঁধা। তবে এখন কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সঞ্জু বলল, “বাবা বলছিল, এখানে কদিন ধরে এক সাধুবাবা বসছেন। খুব জাগ্রত! কুমারী মেয়েদের মন্ত্রপূত মাদুলি দেয়, তাদের খুব তাড়াতাড়ি শাদি হয়ে যায়।” শুনে কোজাগরীর মেজাজ গরম হয়ে গেল, যতসব বুজরুকি! আর এই সরল সহজ লেখাপড়া না জানা লোকেদের বোকা বানানো খুব সহজ। ওরা হাটের অন্যদিকে এগিয়ে গেল। এবার জিনিসপত্র কেনা শুরু করতে হবে। শ্রীমতী বৌদি বেশ লম্বা একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে।
এদিক ওদিক ঘুরে জিনিসপত্র কিনতে অনেক সময় লাগল। যখন মোটামুটি সব কেনা হয়ে গেছে, তখন ওরা হাটের পশ্চিমদিকে বসা মিষ্টির দোকানগুলোর দিকে এগিয়ে গেল। ওদের প্ল্যানই ছিল সব কেনা হয়ে গেলে গরম গরম জিলিপি খাবে। গরম জিলিপির মন মাতানো গন্ধে জায়গাটা ম ম করছে। ওরা দোকানের সামনে যেতেই একটা বাচ্ছা ছেলে ওদের হাতে চটপট একটা করে শালপাতার ঠোঙা ধরিয়ে দিল। তারপর চিমটি করে চারজনকে চারটে জিলিপি দিল। শেষ হতেই আবার একটা করে….শুধু ওদের নয়, দোকানে দাঁড়ানো প্রায় কুড়িজন খরিদ্দারকে একইরকম ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পরিবেশন করে চলেছে। চারটে করে খাওয়ার পর যখন ওরা ভাবছে, আর খাবে কিনা, তখন দোকানের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা এক ভদ্রলোকের দিকে অথর্বর চোখ চলে গেল। ব্যাক ব্রাশ করা কুচকুচে কালো চুল, নিখুঁত কামানো মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি, চোখে দামি কালো কাঁচের সানগ্লাস। এতক্ষণে ওরা লক্ষ্য করল, ভিতরে বসে খাবার জন্যে দুটো বেঞ্চ আছে। ভদ্রলোক ভিতর থেকেই খেয়েদেয়ে বেরোলেন। প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় অথর্ব ফিরে তাকাতে দেখতে পেল, ভদ্রলোকও কয়েক মুহূর্ত ওর দিকে পিছন ফিরে তাকিয়ে তড়িঘড়ি হাটের ভিড়ে মিশে গেলেন। একটু খটকা লাগল, কাউকে কিছু বললোনা। মনে হল, মুখটা চেনা চেনা, কোথাও একটা দেখেছে, কিন্তু মেলাতে পারলো না। খেয়ে সবাই মিলে ব্যাগগুলো ভাগাভাগি করে তুলে নিল, এবার মাছের বাজারে যেতে হবে।
মাছের অংশটা বাজারের পূব দিকে, স্টেশন লাগোয়া। সেখানে যাবার সময় দেখল এরই মধ্যে জারুল গাছের সামনে অনেক মহিলা আর বাচ্ছামেয়ের ভিড়। যেতে যেতে উঁকি মারতেই গাছের গোড়ায় আসন পেতে বসা সাধুবাবাকে দেখতে পেল। ওরে বাবা! সাধুবাবার কি চেহারা! কালো কুচকুচে বিশাল চেহারায় রক্তাম্বর পড়া, জটাধারী আর বিশাল দাড়ি। বসা অবস্থায় দাড়ি মাটিতে ঠেকছে। আর অদ্ভুত লাগল, সাধুবাবার চোখে একটা নীল রঙের চশমা। তাকে ঘিরে অনেক আদিবাসী মহিলা হাতজোড় করে বসে আছে। আর সব মহিলার পাশে আছে একটি করে বারো-চোদ্দ বছরের মেয়ে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অথর্বের কিরকম খটকা লাগল। সাধুদের চোখে সানগ্লাস কখনও দেখেনি সে। আর এই সাধুবাবার যা চেহারা, ঠিক সাধুসন্তদের সাথে মেলে না। কেনাকাটায় অথর্ব আর মন বসাতে পারলোনা, কি রকম একটা অস্বস্তি নিয়ে বাকি সময়টা কাটালো। সব কেনা শেষ। বাইরে এতক্ষণ ওদের জন্য গোরুরগাড়ি এসে গেছে। বিশুদা আসতে পারবে না বলে, অন্য একজনকে ব্যবস্থা করে গেছে৷ বাজার থেকে বেরোনোর সময় অথর্ব আবার একবার জারুল গাছটার দিকে তাকাল, দূর থেকে মনে হল মিষ্টির দোকানে দেখা হওয়া সেই লোকটা সাধুবাবার সাথে কথা বলছে। থমকে দাঁড়িয়ে গেল অথর্ব। ওদিকে বাকিরা এগিয়ে গেছে। কিছুটা এগিয়ে অথর্বকে দাঁড়াতে দেখে কোজাগরী তাড়া দেয়, “কি হল অথর্ব! পা চালিয়ে যায়। অনেক বেলা হয়ে গেছে, আমরা যাবার পর শ্রীমতী বৌদি রান্না চাপাবে”। আবার একবার তাকাতেই দেখে লোকটা ভ্যানিশ। সাধুবাবাকে ঘিরে আছে মহিলামণ্ডলী, আর কেউ নেই। অথর্ব পা চালিয়ে বাজারের বাইরের দিকে চলল।
(ক্রমশঃ…….)